মঙ্গলবার রাজধানীতে কাছকাছি সময় দুটি আলাদা অনুষ্ঠানে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং স্বাধীনতা দিবসে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ গাওয়ার কর্মসূচি আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানব পতাকা গড়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা নেয়ার পর লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমেও রেকর্ড গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।
এ আয়োজনের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য গত ১৪ মার্চ গণভবনে বিভিন্ন টেলিকম প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ব্যাংক এবং বীমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার চেক গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতারাও ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর হাতে সহায়তার চেক দেন, যাদের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাও ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক চিহ্নিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের’ প্রতিষ্ঠান’ ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তার ওই অনুষ্ঠানে থাকার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে পরিচালিত ইসলামী ব্যাংকের টাকায় বাংলাদেশের এ বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “আমি মনে করি টাকা ফেরত দেয়া উচিত। আমি জানি না আমার কী হবে; ইসলামী ব্যাংকের টাকা দিয়ে জাতীয় সংগীত হবে না। টাকা ফেরত দেয়া হবে। ”
তার কিছুক্ষণের মধ্যে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সংস্কৃতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান নূর।
নূর বলেন, “লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা অনুষ্ঠানের জন্য তাদের কাছ থেকে অনুদান নেয়া হয়নি। কারণ বিষয়টিতে আবেগ জড়িত। ”
মন্ত্রী বলেন, “গত বিশ্বকাপে ইসলামী ব্যাংক থেকে অনুদান নেয়ার কারণে বিতর্ক হয়েছিল। তাই বিতর্কে যেতে চাইনি বলে ইসলামী ব্যাংক থেকে কোনো অর্থ নেয়া হয়নি।
”
তবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইসলামী ব্যাংক জড়িত আছে বলে জানান তিনি।
গণজাগরণ আন্দোলনে সংহতি জানানো আসাদুজ্জামান নূর এর ব্যাখ্যায় বলেন, “তারা তো (ইসলামী ব্যাংক) আর বেআইনি ব্যাংক নয়। ”
স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠেয় লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচির সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান সংস্কৃতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রায় তিন লাখ লোক একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে।
তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পোশাক কারখানা নিজেদের অর্থে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মন্ত্রণালয়ের ২০/২৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে বলে জানান তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।