রফিকুল\\\\\-----
ডাক্তার থেকে পুলিশ, আমলা থেকে সান্ত্রী_ কলকাতায় সবার মধ্যেই আতঙ্ক। কারণ নতুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কখন তিনি কোথায় হাজির হবেন কেউ জানেন না। গত ২০ মে পশ্চিমবঙ্গের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তৃণমূল-কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও সংস্কৃতিসহ ১০টি দফতরেরও মন্ত্রী তিনি। মন্ত্রী হিসেবে দফতরের কাজকর্ম, কর্মীদের সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখতে 'বিনা নোটিশে' বিভিন্ন দফতরে হাজির হচ্ছেন তিনি।
৩৪ বছর ধরে বাম জমানায় মুখ্যমন্ত্রী তো দূরের কথা, কোনো মন্ত্রী এ রকম পরিদর্শন না করায় কর্মসংস্কৃতি প্রায় লাটে উঠতে বসেছিল। কালীঘাটের নিজের বাড়ি থেকে রাজ্য সচিবালয় মহাকরণ যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীর এই 'সারপ্রাইজ
ভিজিটে' সাত দিনের মধ্যেই বদলে গেছে সরকারি কর্মীদের গাছাড়া ভাব।
কলকাতার রাস্তায় ট্রাফিক আইন এখন আর কেউ লঙ্ঘন করছেন না। কারণ আমজনতার কাছেও বার্তা রয়েছে, রাজ্যের সবচেয়ে ভিভিআইপি মুখ্যমন্ত্রীও ট্রাফিক আইন মেনে চলেন, দাঁড়িয়ে থাকেন, কখন সিগন্যালের লাল আলো সবুজ হবে। ফলে কলকাতায় এখন রসিকতা_ 'ট্রাফিক পুলিশের কাজ কমে গেছে!' শুধু পুলিশের নজর এখন একটা কালো টোল খাওয়া স্যান্ট্রো গাড়িতে।
বুলেটপ্রুফ নয়, সাধারণ ছোট ৮০০ সিসির গাড়িতেই যাতায়াত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
গতকাল শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন উত্তরের আরজি কর মেডিকেল কলেজে। একসঙ্গে সেখানে আইসিসিইউতে ৩০টি বেডের সূচনা হলো। সরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে আইসিসিইউতে ৩০টি বেড শেষ কবে বেড়েছে মনে করতে পারছেন না বয়স্করা। মানছেন, কলকাতাকে সাত দিনেই বদলে দিয়েছেন 'জনতার দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখিয়ে দিয়েছেন, আন্তরিকতা থাকলে কী রকম দ্রুত কাজ করা যায়।
সিঙ্গুরের জমি ফেরতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল মাওবাদীরা
বাংলা নিউজ জানায়, টাটার ন্যানো মোটরগাড়ির কারখানার জন্য কৃষকদের ৪০০ একর জমি ফেরত দেওয়ার রাজ্য সরকারের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে মাওবাদীরা। গতকাল কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মাওবাদী নেতা বিকাশ ও বিক্রমের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।