সুরা ফিল শানে নুযুল ও বাংলা ব্যখ্যা
নবীজী দুনিয়ার আগমনের বেশ কিছুদিন আগে বিধর্মী হেজাজের বাদশা আবরাহা মক্কা আক্রমন করে , তখনকার সময়ে জগতের
শক্তি শালি বাদশাহ ছিলেন । ৭০ হাজার সাজুয়া হস্তি বাহিনী ছিল
তার যুদ্ধ রন কৌশলের প্রধান উপকরন ।
আর আরবের কুরাইশরা ছিল সে সময়ে পৃথিবী বিখ্যাত শ্রেষ্ঠ তম
বংশ । বিশ্বের সব দেশের লোকেরাই মক্কায় এসে বানিজ্য স্থাপন এবং
কোরাইশদের সাথে ছিল ভাল সম্পর্ক ।
এমনকি কাবা ঘরের সম্মানে তারা কুরাইশদের খিরাজ প্রদান করতেন ।
কুরাইশদের আভিজাত্য কে হেয় করার মানসে বাদশা আবরাহা
তার হস্তি বাহিনী লয়ে হটাৎ মক্কা আক্রমন করে এবং ধংশ যজ্ঞ
চালাতে থাকে ।
সে সময় মোহাম্মদ সা এর দাদা কুরাইশ গোত্রপতিদের প্রধান ছিলেন , তার ছিল কয়েক হাজার উট , বাদশা আবরাহার লোকেরা
সব উট হস্তগত করলে নবীজীর দাদা আব্দুল মোতালিব বাদশার
নিকট গিয়ে উট ফেরত চাইলেন , বাদশা আবরাহা বললেন হে কুরাইশ সরদার আপনার দেশ এবং কাবা এখন আমার হস্তগত
আর আপনি কেমন মানুষ এসেছেন নিজের উট ফেরত নিতে সেটা বোকামি কিনা । তৎক্ষণাৎ কুরাইশ সরদার চিৎকার করে বললেন , কানায়ে কাবা আল্লাহর ঘর সেটা রক্ষা করবে যিনি মালিক তিনি । আমি উটের মালিক আমার উট ফেরত না নিয়ে এখান থেকে যাচ্ছিনা , বাদশার বুক ভয়ে কম্পিত হল ।
আরবের লোকেরা দেখল একধরনের ছোট ছোট আবাবিল পাখি
তাদের নখরে পাথর , আরআকাশ থেকে লক্ষ লক্ষ পাথর বৃষ্টি হস্তি বাহিনীর মাথায় পড়ে ধুলুয় মিশতে লাগল , নিমিশেই আব্রাহা এবং তার হস্তি বাহিনী , জাঁকজমক সবি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল ।
সুতরাং ইসলাম যদি আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হয় তাহলে রক্ষা করবে সেই , আমরা এস শয়তানের কুমন্ত্রনা হতে নিজেদের রক্ষা
করি নয়ত দুনিয়া ও আখেরাত আমাদের জন্য হবে অন্ধকার ।
আল্লাহ আমাদের কে তার হাবিবের আদর্শে এবং সঠিক সরল পথে রহমত হেদায়েত ও বুঝ দিন । আমিন
সত্যর আলোক ও চেনা চাই
সেই জ্ঞান হৃদয়ে জ্বালি তাই
কোরআন , কিতাবের শাশ্বত বানি
অন্ধকার দূর করে নিজেরে চিনি ।
মানবতা আর সত্য কে লয়ে সাথি
সমাজে গড়ি এস শান্তি ও সম্প্রিতি
উদার হৃদয় খুলে এস মিশে যাই
খোদার দেয়া জগতে শোক্রিয়া জানাই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।