http://new.ittefaq.com.bd/news/view/18368/2011-06-01/21 পড়ন অথবা ক্লিক করেন ... সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ৫ম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শর্ট-ফিল্ম প্রতিযোগিতায় ট্যালেন্টেড অ্যাওয়ার্ড লাভ করে শর্ট-ফিল্ম ‘বার্গার’। তরুণ পরিচালক আলি মোর্তজা জেকি উদীয়মান গল্পকার ফিহির হোসাইনের বার্গার গল্পের উপর ভিত্তি করে এ ছবিটি নির্মাণ করেন। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ১৬টি ফিল্মকে ট্যালেন্টেড অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করা হয়। যার মধ্যে বার্গারের বাস্তবধর্মী কাহিনী সবার দৃষ্টি কাড়ে।
চমত্কার একটি কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে বার্গার গল্পটি।
গল্পের শুরুটা পড়ে মনে হবে গল্পটা একেবারে সাদাসিধে ও প্রেমময়। অথচ, বাস্তবতার সাথে গল্পের কাহিনীর পুরোটাই মিল রয়েছে। আমাদের সমাজে আমাদের চোখের আড়ালে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদেরকে নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। এমনকি সরকারেরও না। কিন্তু সেই মানুষগুলো পথ চলে।
তারাও স্বপ্ন দেখে রাশি রাশি। বাঁচতে চায় সমাজের আর দশটা মানুষের মত। তাদের হাত-পা অদৃশ্য শিকলে বাঁধা। সারকেলের হাতির মতই তারা যেন কোথায় বন্দি হয়ে আছে। ইচ্ছে করলেই এই মানুষগুলোর স্বীয় স্বপ্ন বাস্তবতায় পৌঁছাতে পারে না।
অনেকে স্বপ্নের দ্বার থেকে ফিরে আসে। অনেকের স্বপ্ন ঐ স্বপ্নাকাশেই থেকে যায়। তবুও তারা তৃপ্ত। মেঘের আড়ালে সূর্যের রশ্মি খেলার মতই তাদের জীবনে শত দুঃখের মাঝে মুখে ফুটে থাকে নির্মল হাসি। এমনি এক বাস্তব চিত্র খুঁজে পাওয়া যায় গল্পকার ফিহির হোসাইনের বার্গার গল্পটিতে।
যার বাস্তবতায় সকলের হূদয়ে দাগ টানে। নইলে কি আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ৫ম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শর্ট-ফিল্ম প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয় গল্পটি? যেখানে ২৩টি দেশের মোট ৯৭টি শর্ট-ফিল্ম জমা পড়ে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশে প্রশংসিত হয় ‘বার্গার’। এ যেন পুরো বাংলাদেশের তারুণ্যেরও এক বিশেষ অর্জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ৫ম আন্তর্জাতিক শর্ট-ফিল্ম প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি গোথে ইনস্টিটিউটের পরিচালক জুডিথ মির্কবার্গ-এর কাছ থেকে সম্মাননার সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন এর পরিচালক জেকি।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন গল্পকারসহ ‘খেলা-ক্রিয়েশন’ চলচ্চিত্র দলের সব সদস্য।
গল্পকার ফিহির হোসাইন ঢাকা কমার্স কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতেখড়ি তার। বিভিন্ন সময়ে দেশের সব কয়টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় তার লেখা গল্প ও কবিতা।
পরিচালক আলি মোর্তজা জেকিও ঢাকা কমার্স কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র।
২০০৬ সালে ফিল্ম জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় আগমন করে। সেই লুকায়িত স্বপ্ন নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কমার্স কলেজের অনার্স বিভাগে ভর্তি হন তিনি। কলেজের বার্ষিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় দ্বৈত অভিনয়ে অংশ নিয়ে পরিচয় হয় আসিফসহ আরো অনেকের সাথে। যারা সবাই নাট্যাভিনয়ে অংশ নেয়। মূলত সেখান থেকে জেকির সাথে অন্যান্য বন্ধুদের পথচলা।
ধীরে ধীরে জেকি তার স্বপ্নের কথা তার সহপাঠি আসিফসহ অন্যান্য নাট্যাভিনয়কারীদের সাথে শেয়ার করে।
সেই সূত্র ধরেই জেকির স্বপ্নের পথে পথ চলা শুরু। একটি টিমে বদ্ধ হয় সবাই। সেই টিমের নাম রাখা হয় খেলা-ক্রিয়েশন। খেলা-ক্রিয়েশন-এর ব্যানারে ফিহিরের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘বার্গার গল্পটি’ লাভ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ৫ম আর্ন্তজাতিক শর্ট-ফিল্ম প্রতিযোগিতায় ট্যালেন্টেড অ্যাওয়ার্ড।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এ ফিল্মটির হাত ধরেই আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে তরুণ পরিচালক জেকির। শুরুতেই এমন সাফল্য অনেক দূর নিয়ে যাবে তাদের সন্দেহ নেই। খেলা- ক্রিয়েশন পুরো টিম জুড়ে আজ উত্সবের আমেজ । নিজেদের এমন সাফল্যে সবাই উচ্ছ্বসিত।
গত ১৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এবং ১৯ মে জার্মান কালচারাল সেন্টারে প দর্শিত হয় এ ফিল্মটি।
ভারতের ফিল্ম এন্ড মিউজিক বিভাগে পড়ুয়া ছাত্র অরিজিত রাস শর্ট-ফিল্মটি দেখে মুগ্ধ হয়ে,এই ফিল্মটি তাদের ক্যাম্পাসের অডিটরিয়ামে প্রদর্শন করার কথা ব্যক্ত করে। এছাড়াও একটি জমকালো অনুষ্ঠানে আলি মোর্তজা জেকি, আসিফ চৌধুরীসহ খেলা-ক্রিয়েশনের আরো কয়েকজনকে আগামী আগস্ট মাসে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আমন্ত্রণ করা হয়। ১-০৬-১১ ইত্তেঅিক দেখুন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।