কুমিল্লা জেলা দড়্গিণ ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কুমিলস্নায় ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
রোববার সন্ধ্যায় এক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বিড়্গোভ মিছিল ও গাড়ি ভাংচুর করে। এনিয়ে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
নেতা-কর্মীদের সূত্র জানায়, দীর্ঘ ৭ বছর পর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কবিরুল ইসলাম শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠু হুইপের পড়্গে একক ভাবে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করে এনেছে এ খবর অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের কাছে পৌঁছলে দুপুর থেকেই তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরে বিুদ্ধ নেতা কর্মীরা মুজিব গ্রুপের তোহা নামের এক কর্মীকে মারধর করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিুদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ৬০/৭০ জনের একটি গ্রুপ শহরে মিছিল বের করে। এ মিছিল চলাকালেবেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার, অটো রিা ও রিা ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে হুইপ মুজিবের অফিসের সামনে তার কর্মীদের ধাওয়া করে বিুদ্ধরা। তারা বিভিন্ন স্থানে লাগানো জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মিঠুর ডিজিটাল ব্যানার নামিয়ে ফেলে। এসময় ছবি তুলতে গেলে দৈনিক আমাদের কুমিলস্নার স্টাফ ফটোগ্রাফার এনকে রিপন আহত হয়।
হকি স্টিক, বাঁশের লাঠি নিয়ে এ জঙ্গি মিছিলের কারণে ভয়ে শহরের প্রাণ কেন্দ্র কান্দিরপাড় জনশূন্য হয়ে পড়ে, ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে দেয়।
বিুদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা শহরের কান্দিরপাড়ে অবস্থান নেয়। তাদের দাবি ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অগণতান্ত্রিক ভাবে কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করছে। তারা আরও জানায়, গত কমিটি গঠন করার সময়ও কোন দলীয় শর্তাবলী না মেনে অযোগ্য ও অছাত্রদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। শহরে বড় বড় শিা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করলেও ছাত্রলীগের কমিটি বহিরাগত অছাত্রদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে।
এতে মানা হচ্ছে না বয়স এবং বৈবাহিক অবস্থার নিয়মাবলী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্রলীগ কর্মী জানায়, বয়স অতিক্রম করা ছাত্র নেতাদের দিয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করায় সুযোগ পাচ্ছে না নতুন কোন নেতা কর্মী। এতে করে সিনিয়র নেতা কর্মীদের উপর দিন দিন বিুব্ধ হয়ে উঠছে নতুন কর্মীরা। নতুন ছাত্রলীগের কমিটিতে সেসব নেতাকর্মীদের সরিয়ে নতুনদেরকে ছাত্র রাজনীতির সম্মুখভাগে আনতে হবে।
এঘটনার প্রেËিত যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কায় রয়েছে শহরের সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পাল্টা ধাওয়া করে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
শহরের যেকোন ধরণের রাজনৈতিক সহিষ্ণতা মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মীরা। সুত্র:laksam ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।