আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমি চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ইন্টার মিডিয়েট প্রথম বর্ষে পড়ি। প্রবল হুমায়ুন ভক্ত। তার আমার আছে জল (সম্ভবত) বইটা পড়ে অঝোড়ে কাদি। তারপর কাচা হাতে হুমায়ন আহমদে একটি আবেগি চিঠি লিখি। সে লেখায় তার লেখার প্রশংসা করেছিলাম এবং আমিও যে লিখি তা তাকে জানিয়েছিলাম।
আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি সে চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন। কি আবেগ, কি উত্তেজনা নিয়ে সে চিঠি আমি খুলেছিলাম- আজো শিহড়িত হই সে কথা ভেবে। আজ এত বছর পরও তার সে চিঠিটাকে খুব আপন মনে হচ্ছে।
হুমায়ুন আহমেদ, আজ আপনি অন্য ভুবনের বাসিন্দা। আপনি যেখানেই থাকুন, পরম করুনাময় আল্লাহতায়ালা তার রহমতের হাত আপনার দিকে বাড়িয়ে দিন।
আমীন।
চিঠির কথাগুলো হলো-
মাহমুদ হাসান খান,
কল্যানীয়েসু। তোমার চিঠি পেয়েছি। জবাব দিতে দেরী হল। নানা ব্যস্ততায় থাকি।
আমার লেখা ভালো লাগে জেনে খুশী হয়েছি। আরো খুশী হয়েছি জেনে যে তুমি নিজেও লিখতে চেষ্টা করছো জেনে। লেখালেখি ব্যাপারটা মোটেই সজ নয়। আশাকরি এর মধ্যেই তা বুঝতে পেরেছো। প্রচুর পড়াশুনা দরকার।
অভিজ্ঞতা দরকার। এইসব সঞ্চয় করতে থাকো এবং ভাষাটাকে ঠিক কর। কি করে করবে? পড়া, পড়া এবং পড়া। পড়ার কোন বিকল্প নেই।
হুময়ুন আহমেদ
১১/১১/৮৭
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।