A Hero will Rise Up Just In Time
ট্রানসিলভেনিয়ার দুর্গম অঞ্চলে পাহাড়-চূড়ায় বিশাল এক প্রাচীন দুর্গে তার বাস। দুর্গের নীচের এক অন্ধকার কামরায়-কফিনের ভিতর।
কে সে?
কাউন্ট ড্রাকুলা।
তরুণ ইংরেজ আইনজীবী জোনাথন হারকার একটা রিয়েল এস্টেট লেনদেনের ব্যাপারে ইউরোপের ট্রানসিলভেনিয়ায় কাউন্ট ড্রাকুলার দূর্গে রওনা হন। পথে তাকে অনেকভাবে সাবধান করা হয়, মানা করা হয় ঐ দুর্গে যেতে।
কিন্তু কোন কথা না শুনে, কোন কুসংস্কাররের পরোয়া না করে হারকার ট্রানসিলভেনিয়ার পথে চলতে থাকেন। পথিমধ্যে ক্যারিজে তিনি প্রায় সারাপথে নেকড়ের দ্বারা আক্রান্ত হন, যদিও নেকড়েরা তার কোন ক্ষতি করে না। ড্রাকুরার দুর্গে পৌছে হারকার বুঝতে পারলেন ড্রাকুলা একজন শিক্ষিত ও সহৃদয় ব্যাক্তি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হারকার টের পেলেন, তিনি আসলে ড্রাকুলা দুর্গে বন্দী। সাথে এটাও বুঝতে পারলেন ড্রাকুলা কোন সাধারন ব্যাক্তি না বরং প্রচন্ড শক্তিশালী এবং ক্ষমতাধর একজন ব্যাক্তি।
এর মাঝেই একদিন হারকার তিনজন লেডি ভ্যাম্পায়ার দ্বারা আক্রান্ত হলেন যদিও ড্রাকুলা এসে তাকে উদ্ধার করলো এবং এবং তিন ডাইনীকে সতর্ক করলো এই বলে, হারকার শুধুই তার শিকার। ইতিমধ্যে হারকার, ড্রাকুলার কালো শক্তি সম্পর্কে বুঝে ফেলেছে। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে হারকার একদিন ড্রাকুলার দুর্গ থেকে পালাতে সক্ষম হলেন।
অবশেষে ড্রাকুলা লন্ডনে এসে হাজির হলো। রহস্যজনক ভাবে মারা গেলেন আইনজীবী হকিন্স।
ক্রমেই রক্তশূন্য ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে লুসির চেহারা্। সাংঘাতিক পাগলামী শুরু করেছে রেনফিল্ড। হারিয়ে যাচ্ছে শিশুরা, ফিরে আসলে ওদের গলায় দেখা যাচ্ছে ধারালো দাঁতের সুক্ষ ক্ষতচিহ্ন।
এসব কিসের আলামত? কেন মিনার বান্ধবী লুসি রক্তশূন্য হয়ে মারা যেয়ে আবার জীবন্ত হলো? বৃদ্ধ ড্রাকুলা কেন ধীরে ধীরে যুবকে পরিণত হচ্ছে? কেন পৃথিবীতে এত মেয়ে থাকতে মিনার পেছনে লেগেছে ড্রাকুলা? শেষ পর্যন্ত কি ঘটতে যাচ্ছে হারকার, মিনা আর ড্রাকুলার ভাগ্যে?
জানতে হলে পড়তে হবে।
ড্রাকুলা উপন্যাস উইকি
বিশ্ববিখ্যাত পিশাচ কাহিনী ড্রাকুলা লিখে রাতারাতি বিখ্যাত হন আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকার।
১৮৯৭ সালে বইটা পাবলিশ হয় যা এখনও বিশ্বের হরর কাহিনীর ইতিহাসে একনম্বরে অবস্থান করছে এবং হয়তো ভবিষ্যতেও করবে।
ড্রাকুলা গল্প লেখার সময় ব্রাম স্টোকারের হাতে লেখা নোট।
ড্রাকুলা উপন্যাস বাংলায় অনুবাদ করেছেন "রকিব হাসান" সনামধন্য প্রকাশনী "সেবা প্রকাশনী" থেকে। অন্য কোন প্রকাশনা থেকে অনুবাদ হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।
চরম সাহসী মানুষ, যে কিনা কখনই ভয় পাননা, আমি বিশ্বাস সহকারে বলতে পারি "ড্রাকুলা" উপন্যাসটা পড়লে সেই সাহসী ব্যাক্তিরও গা ছমছম করতে বাধ্য।
ড্রাকুলা মুভি
১৯৯২ সালে ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা উপন্যাস থেকে তৈরি করা হয় "ড্রাকুলা" মুভি এবং সম্ভবত মুভিটাও হরর মুভির ইতিহাসে খুব ভালো একটা অবস্থানে আছে যদিও আইএমডিবি রেটিং ৭.৩।
ড্রাকুলা মুভি অই.এম.ডি.বি
ড্রাকুলা নিয়ে আমার লেখা প্রবন্ধ:
{মিথ নাকি বাস্তব? (পর্ব-২)} ড্রাকুলা (Dracula)
"অশুভ সংকেত" (যে বইটা খুব পছন্দের- পর্ব ১)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।