বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে মোরা এগোবোই দেশটাকে এগিয়ে নিতে হলে বিশ্বের কাছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। ফ্রান্স মানেই মানুষ আইফেল টাওয়ারের নাম বলে, হল্যান্ড মানেই ফুলের দেশ বলে, জাপান মানেই ভূমিকম্পের সাথে লড়াই করে অপরাজেয় জাতি হিসেবে চেনে, চীন মানেই পরিশ্রমী জাতির নাম আসে। তেমনি আমাদেরও এমন কিছু করে দেখাতে হবে যাতে বাংলাদেশ মানেই সেই ব্রান্ডের নাম চলে আসে। এই ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষিত সমাজকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনিতিবিদদের উপর আর বিশ্বাস রাখা যাচ্ছে না।
একচল্লিশ বছর তো কম নয়। এত বছরে আমরা কতটুকু এগোলাম? সারাবিশ্বে আফ্রিকার যেকোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের চেয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় আমাদের গুরুত্ব কম। আমাদের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুধু গলাবাজি নিয়েই আছেন। কোন একটা আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলনে তাদেরকে কেউ পাত্তা দেন না। নিজ থেকে পরিচয় না দিলে তাদের কেউ চিনেন না।
কিভাবে চিনবে? দেশটাকে বিশ্ববাসির নিকট পরিচিত করার জন্য তারা করেছেন টা কি?। ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় যাবার চিন্তায় তারা বিভোর। একই মহিলা বছরের পর বছর দল এবং দেশ দুটাই চালাচ্ছেন। তাদের মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে আমাদের কোন সংশয় নেই। কিন্তু আমারিকা যেখানে নতুন ধ্যান ধারনার নেতা পাওয়ার জন্য দুইবারের অধিক প্রেসিডেন্ট রাখেন না।
সেখানে আমরা অনন্ত কাল ধরে দুই নেত্রীর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি কেন? আমাদের দেশে তাদের চেয়ে যোগ্যতা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ না থাকলে এক কথা ছিল দেশের প্রধান দুই দলেই কম করে হলেও ১০ জন করে নেতার নাম বলা যাবে যারা দুই নেত্রীর চেয়ে অনেক ভালো ভাবে দেশ চালাতে পারবেন। আমাদের দেশে যোগ্যতার প্রধান মাপকাঠি হিসেবে পরিবার তন্ত্র খুবই জনপ্রিয়। এমপির ছেলে হচ্ছেন এমপি। বাবার রেখে যাওয়া এডভোকেট শিপ না পেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতির ছেলে তার এমপিত্ব ঠিকই পেলেন। একই ঘটনা ঘটেছে ভৈরবের ক্ষেত্রেও।
আমি বলি ওসব এলাকায় যারা বছরের পর বছর রাজনিতি করেছেন তারা কি এমপি হওয়ার যোগ্য নন? তাহলে তারা এত বছর রাজনীতি করলেন কেন? পারিবারিক ভাবে ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে এটাকে গণতন্ত্র বলে গলা ফাটানোর কি দরকার?
সমাজ বিপ্লবে রাজনীতিবিদদের আশা করা বিপ্লবটাকে নস্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট। যা করার আমাদের শিক্ষিত তরুন সমাজকেই করতে হবে। আসুন আমরা নিজের জায়গা থেকে এমন কিছু করি যাতে কোন না কোন ভাবে বিপ্লবটা আমার কাছ থেকেই শুরু হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।