অগ্নিপুরুষ শব্দটি শুনলেই তার কথা মনে পড়ে যায়,
কদিন ধরেই তাকে নিঃশব্দে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছি।
জানি সে ধরাছোয়ার বাইরে থাকা নিঃসঙ্গ সত্তা,
সে উত্তপ্ত নক্ষত্র, সে সূর্য।
এতদূর পাড়ি দিয়ে তার আলোরা আমাদের ছুঁয়ে যায়,
ভালোবেসে সেই তপ্ত আলোর নাম দিয়েছি রোঁদ।
মাঝে মাঝে সূর্যকে ঢেকে দিয়ে যায় বিষন্ন কালমেঘ,
সেই মেঘ সরিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে মেঘভাঙ্গা রোঁদ।
জ্বলন্ত এই অগ্নিপুরুষের তীব্রতায় কখনো কখনো দগ্ধ হয় প্রকৃতি,
তার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে পীচঢালা রাস্তায় অথবা সবুজ বৃক্ষে।
কখনো তার কুসুমকোমল আভায় আকাশ সাজে সূর্যোদয়ে আর সূর্যাস্তে, মেঘেরাও সেইসাথে রাঙ্গায় আকাশকে..
তাই আকাশ হয়ে ওঠে স্বর্গোদ্যান।
অথচ এই অনম সূর্যকেও একদিন পরিবর্তিত হতে হবে,
আমাদের এই প্রিয় সূর্য গ্রাস করে নেবে আমাদেরই পৃথিবী।
আজ থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছর পর সূর্য নামের এই অগ্নিপুরুষ
রূপ নেবে রক্তাক্ত দানবে,
তার বিশালত্বের মোহ ক্রমেই ছাড়িয়ে যাবে ধ্বংস।
তার উত্তাপ ছিল আশীর্বাদ আর শীতলতা হবে অভিশাপ,
সে ক্রমশ শীতল হবে লালচে রঙে। তারপর যখন থেমে যাবে সে, ততক্ষনে আর কেউ থাকবেনা তার নতুন রূপ দেখার জন্য..
শুধু সে জেগে থাকবে, আরো পরিবর্তিত হবে বলে।
তারো বহুদিন পর, রক্তাক্ত দানবের শীতলতা বেড়ে যাবে অনেকগুন.. আর সেইসাথে তার লাল রঙ কালো হতে থাকবে।
একসময় শ্বেতনক্ষত্র হয়ে অপেক্ষায় থাকবে মৃত সূর্য,
একটি বিশাল হীরকখন্ড হয়ে কাটিয়ে দেবে আরো অনন্তকাল..
অমূল্য নক্ষত্র হয়ে মৃত মূল্যহীন একটি অগ্নিপুরুষ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।