কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন..... আমি তোমার অধম সন্তান । অন্য সন্তানরা মানুষ হলেও , যে ছেলেটি মানূষ না হতে পারার জন্য কষ্ট পেতে, দূঃখ পেতে। আমি এখন পুরোপুরি একজন মানুষ। আমি এখন ম্যাশল ম্যানদের মতো আচরন করিনা। চিৎকার হৈ চৈ করিনা।
রাস্থার একপাশে হাটি। যে পাশে বের হই সে পাশেই ঘরে ফিরি। তোমার প্রিয় মানুষদের দেখলে সালাম দেই। আজ...আমি তোমাকে বড় বেশী মিছ করছি।
আই লাভ ইউ বাবা।
তোমার জীবদ্দশায় বুঝতে পারিনি তোমাকে হারানোর বেদনা। তোমার অর্থ কষ্ট ঋনের দায়, না পাওয়ার বেদনা, অবসর সময়,আনন্দ দুঃখ, এই অধম ছেলেটা বুঝতে পারেনি। তুমি কি ভাবতে মনে মনে । সেটা আমার কাছে এক বিরাট প্রশ্ন। কোন সুযোগই দিলেনা ।
একটু বুঝে উঠার সেবা করার।
যারা আমাকে দেখছে তোমার প্রিয়জন, তারা বলছে আমি নাকি দেখতে তোমারই মতো । চলাফেরা , কথাবলা , ভুলগুলো তোমারই মতো। তুমি কি আমার উপর বিদ্যমান। তূমি কি আমাকে পরোক্ষ , প্রত্যাক্ষভাবে ওপার থেকে প্রভাবিত করছো না।
.....................
তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে।
তুমি জীবিত আমার রক্তে ....
অস্থিত্বে ....
স্মৃতিতে.......
তুমি আমার বাবা......
আই লাভ ইউ.........
তোমার ঋনের দায় আমরা পরিশোধ করিয়াছি।
তুমি কি ভালো আছো।
কখনো মনে হয় বর্তমান বিশ্ব পুজিবাজার অর্থনীতিতে তুমি পরাজিত সৈনিক..........একজন শহীদ
যে বাবা উচ্চশিক্ষার জন্য জীবনের সব সঞ্চয় ব্যায় করে। উন্নত সমাজ প্রতিষ্টার স্বপ্ন দেখে।
তিনি শহীদ না হয়ে পারে না।
যে সন্তান প্রতিষ্টিত হয়েও শেষ সময়ে বাবার ইচ্ছাগুলো পূরন করতে পারেনা। অতিরিক্ত টেনশন পাওনাদারের চাপ অল্প কিছু অতিঃঋনের দায় তার জীবদ্দশায় পরিশোধ করা সম্ভব হলো না।
আমরা কি এর দায় এড়াতে পারি ।
বাবা, তুমি আমাদের ক্ষমা করো।
বি:দ্র: লিখাটি পুরাতন গতবছরের বাবা দিবসে আরো কয়েকবার প্রকাশিত হয়েছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।