চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে।
আপনারা অনেকেই হিন্দি ছবি "দোস্তানা" দেখে থাকবেন। অভিষেক আর জন আব্রাহাম বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে একটা প্যাঁচে পড়ে গে (পুরুষ সমকামী যুগল) সাজে। অভিষেকের মা একসময় জেনে যায় ব্যাপারটা (আসলে তারা গে নয় কিন্তু তিনি জানেন তারা গে) এবং প্রিয়াঙ্কার কাছে একটা সাইকোলজিক্যাল ট্র্যাপে পড়ে ওদের সম্পর্ক মেনে নিতে হয়। অভিষেকের মা পারিবারিক সংস্কার মেনে তার হাতের কাঁকন তার পুত্রবধূকে দিতে চান।
কিন্তু আব্রাহাম কি তার পুত্রবধূ না জামাতা!!! তাই, কাঁকন দেয়ার সময় অভিষেকের মা বলেন, "আমার পুত্রবধূ'কে এই কাঁকন দেয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আমি জানি না সে (জন আব্রাহাম) আমার পুত্রবধূ না-কি জামাতা"।
আমি আবার একটু দূষ্ট প্রকৃতির। সবকিছুর একটা খারাপ অর্থ (মানে সোজা অর্থ) বের করা আমার (বদ)অভ্যাস। অভিষেকের মা'র এই যে সন্দেহ "পুত্রবধূ না-কি জামাতা" এর অর্থ বের করলাম এভাবেঃ অভিষেকের মা আসলে বলেছেন, তার ছেলে (অভিষেক) কি ুটকি মারা খায় না-কি ুটকি মারা দেয়"।
মানে অভিষেক আব্রাহামকে লাগায় নাকি আব্রাহাম অভিষেককে লাগায় এই বিষয়টা তিনি নিশ্চিৎ নন।
সমকামীতা (গে/লেসবিয়ান) ব্যাপারটাকে আমি সবসময় সেক্সুয়ালি সিক/সাইকো হিসেবেই দেখি। অনেকে এখানে বায়োলজিক্যাল/সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশনের কথা বলেন। প্রকৃতিতে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে আমি এটা মানি কিন্তু সেক্সুয়াল বিকৃতিকে আমি সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন বলতে নারাজ। আমার ধারণার পেছনে কিছু কারণ অবশ্যই আছে।
অনেক পুরুষই দেখবেন তার বউয়ের সাথে সেক্স করতে করতে এক সময় পশ্চাৎদেশ ব্যবহার করতে চান, মানে হালকা আলাদা স্বাদ নিতে চান। এর মানে এই নয় যে, সে গে। আবার অনেক ছেলে আছে যারা নারী সঙ্গী পাচ্ছে না (ছাত্রজীবনে বা বিয়ের আগে যেকোন সময়), কোন বন্ধুর সাথে একাকী বা নির্জনে থাকলে তার সাথে সেক্স করার ব্যাপারটা মাথায় আসতে পারে। এর মানে কিন্তু এই নয় যে, সে গে। পশ্চিমা দেশে সেক্স ব্যাপারটা অপেন, মানে সহজলভ্য এবং সামাজিক বাধা নেই।
তাই সেক্সের স্বাদ তারা অনেক আগেই পেয়ে থাকে। যে ছেলে/মেয়ে ১৮ পার হওয়ার আগেই বাধাহীনভাবে সেক্সের স্বাদ নিয়েছে, ৩০/৩৫ পেরোনোর পরে তার মধ্যে একটা আলাদা স্বাদ নেয়ার প্রবনতা আসতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সেই ছেলে/মেয়ের মধ্যে গে/লেসবিয়ানের ইচ্ছা জাগতে পারে। এর অর্থ তারা আগে গে/লেসবিয়ান ছিল না, আলাদা স্বাদ নিতে গিয়ে তারা গে/লেসবিয়ান হয়েছে।
এবার আসি স্যার এল্টন জন এর বাবা হওয়ার ব্যাপারে।
আমি জানি না তিনি আগে গে ছিলেন না কি-না। এখন গে এটাই সর্বজন স্বীকৃত এবং তারা বিয়েও করেছে। যেহেতু এল্টন জন এবং তার সাথী (ফার্নিশ) দুজনই পুরুষ তাই সন্তান নিতে গেলে অবশ্যই একজন মেয়ে মানুষ লাগবে। পশ্চিমে প্রতিনিধি মাতা বলে একটা ধারণা/ব্যবসা চালু হয়ে গেছে। এই প্রতিনিধি মাতা অন্যের সন্তান নিজের গর্ভে স্থান দেন এবং সময় হলে প্রসব করেন।
এতে তিনি চুক্তিমত টাকা পান। পশ্চিমারা ইদানিং ভারতের নারীদের গর্ভ ভাড়া নিচ্ছেন। যাইহোক, প্রতিনিধি মাতা যদি অন্যের স্পার্ম নিয়ে সন্তান জন্ম দেন তাহলে জেনেটিক্যালি তিনি ঐ সন্তানের মা। আর যদি ভ্রুণ নেন তাহলে তিনি মা হবেন না, শুধু তার গর্ভে সন্তান থাকবে এবং প্রসব করবেন।
এল্টন জন এর ক্ষেত্রে কি ঘটেছে আমি জানি না, তবে প্রতিনিধি প্রতিনিধি মাতা'র সাহায্যে বাবা হয়েছেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।