রফিকুল ||||----
পপসম্রাট আজম খানের শারীরিক অবস্থার সাময়িক উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কৃত্রিমভাবে। গতকাল শনিবার বিকেলে চিকিৎসকরা এ কথা জানিয়েছেন। সকালে শিল্পী চোখ মেলে তাকান এবং কথা বলারও চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে ইমা খান।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিল্পীকে গতকাল করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
শিল্পীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. আবদুল্লাহ আল জামিল সাংবাদিকদের জানান, ক্যান্সার তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কাঁধ, বুক ও ফুসফুসে ছড়িয়েছে। তাঁর ফুসফুস প্রায় সাদা হয়ে গেছে। শুধু হার্টের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।
তবে তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। কারণ, এ ধরনের রোগী সম্পর্কে কখনোই সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।
ইমা খান জানান, সকালে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে শিল্পী কাগজে লিখে মনের কথা জানানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি পানি খেতে চেয়েছেন বারবার। কিন্তু চিকিৎসকদের নিষেধ থাকায় তাঁকে পানি দেওয়া হয়নি।
ইমা বলেন, 'আমার বাবার চিকিৎসার জন্য টাকার কোনো সমস্যা নেই। টাকা পয়সা যা পাওয়া গিয়েছিল তা দিয়েই এখন চিকিৎসা চলছে। এখন আল্লাহ ভরসা। তাঁর অনেক কষ্ট হচ্ছে। সবাই যেন তাঁর জন্য দোয়া করেন।
'
ডা. আবদুল্লাহ আল জামিলের নেতৃত্বে সাত সদস্যের চিকিৎসক বোর্ডে আরো রয়েছেন আজম খানের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী, অনকোলজি বিভাগের ডা. সেলিম রেজা, আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. আবু রেজা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ও ডা. রায়হান রাব্বানী, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুহাম্মদ মুর্তজা খায়ের এবং অর্থপেডিঙ্ বিভাগের ডা. ফজলুল করিম।
উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর থেকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন মুক্তিযোদ্ধা এবং এ দেশে পপসংগীতের পথিকৃত আজম খান। গত ২২ মে তাঁর বাম হাত অবশ হয়ে গেলে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই গত বৃহস্পতিবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। শুক্রবার সকাল থেকেই তাঁকে লাইভ সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।