তিনি বলেন, “পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন আগের মতোই অব্যহত রাখব। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ উদ্দেশ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। ”
বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, “তারল্য বাড়াতে আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে সর্বশেষ উদ্যোগ হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে নয়শ কোটি টাকার তহবিল গঠন। এছাড়া সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
”
বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ ছয়মাস দেশের আর্থিক খাত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুদ্রানীতিতেই চলবে। গভর্নর বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়টি মাথায় রেখে এবারের মুদ্রানীতি হবে ‘ভারসাম্যপূর্ণ’।
মুদ্রানীতিতে ব্যাংকগুলোর বিধিবদ্ধ সঞ্চিতি অনুপাতগুলো (সিআরআর এসএলআর) অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে পুরনো ভিত্তিবছরের হিসাবে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে জুলাই-ডিসেম্বরের মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, “মজুরি ভাতা বৃদ্ধিজনিত চাপের আশঙ্কা, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টির ঝুঁকি, প্রতিবেশী দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্যও চ্যালেঞ্জ।
”
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা অর্জনও চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মুদ্রানীতির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, অবকাঠামো খাতে ও অন্যান্য বিনিয়োগ কার্যক্রমে বড় ধরনের গতিশীলতা আনা না গেলে প্রবৃদ্ধির বাস্তব অর্জন গত ১০ বছরের গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২ শতাংশের চেয়ে খুব বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক পুরো অর্থবছর জুড়ে নিয়মিতভাবে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হালনাগাদ করবে এবং পূর্বাভাসের যে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মুদ্রানীতিও নমনীয় করা হবে বলে গভর্নর জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।