পাশেই তো থাকে দৃষ্টির আড়ালে তবু দৃষ্টিতে মিশে দূরের ঐ মেঘমালা কে বলেছিলাম আমি শূন্যতায় বাস করি সে একটু হেসে বিদ্রূপ করে বলেছিল তুমি তো শূন্যতার মেয়ে গভীরের অন্তনীলে শূন্যতার বুকে তোমার জন্ম
একাকী অলস নিঃসঙ্গতায়,
ভাবনাগুলো এলোমেলো হয়ে ছুটে যায়।
সকাল থেকে অনবরত রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। প্রকৃতি যেন কোন এক অদৃশ্য ফাঁকে শীতল করে গেছে পৃথিবীকে। রাস্তায় পা রাখতে বৃষ্টি পাগলের মতো ছুটে এলো। চোখের পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে বৃষ্টিরা উৎসবে মেতেছে।
আমার সঙ্গীরা প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে আছে বৃষ্টির এই উচ্ছ্বলতায়। ওদের চোখেমুখে রাজ্যের বিরক্তি আর আমার চোখে ভাললাগার প্লাবন। প্রকৃতির মাতাল মোহে আমি নিশ্চুপ হেঁটে চলেছি। আশেপাশের কোনো কিছুই এখন স্পর্শ করছে না। মন থেকে যেন শত বছরের কষ্টগুলো ধুয়ে নিচ্ছে বৃষ্টি।
চোখের পাতায় টুপটাপ বৃষ্টির ছোঁয়া লাগছে।
শীতল উচ্ছ্বল পরিপূর্ণ মন আমার।
আমাদের পাশ কেটে মৃত্যুর সাইরেন বাজাতে বাজাতে একটি এ্যাম্বুলেন্স ছুটে গেল। হঠাৎ যেন দমকা হাওয়া এসে পালটে দিল প্রকৃতির রূপ। হয়তো প্রকৃতি যেমন ছিল তেমনি আছে শুধু আমার ভাবনা গুলো বিষণ্ণতায় রূপ পেল।
এক পলক আকাশের দিকে চোখ তুলতেই বৃষ্টির জলের সাথে কি আমার চোখের জল ও মিশে গেল? হয়তো তাই হবে!
জানিনা কার কষ্টে আজ আকাশ অঝোর ধারায় কাঁদছে। প্রতিদিন এই পথে কত মানুষ জীবনে শেষবারের মতো হেঁটে যায়; সেও কি জানতো এই পথের পরে পৃথিবীর কোন পথে সে আর পা রাখবে না? হয়তো জানতো! কিন্ত আমি কি জানি, আজই আমার জীবনের শেষ দিন কিনা? হয়তো কোনো একদিন এই পথের শেষে আমার জীবন মিশে থাকবে। হয়তো সেদিনও আকাশ এমন করে কেঁদে উঠবে। অনবরত বৃষ্টি ঝরিয়ে কারো মন সিক্ত করে দেবে। আমার প্রিয়জনদের চোখের জল বৃষ্টিতে মিশে যাবে।
তারপর আবার আকাশ হেসে উঠবে। সূর্যের উত্তাপে ঝলসে যাবে পৃথিবী।
তবু প্রতিদিন মৃত্যুর সুর বেজে উঠবে কারো না কারো ঘরে।
কখনো কখনো বৃষ্টি এসে ধুয়ে নিয়ে যাবে কষ্টগুলো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।