আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহাশূন্যের বিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি হবে কেয়ামত

জীবনের প্রত্যেক প্রবাহ অমৃত চায়। ‘তিনিই তো আল্লাহ, যিনি স্তম্ভ ব্যতিকেরেই আসমানসমূহ সমুন্নত রেখেছেন, যা তোমরা দেখতে পাচ্ছো; অতপর, তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হলেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্ম নিরত রাখলেন, প্রত্যেকেই এক সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরিক্রমন করে চলেছেন। ’ ( আল-কোরআন- সুরা রা’দ, আয়াত-২) ‘ আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আল্লাহ তায়ালা রজনীকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রজনীর মধ্যে প্রবিষ্ট করায়েছেন। আর, সুর্য ও চন্দ্রকে আজ্ঞাধীন করেছেন, প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলতে থাকবে; আর নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমরা যা কিছু করছো , তার খরর রাখেন। ’ (আল-কোরআন- সুরা লুক্কমান , আয়াত-২৯) তিনি রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্যে প্রবেশ করান এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মরত রাখেন; উহারা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময় সীমা পর্যন্ত চলতে থাকবে; এতো সে-ই আল্লাহ যিনি তোমাদের প্রতি প্রতিপালক, মালিকানা- আধিপত্য তো শুধু তাঁরই; আর তোমরা তাঁকে ছাড়া যাদেরকে ডাকছো তারা তো একটি খর্জুর বিচীর খোসারও মালিক নয়।

’ (আল-কোরআন- সুরা ফাত্বির, আয়াত-১৩) এবং সূর্য তাহার অবস্থান স্থলের পানে অগ্রসরমান; ইহা পরাক্রমশালী মহাজ্ঞানীর নিয়ন্ত্রন। (আল-কোরআন- সুরা ইয়াসিন, আয়াত-৩৮) ‘আকাশমন্তল ও ভ’মন্ডলকে তিনি সত্যের উপর সৃষ্টি করেছেন, তিনিই রাত্রকে দিনের উপর মুড়িযা রাখেন এবং দিনকে রাতের উপর মুড়িয়া রাখেন; এবং সূর্য ও চন্দ্রকে সুনিয়ন্ত্রিত করেন। প্রত্যেকেই এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলছে, সাবধান! তিনিই মহাপরাক্রম ক্ষমাশীল। ’ ( আল কোরআন- সুরা যুমার, আয়াত-৫) উপরে উল্লেখিত আল কোরআনের পাঁচটি আয়াত এর আন্ডার লাইন করা অংশগুলোর বক্তব্য ও অর্থ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ, সূর্য - যা আমাদের জীবনদায়িনী নক্ষত্র, একটি নির্দিষ্ট অবস্থানের দিকে অগ্রসরমান এবং তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলবে।

সূর্য একটি নক্ষত্র। যার বয়স মোটামুটিভাবে সাড়ে চারশত কোটি বছর। এটাই বর্তমানে মহাশূন্য পদার্থ বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের সর্বশেষ ধারনা বা সিদ্ধান্ত। সূর্যের অভ্যন্তরের হাইড্রোজেন অনু প্রতিনিয়ত হিলিয়াম অনুতে রূপান্তরিত হচ্ছে। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট বিচার করে আধুনিক বিজ্ঞান এই মর্মে রায় দিয়েছে যে, সূর্য এখনো তার বিবর্তনের প্রাথমিক অবস্থানে আছে।

স্মর্তব্য যে, আধুনিক বিজ্ঞানের হিসাব মোতাবেক সূর্যসহ অপরাপর নক্ষত্রের বিবর্তনের প্রাথমিক পর্যায়ের মেয়াদ মোটামুটিভাবে এক হাজার কোটি বছর। সুতরাং সেই মতবাদ অনুযায়ী সূর্যের বিবর্তনের এই প্রাথমিক পর্যায় আরও সাড়ে পাঁচশত কোটি বছর আছে। আধুনিক বিজ্ঞানের পরীক্ষা ও নিরীক্ষায় এটাও সাব্যস্ত হযেছে যে, এভাবে নক্ষত্র সমূহ যখন বিবর্তনের চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে যায়, তখন তাদের উত্তাপ-আলো ক্রমশঃ হ্রাস পেতে থাকে এবং সেই অনুপাতে বৃদ্ধি পায় নক্ষত্রের উপরিস্তরের ঘনত্ব। যার মাধ্যমে নক্ষত্র তার অনিÍম দশার দিকে এগিয়ে যায়। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, সূর্যের এই নিজস্ব গন্তব্য স্থানটি যে কোথায় আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হযেছে; এমনকি জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ ইতোমধ্যে সুর্যের সেই নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলের নামকরন পর্যন্ত করে ফেলেছেন।

তা হলো- ‘সোলার এপেক্স’। আমাদের এই জীবন-দায়িনী নক্ষত্র - সূর্য মোটামুটিভাবে প্রতি সেকেন্ডে ১৯ কিলোমিটার বেগে মহাশূন্যের সেই নির্দিষ্ট কেন্দ্রের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞানের এতো সব তথ্যজ্ঞান লাভ করার পর এবং বিশেষতঃ এতদসংক্রান্ত বিষযে কোরআনে যে সব বক্তব্য রযেছে, তা জেনে নেওযার পর - উভয় ধরনের তথ্য ও বক্তব্যের তুলনামূলক বিচার বিশ্লেষনকে এড়িয়ে যাওয়া কোন জ্ঞান-সম্পন্ন মানুষের পক্ষে স¤ভব নয়। এখানে বলা আবশ্যক যে, যদিও মহান স্রষ্টা অসীম ক্ষমতাধর আল্লাহ কোরআনে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ( যখন মানুষের পক্ষে বিজ্ঞানের এই তত্ত্বের তথ্য সম্পর্কে বিন্দু বিসর্গ অনুধাবন করা সম্ভব ছিলনা। ) এই সকল বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

যার মধ্যে নিহিত রয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান সমর্থিত অত্যাশ্চার্য তথ্য জ্ঞান। মহা-জাগতিক সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় বিবর্তন পরিবর্তনের সেই ধারা অব্যাহত আছে। যার চলমানতাই একদিন ধ্বংশ হবে আমাদের মহাবিশ্ব। যাকে ‘কেয়ামত বা ধ্বংশ’ অভিধায় আক্ষায়িত করা হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।