শুধু না-কেই জানা এবং না-এরই সাধনা। জাকাত জেগে উঠবে না-এর কঠোর সালাতে। কোরানে মানবদেহের রুপক শব্দ
আলকোরআন হলো সৃষ্টি-রহস্য-জ্ঞ্যাপক সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ এবং ইহা মানবজীবনের একটি প্রতিচ্ছবি। ব্যাপকভাবে রুপক ভাষার ব্যবহার ইহার বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য। এতে সাহিত্যিক সৌন্দর্্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভাব-গাম্বীর্্য সৃষ্টি করে সর্বসাধারনের চিন্তা চেতনা হতে অর্থ্যাত্ ইতর প্রকৃতির জনতা হতে কৌশলের সাথে এর তত্ত্ব ও তথ্য দূরে রেখে এর মর্্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কোরান মানবদেহকে যে সকল রুপক শব্দে উল্লেখ করেছেন তার একটি বিবরন দেওয়া হলো যথাঃ
১। আর্দঃ যেমন “সামাওয়াতে ওয়াল আর্দ” অর্থ মন ও দেহ।
২। কেতাবঃ ‘কেতাব’ অর্থ মানবদেহ।
আল্ কেতাব অর্থ বিশিষ্ট মানবদেহ অর্থ্যাত্ মহাপুরুষের দেহ। যেমন পাপীর কেতাব হলো তার সিজ্জিন বা কারাগার,কারন সে জন্ম জন্মান্তরে দেহ কারাগারে বন্দি (৮৩ঃ৭-৯)। পাপীর কেতাব সিজ্জিনের মধ্যে আছে। তার এই কারাগারটা কি?ইহা লিখিত কেতাব। অর্থ্যাত্ তার দেহকেতাব তথা মস্তিস্ক খালী বা শুন্য নয় বরং বহু বিষয়াশয় তাতে লিখিত আছে।
এই জন্য দেহের বন্দিশালা হতে মুক্ত নয়।
৩। শাজারাঃ ‘শাজারা’ অর্থ জাহান্নামের বৃক্ষ। জাহান্নামের বৃক্ষকে বলা হয়েছে ‘সাজারাতা জাক্কুম’ অর্থ্যাত্ জাক্কুম গাছ। জান্নাতের গাছকে অর্থ্যাত্ জান্নাত বাসীর দেহকে বলা হয়েছে কলাগাছ,খেজুর গাছ,আঙ্গুর গাছ,ডালিম গাছ।
এইসব গাছের ফলগুলো থোকায় থোকায় জন্মায় এবং এদের বৈশিষ্ট্য হলো যে,একটি অপরটির সঙ্গে গায়ে গায়ে লেগে থাকে। জান্নাতবাসীর সদ্গুনগুলোও পরস্পর সুসংলগ্ন,বিক্ষিপ্ত প্রকৃতির নয়। এ ছাড়া জান্নাতবাসীর দেহের রুপক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে কন্টক অপসারিত পদ্ম,রেশম খচিত কার্পেট। লা-মোকামের গাছকে অর্থ্যাত্ মুক্তির দেশের গাছকে বলা হয়েছে ‘সাজারাতু তুয়া’। জান্নাত বাসীগন তুয়াগাছের আশ্রয়েই থাকেন।
৪। জিবালঃ ‘জিবাল’ অর্থ পাহাড়। মানবদেহকে পাহাড় বলা হয়েছে। হিজর (অর্থ পাথর) বলা হয়েছে সেইরুপ মানবদেহকে,যাহাতে শিরিক আর প্রবেশ করে না যেমন পাথরের ভিতরে পানি প্রবেশ করে না। সেইরুপ পাথরে কোনো গাছ বা লতাপাতা জন্মায়ও না।
৫। কবরঃ মানবদেহের আর একটি রুপক শব্দ হলো কবর। ‘কবর’ অর্থ জ্যান্ত জীবদেহ।
৬। বিছানা,দোলনাঃ মানবদেহকে রুপক করে ‘বিছানা’ ও ‘দোলনা’ বলে প্রকাশ করা হয়েছে।
আমরা বিছানায় এবং দোলনায় সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়ে থাকি। কেউ জান্নাতের দোলনায়,কেউ জাহান্নামের দোলনায় সাময়িক আশ্রয়গ্রহন করি।
৭। কারাগারঃ মানবদেহকে ‘কারাগার’ বলা হয়েছে। এতে মুক্তপুরুষ ব্যতীত সকল মানুষ বন্দি হয়ে আছে।
৮। রবের মোকামঃ মানবদেহকে ‘রবের মোকাম’ অর্থ্যাত্ রবের ঘর বলা হয়েছে (৫৫ঃ৪৬)।
৯। সাঈদঃ ‘সাঈদ’ অর্থ উন্নত মাটি,কবর তথা মানবদেহ। সাঈদ শব্দটিকে তিন প্রকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
যথাঃ
ক)‘সাঈদান তাইয়েবা’ অর্থ্যাত্ পবিত্র উন্নত মাটি অর্থ্যাত্ সিদ্ধপুরুষ।
খ)‘সাইদান জালাকা’ অর্থ্যাত্ গাছপালা মুছে ফেলা উন্নত মাটি বা নবজাত শিশু যাহার স্মৃতিফলক হতে তার সৃজিত পুর্বস্মৃতি অর্থ্যাত্ পুর্বজনমের স্মৃতি সকলই মুছে ফেলা হয়েছে।
গ)‘সাইদান জুরুজা’ অর্থ্যাত্ আহত ও নিঃস উন্নত মাটি, অর্থ্যাত্ একটি নবজাত শিশু যে নবজন্মে আসবার পুর্বক্ষনে স্মৃতিফলকে মৃত্যুর আঘাত খেয়ে পুর্বস্মৃতি হারিয়ে নবজন্মে এসেছে।
১০। কাহাফঃ আপনদেহের মধ্যে সমাধিস্থ হয়ে থাকা অবস্থাকেই ‘কাহাফে থাকা’ বলে।
সুতরাং দেহকেই কাহাফ বলা হয়েছে।
এই ছাড়া আরও কিছু সুক্ষ রুপক ব্যবহার কোরানে দেখতে পাওয়া যায় যা সজাগভাবে পাঠ বা অনুধাবন করলেই দৃষ্টিগোচর হবে। যথাঃ কাবাঘর মানবদেহের প্রতীক। কাবাঘরের শেরেকমুক্ত শুদ্ধ অবস্থাকে ‘মসজিদুল হারাম’ বলে। মসজিদুল হারাম সিদ্ধপুরুষের ‘সিদরাতুল মোন্তাহা’ অর্থ সৃষ্টির শেষপ্রান্তের বৃক্ষ।
বৃক্ষ বলতে মানবদেহকে বুঝায়। যে মানবদেহে সর্ব উচ্চ মানের উত্কর্ষ সাধিত হয়েছে সেইরুপ একটি দেহকে সিদরাতুল মোন্তাহা বলে। এর নিকটবর্তী অবস্থানে জান্নাতের বসতি এবং এর অপর প্রান্তে লা-মোকাম বা মোকামে মাহমুদা। এ হেন স্তরের মহাপুরুষগন যখনই আচ্ছাদিত হন তখন যা দ্বারা হবার তা দ্বারাই হন। অর্থ্যাত্ নুরে মোহাম্মদী দ্বারা।
তিনি বিষয় মোহে আর কখনও আচ্ছাদিত হন না।
কোরানুল হাকীমের কিছু শব্দের সঠিক রুপক অর্থ না করলে বা করতে না পারলে এর ভাবধারা অনুধাবন করা সম্বব না।
কোরানে মানবদেহের রুপক শব্দ
আলকোরআন হলো সৃষ্টি-রহস্য-জ্ঞ্যাপক সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ এবং ইহা মানবজীবনের একটি প্রতিচ্ছবি। ব্যাপকভাবে রুপক ভাষার ব্যবহার ইহার বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য। এতে সাহিত্যিক সৌন্দর্্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভাব-গাম্বীর্্য সৃষ্টি করে সর্বসাধারনের চিন্তা চেতনা হতে অর্থ্যাত্ ইতর প্রকৃতির জনতা হতে কৌশলের সাথে এর তত্ত্ব ও তথ্য দূরে রেখে এর মর্্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কোরান মানবদেহকে যে সকল রুপক শব্দে উল্লেখ করেছেন তার একটি বিবরন দেওয়া হলো যথাঃ
১। আর্দঃ যেমন “সামাওয়াতে ওয়াল আর্দ” অর্থ মন ও দেহ।
২। কেতাবঃ ‘কেতাব’ অর্থ মানবদেহ।
আল্ কেতাব অর্থ বিশিষ্ট মানবদেহ অর্থ্যাত্ মহাপুরুষের দেহ। যেমন পাপীর কেতাব হলো তার সিজ্জিন বা কারাগার,কারন সে জন্ম জন্মান্তরে দেহ কারাগারে বন্দি (৮৩ঃ৭-৯)। পাপীর কেতাব সিজ্জিনের মধ্যে আছে। তার এই কারাগারটা কি?ইহা লিখিত কেতাব। অর্থ্যাত্ তার দেহকেতাব তথা মস্তিস্ক খালী বা শুন্য নয় বরং বহু বিষয়াশয় তাতে লিখিত আছে।
এই জন্য দেহের বন্দিশালা হতে মুক্ত নয়।
৩। শাজারাঃ ‘শাজারা’ অর্থ জাহান্নামের বৃক্ষ। জাহান্নামের বৃক্ষকে বলা হয়েছে ‘সাজারাতা জাক্কুম’ অর্থ্যাত্ জাক্কুম গাছ। জান্নাতের গাছকে অর্থ্যাত্ জান্নাত বাসীর দেহকে বলা হয়েছে কলাগাছ,খেজুর গাছ,আঙ্গুর গাছ,ডালিম গাছ।
এইসব গাছের ফলগুলো থোকায় থোকায় জন্মায় এবং এদের বৈশিষ্ট্য হলো যে,একটি অপরটির সঙ্গে গায়ে গায়ে লেগে থাকে। জান্নাতবাসীর সদ্গুনগুলোও পরস্পর সুসংলগ্ন,বিক্ষিপ্ত প্রকৃতির নয়। এ ছাড়া জান্নাতবাসীর দেহের রুপক শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে কন্টক অপসারিত পদ্ম,রেশম খচিত কার্পেট। লা-মোকামের গাছকে অর্থ্যাত্ মুক্তির দেশের গাছকে বলা হয়েছে ‘সাজারাতু তুয়া’। জান্নাত বাসীগন তুয়াগাছের আশ্রয়েই থাকেন।
৪। জিবালঃ ‘জিবাল’ অর্থ পাহাড়। মানবদেহকে পাহাড় বলা হয়েছে। হিজর (অর্থ পাথর) বলা হয়েছে সেইরুপ মানবদেহকে,যাহাতে শিরিক আর প্রবেশ করে না যেমন পাথরের ভিতরে পানি প্রবেশ করে না। সেইরুপ পাথরে কোনো গাছ বা লতাপাতা জন্মায়ও না।
৫। কবরঃ মানবদেহের আর একটি রুপক শব্দ হলো কবর। ‘কবর’ অর্থ জ্যান্ত জীবদেহ।
৬। বিছানা,দোলনাঃ মানবদেহকে রুপক করে ‘বিছানা’ ও ‘দোলনা’ বলে প্রকাশ করা হয়েছে।
আমরা বিছানায় এবং দোলনায় সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়ে থাকি। কেউ জান্নাতের দোলনায়,কেউ জাহান্নামের দোলনায় সাময়িক আশ্রয়গ্রহন করি।
৭। কারাগারঃ মানবদেহকে ‘কারাগার’ বলা হয়েছে। এতে মুক্তপুরুষ ব্যতীত সকল মানুষ বন্দি হয়ে আছে।
৮। রবের মোকামঃ মানবদেহকে ‘রবের মোকাম’ অর্থ্যাত্ রবের ঘর বলা হয়েছে (৫৫ঃ৪৬)।
৯। সাঈদঃ ‘সাঈদ’ অর্থ উন্নত মাটি,কবর তথা মানবদেহ। সাঈদ শব্দটিকে তিন প্রকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
যথাঃ ক)‘সাঈদান তাইয়েবা’ অর্থ্যাত্ পবিত্র উন্নত মাটি অর্থ্যাত্ সিদ্ধপুরুষ।
খ)‘সাইদান জালাকা’ অর্থ্যাত্ গাছপালা মুছে ফেলা উন্নত মাটি বা নবজাত শিশু যাহার স্মৃতিফলক হতে তার সৃজিত পুর্বস্মৃতি অর্থ্যাত্ পুর্বজনমের স্মৃতি সকলই মুছে ফেলা হয়েছে।
গ)‘সাইদান জুরুজা’ অর্থ্যাত্ আহত ও নিঃস উন্নত মাটি, অর্থ্যাত্ একটি নবজাত শিশু যে নবজন্মে আসবার পুর্বক্ষনে স্মৃতিফলকে মৃত্যুর আঘাত খেয়ে পুর্বস্মৃতি হারিয়ে নবজন্মে এসেছে।
১০। কাহাফঃ আপনদেহের মধ্যে সমাধিস্থ হয়ে থাকা অবস্থাকেই ‘কাহাফে থাকা’ বলে।
সুতরাং দেহকেই কাহাফ বলা হয়েছে।
এই ছাড়া আরও কিছু সুক্ষ রুপক ব্যবহার কোরানে দেখতে পাওয়া যায় যা সজাগভাবে পাঠ বা অনুধাবন করলেই দৃষ্টিগোচর হবে। যথাঃ কাবাঘর মানবদেহের প্রতীক। কাবাঘরের শেরেকমুক্ত শুদ্ধ অবস্থাকে ‘মসজিদুল হারাম’ বলে। মসজিদুল হারাম সিদ্ধপুরুষের ‘সিদরাতুল মোন্তাহা’ অর্থ সৃষ্টির শেষপ্রান্তের বৃক্ষ।
বৃক্ষ বলতে মানবদেহকে বুঝায়। যে মানবদেহে সর্ব উচ্চ মানের উত্কর্ষ সাধিত হয়েছে সেইরুপ একটি দেহকে সিদরাতুল মোন্তাহা বলে। এর নিকটবর্তী অবস্থানে জান্নাতের বসতি এবং এর অপর প্রান্তে লা-মোকাম বা মোকামে মাহমুদা। এ হেন স্তরের মহাপুরুষগন যখনই আচ্ছাদিত হন তখন যা দ্বারা হবার তা দ্বারাই হন। অর্থ্যাত্ নুরে মোহাম্মদী দ্বারা।
তিনি বিষয় মোহে আর কখনও আচ্ছাদিত হন না।
কোরানুল হাকীমের কিছু শব্দের সঠিক রুপক অর্থ না করলে বা করতে না পারলে এর ভাবধারা অনুধাবন করা সম্বব না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।