ব্যক্তিগত প্যাচাল পছন্দ না হলে বের হয়ে যান আমার ব্লগ থেকে। :) ক্লাস এইট অথবা নাইনে পড়ি তখন। বন্ধুদের মাঝে লুলিয় ভাব কেবল জাগতে শুরু করেছে। কারও কারও মনে আবার ভালবাসার ঝড় ও প্রবল বেগে বইতে শুরু করেছে।
ভালবাসা নিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন কাহিনী শুনি।
আর হাসাহাসি করি।
জিলা স্কুলের ছাত্র ভি এম স্কুলের সামনে কলার উঁচিয়ে দাড়িয়ে থেকে লুলিয়গিরি করাটা অনেকেই বাহাদুরি ভাবত। আর নানা ঘটা ঘটনা আমরা পরে শুনতাম।
একদিন শুনি কোন বন্ধু মেয়েকে প্রপোজ করে ঝারি খাইছে।
আর একদিন শুনি কেউ জুতা দেখছে হাতে।
কেউ মেয়ের মায়ের কাছ থেকে ইচ্ছামত বকা খাইছে।
কেউ মেয়ের বাপকে দেখে দৌরে পালাইছে।
কেউ মেয়ের নাম হাত/পা কেটে লেখার পর ও ব্যর্থ হয়েছে।
একদিন শুনতে পেলাম আমাদের এক খুব ভাল বন্ধু একটা মেয়েকে প্রপোজ করার পর মেয়েটা খুব জোরে থাপ্পড় মেরেছে। ঘটনা তখন খুব বিবেকে লেগেছিল।
মনে হয়েছিল পুরুষজাতির কলঙ্ক। একটা মেয়েকে থাপ্পড় মারবে আর আমি কিছু বলব না এটা কোন কথা হল নাকি।
একা একাই চুপচাপ বসে ভাবতাম। একটা মেয়েকে আমি প্রপোজ করার পর আমাকে বাম গালে থাপ্পড় মারে,সাথে সাথে আমিও তার বাম গালে জোরে থাপ্পড় মারি। আহ কি শান্তি।
একা একাই হাসি ভেবে।
আবার বসে ভাবি, আচ্ছা যদি মেয়েটি থাপ্পড় মেরে দ্রুত ঘুরে চলে গেলে কি করব?সাথে সাথে সমাধান। দৌড়ে মেয়েটার সামনে গিয়ে বাম গালে জোরে থাপ্পড়। তারপর দৌড়ে চলে আসব।
আহারে কত ইচ্ছা ছিল একটা মেয়েকে জোরে থাপ্পড় মারার।
কখনও কোন মেয়েকে প্রপোজ করা হয় নি
। আমার ইচ্ছা ও পুরন হয় নি। কেমন করে যেন নিজের বাহুবন্ধনে একজন কে পেয়ে গেছি।
আগের দিনের এসব অপরিপক্ক চিন্তাভাবনা মনে পরলে এখন খুব হাসি পায়। মজা পাই ভেবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনাদের এরকম কিছু শেয়ার করতে ভুলবেন না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।