হতাশা আর দু;খ ব্যাথা যাদের দেখে থমকে দাঁড়ায় আজকে তাদের খুব প্রয়োজন, বিশ্ব এসে দু হাত বাড়ায়। খবরে প্রকাশ সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে অফিসার্স ক্লাবের টেনিস কোর্ট উন্নয়নের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। খবরটা দেখে খারাপ লাগল। এটা যদি ব্যাংকের মার্কেটিং বা ব্রান্ডিং এর অংশ হয়, তাহলে কোন কথা নাই, কিন্তু এটা কি সিএসআর? আচ্ছা, ৫০ লাখ টাকায় কি হতে পারত? যে অদম্য মেধাবীরা বাবা-মার দারিদ্র সহ অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা পার করে এসএসসিতে ভাল রেজাল্ট করেও উচ্চ শিক্ষার অনিশ্চয়তায় ভোগে, এরকম ১০৪ ছাত্র-ছাত্রীকে ইন্টারমিডিয়েটের পুরো দুই বছর প্রতিমাসে ২০০০ টাকা করে বৃত্তি দেয়া যেত। তাতে হয়ত তারা এইচএসসিতেও এরকম ভাল রেজাল্ট করতে পারত। কত গরীব বাবা-মা তার শিশুর চিকিতসার জন্য ১-২ লাখ টাকা যোগার করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে। এরকম অসহায় ৫০ জন শিশুর চিকিতসার জন্য প্রত্যেকে ১ লাখ করে অর্থ সহায়তা দেয়া যেত। সঠিক পরিকল্পণা ও পার্টনারের সহযোগিতা পেলে হয়ত ৫০ জন ভিক্ষুক পুণর্বাসন করা যেত। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিত ২০ থেকে ৫০ জন শিশুকে হয়ত পূনর্বাসন করা যেত! আসলে বাংলাদেশে এত সুবিধা বঞ্চিত মানুষ যে সিএসআর-এর আওতায় কত ভাল কাজ করা যেতে পারে, তার কি কোন শেষ আছে???? প্রাইম ব্যাঙ্ক কি এরকম কিছু খুজে পায় নি? নাকি সিএসআর-এর আড়ালে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে???
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।