সর্বদা আপডেট
আল্লাহর আইন এবং আল্লাহকে একমাত্র আইনপ্রণেতা মেনে নেওয়ার ধারণা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী জুলাইয়ে দলের মজলিসে শুরার বৈঠকে তাদের গঠনতন্ত্র থেকে আল্লাহকে একমাত্র আইনপ্রণেতা মেনে নেওয়াসংক্রান্ত শব্দগুচ্ছ বাদ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে জামায়াত।
দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধনের ব্যাপারে আজ সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে জামায়াত। কমিশন থেকে জামায়াতের গঠনতন্ত্রের মোট ছয়টি ধারার ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছিল।
তাতে বলা হয়েছিল, ছয়টি ধারা সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এ ব্যাপারে আজকের বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২/৫ ধারা থেকে ‘কাহাকেও স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধানদাতা ও আইনপ্রণেতা মানিয়া লইবে না এবং আল্লাহর আনুগত্য ও তাহার দেওয়া আইন পালনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নয় এমন সকল আনুগত্য মানিয়া লইতে অস্বীকার করিবে’—শব্দগুচ্ছগুলো বাদ দেওয়া হবে। বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, কমিশনের শর্তানুযায়ী ৫/২ ধারার এই অংশটুকু আগেই বাদ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর ভুলক্রমে ছাপা হয়ে গেছে।
জামায়াত ২০২০ সালের মধ্যে দলের সর্বস্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিধান গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করার শর্তও মেনে নিয়েছে।
অবশিষ্ট যেসব ধারার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আপত্তি জানিয়েছে, সে ব্যাপারে একমত হতে পারেনি জামায়াত।
বৈঠকে কমিশনের পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা, কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।