মামলার বাদি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউনুস আলীর আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান বুধবার এরই আদেশ দেন।
বাদির আইনজীবী আজিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাদিকে হত্যার হুমকি দেয়ায় এবং আসামি যাতে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে না পারেন, সেজন্য জামিন বাতিল করতে বলেছেন বিচারক। ”
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য শনিবার পল্টনে রনির কার্যালয়ে গিয়ে মারধরের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ মমিন সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুল। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, সংসদ সদস্য রনি নিজেই প্রতিবেদক ও ক্যামেরাপার্সনের ওপর চড়াও হয়ে লাথি মারছেন।
ঘটনার পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ রনিকে আসামি করে একটি মামলা করে।
এরপর রনি পাল্টা মামলা করেন, যাতে দুই সংবাদিকসহ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানকেও আসামি করা হয়।
ইনডিপেনডেন্টের করা মামলায় রনি রোববার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
এরপর মামলার বাদি ইউনুস আলী তাকে টেলিফোনে হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে রনির বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেন এবং জামিন বাতিল চেয়ে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন।
বুধবার রনির অনুপস্থিতিতেই হাকিম আদালতে জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি হয়।
শুনানিতে রনির আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, তাদের শুনানির জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হয়নি।
এ কারণে আরো সময়ের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান তা নাকচ করে এদিনই শুনানি করেন।
আসামির আইনজীবী বলেন, টেলিফোনে হুমকি দেয়ার যে অভিযোগ রনির বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তার সঙ্গে বিটিআরসির প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। ফলে হুমকি যে রনেই দিয়েছেন, তা প্রমাণিত হয় না।
এছাড়া জিডি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যক্তি হওয়ায় তদন্ত নিরপক্ষতা হারিয়েছে বলেও দাবি করেন কবির হোসেন।
অন্যদিকে বাদীপক্ষে আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন আসামির জামিন বাতিলের আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা শুনানির পর আদালত সাংসদ রনির জামিন বাতিল করে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন গোলাম মাওলা রনি।
তবে অল্প দিনের ভেতরেই তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার খবর আসে গণমাধ্যমে। আয়কর বিবরণীতে সম্পদের তথ্যে গড়মিল পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে।
এর আগেও সাংবাদিকদের নিগৃহীত করার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রনি পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের বললেও পরে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বলেন, দল চাইলে তবেই তিনি পদত্যাগ করবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।