মঙ্গলবার ওয়াশিংটন সময় সকাল সাড়ে ১১টায় পররাষ্ট্র দপ্তরেই এই বৈঠক হয়।
তবে এই বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়নি।
পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, শ্যারম্যানের দিনের কার্যসূচিতে ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের তথ্যটি দেয়া আছে। তবে বলা আছে ‘ক্লোজড প্রেস কভারেজ’।
সম্প্রতি ইউনূস সেন্টারের এক বিবৃতি নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের কড়া হুঁশিয়ারির মধ্যে ওয়াশিংটনে এই বৈঠক হল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গ্রামীণ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিষয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
“ড. ইউনূসের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম কিভাবে চলছে, তা জানতে চাওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। ”
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় নোবেলজয়ী ইউনূসকে। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে হেরে নিজ থেকে সরে যান তিনি।
এরপর গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করে আসছেন ইউনূস।
মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারাও নোবেলজয়ী একমাত্র বাংলাদেশির সমালোচনায় মুখর। আর এক্ষেত্রে বিএনপির সমর্থন পাচ্ছেন ইউনূস।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পুনরায় ফেরত পাওয়ার বাতিল নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
কারখানায় শ্রম পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ থেকে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে জিএসপি সুবিধা বাতিল করে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ইঙ্গিত, এক্ষেত্রে ইউনূসের ভূমিকা ছিল।
তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইউনূস বলেন, “আমরা যেহেতু ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে পারিনি, তাই তারা জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।