৮৬ বছর বয়সী মন্ট বিচারচলাকালীন এই প্রথম মুখ খুললেন বলে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ১৯৮০’র দশকের প্রথমদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন স্কিল মায়ান আদিবাসীদের হত্যার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই।
জেনারেল রিওস মন্টির বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে বিচার চলছে।
গুয়াতেমালার গৃহযুদ্ধে প্রায় ২ লাখ মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই আদিবাসী মায়ান সম্প্রদায়ের মানুষ।
আদালতে মন্টির বিরুদ্ধে বিচার চলাকালে প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই নীরব ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপনের পরও মুখ খুলেননি তিনি।
কিন্তু আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ পর্যায়ে চলে আসায় তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন না করে থাকতে পারেননি।
৩ জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আদালতকে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই গণহত্যার নির্দেশ দেইনি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি নির্দোষ।
জাতীয় সম্প্রদায়, ধর্ম বা আদিবাসী সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার কোনো ধরনের অভিপ্রায়ই আমার ছিল না’।
প্রায় ১ ঘণ্টা ব্যাপী আত্মপক্ষ সমর্থনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি স্থানীয় পর্যায়ের গৃহযুদ্ধ থেকে গুয়াতেমালার জাতীয় পর্যায়ে সততা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এল কুইচে অঞ্চলের কমান্ডিং অফিসার যিনি ওই সেনা ইউনিটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি ওই অভিযানের জন্য দায়ী। ’
মন্টির বিরুদ্ধে ১৯৮২ থেকে ১৯৮৩ সালে ১৬ মাস ক্ষমতায় থাকাকালীন স্কিল মায়ান আদিবাসী সম্প্রদায়ের ১৭শ’রও বেশি মানুষকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
আগামী কয়েক সপ্তার মধ্যেই মন্টির বিচারের রায় ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।