আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাউন্ডুলেঃ ঈদ ভোগান্তি

বাঁধার দেয়াল ভেঙ্গে মোরা এগোবোই
ইদের আর বেশিদিন বাকি নেই। ঈদ যতই কাছে আসছে মানুষের ভোগান্তি ততই বাড়ছে। ট্রেনের টিকিটের জন্য ১৯ ঘণ্টা আগে থেকেই স্টেশনে মানুষ লাইন দিয়েছে। টিকেট ছাড়ার পর দেখা যাবে, কিছু টিকেট বিক্রির পরই কাউন্টার থেকে জানানো হবে টিকেট শেষ। মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে দেখবে বেশি টাকা দিয়ে পেছন থেকে মানুষ টিকেট নিয়ে যাচ্ছে।

অসহায়ের মত লাইনের লোক গুলো দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখবে। এবার আসা যাক বাসের কথায়। টিকেট কাটার পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার করেও যাত্রীরা বাসের দেখা পাবেন না। বাসে উঠতে পারলেও অনেককে লক্কড় যক্কড় বাসে উঠতে হবে। কপাল ভালো হলে ভালো বাসও পেতে পারেন।

তবে সিটটা পেছনে অথবা ইঞ্জিনের উপর পড়লেও দুঃখ করার কিছু নেই। নদী পথের ভোগান্তি তো বিশ্ববিখ্যাত। প্রতি বছরেই ঈদের আগে লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটে। লঞ্চ ডুবির পেছনে অনেক কারন আছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা।

এছাড়াও মান্ধাতার আমলের লঞ্চ পানিতে ডুববে নাতো আকাশে ভাসবে নাকি? এতসব ভোগান্তি সহ্য করেও মানুষ ঈদটা তার প্রিয় জনের সাথে করতে উন্মুখ হয়ে থাকে। এসব মানুষকে আপন জনের সাথে ঈদ করার জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নজরদারি একটু জোরদার করলেই এসব মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমানো সম্ভব। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রেল ষ্টেশনে যাতে টিকেট নিয়ে দু নম্বরি না হয় সেজন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজে লাগানো যায়।

বাস মালিকরা যাতে যাত্রীদের সাথে যা তা আচরন না করতে পারে সেজন্য বি আর টি সি কর্তৃপক্ষকে যথাযত ব্যবস্থা নিতে হবে। ফিটনেস বিহীন লঞ্চ যাতে যাত্রী বহন না করতে সেজন্য বি ডাব্লিউ কে আরও কঠোর হতে হবে। আমরা সাধারন মানুষ এমনিতেই নানা অনিয়মে পিষ্ট। এখন ঈদের বাড়ি ফেরাটা যাতে নির্বিঘ্ন হয় সেজন্য সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই আশাটুকু করা নিশ্চয় অপরাধ হিসেবে গন্য হবে না!
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।