আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম বাঙ্গালী। শাহ্ আজিজুর রহমান নিয়ে স্পষ্ট মিথ্যাচার আর বিভ্রান্তির আশ্রয় নিচ্ছে আওয়ামী,মুক্তমনাবৃন্দ... জিয়াউর রহমান শাহ্ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন এই কথা বলে খুব কৌশলে এককভাবে জিয়া এবং বিএনপিকে ল্যাং মারার ক্রমশ চেষ্টা তারা চালান। কিন্তু...... শাহ্ আজিজুর রহমান সাহেব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সফরসঙ্গী ছিলেন পাকিস্তানে লাহোরে ওআইসির সম্মেলনে, তিনি জেলে ছিলেন, তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু তাকে ভারতের শত নিষেধ আর সৈয়দ তাজ উদ্দীনের শত অনুরোধ সত্বেও পাকিস্তানে নিজের সফরসঙ্গী করেছিলেন, তাজ উদ্দিন আহমেদ শীর্ষ সম্মেলনে শেখ মুজিবের অংশগ্রহণের ঘোর বিরোধিতা করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেন," অন্যান্য দিকগুলো যদি আমরা ছেড়েও দেই, শুধুমাত্র এই কারণে তার লাহোরে যাওয়া ঠিক হবে না যে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়।" ... ঘটনাটি ১৯৭৩ এর শেষ থেকে ১৯৭৪ এর মাঝামাঝি, আর এই কারণে যেই তাজ উদ্দীন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ ৯ মাস মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় ব্রতী ছিলেন সেই তাজ উদ্দিনকে ১৯৭৪ সালের ২৬শে অক্টোবর মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয় অত্যন্ত অপমানের সাথে, ঐদিন বেলা ১১টায় শেখ মুজিব নিজে সই করে চিঠি পাঠান তাজ উদ্দিনকে । অনেক মনঃব্যাথা নিয়ে তাজ উদ্দীন আহমেদ পদত্যাগ পত্রে সই করেন বেলা ১২টা ২২ মিনিটে। যেকোন ইতিহাসকে বিবরণ দেয়ার সময় একপাক্ষিক বর্ণনা খুব ই বিভ্রান্তিকর, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে পুরোপুরি ইতিহাস না জেনে/না বলে ধূম্রজাল তৈরি করা মোটেই শুভবুদ্ধির লক্ষণ নয়... তথ্যসূত্রঃ মিডনাইট ম্যাসাকার ইন ঢাকাঃ পৃষ্ঠা ২১-২২
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।