ঈদের কেনাকাটা, অন্যান্য ব্যস্ততা তো চলছেই। সারা দিনের ধকলের চাপ পড়ছে ত্বক আর চুলে। তবে এখন থেকেই যদি শরীর ও ত্বকের প্রতি যত্নবান হন, তাহলে ঈদের দিন থাকবেন সজীব-সতেজ। দেখে নিতে পারেন ঈদের আগের রূপ-রুটিন।
চুলের যত্নে
বছরের এ সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় চুল পড়ে অনেক সময়।
আবার খুশকির প্রবণতাও বেড়ে যায়। ফলে ঈদের দিন চুল ঝরঝরে দেখাতে চাইলে মাসজুড়েই নিয়মিত যত্ন করতে হবে। সপ্তাহে সম্ভব হলে দুই দিন, আর না পারলে অন্তত এক দিন চুলে তেল লাগাতে হবে। নারকেল তেলের সঙ্গে নিমের তেল বা জলপাই তেলও ব্যবহার করতে পারেন। কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান বলেন, ‘চুল ভালো রাখতে প্রতিদিন মাথার ত্বকের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে।
এতে চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকে। খুশকি কমে যায়। সঙ্গে চুল পড়াও কমে। আর চুল কাটতে চাইলে ঈদের অন্তত ১৫ দিন আগে কাটানো ভালো। ’ত্বকের যত্নে নানা রকম প্যাকের কথাও বলেছেন তিনি।
স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত চুলের প্যাক
আমলকীর গুঁড়া, মুলতানি মাটির গুঁড়া, টকদই ও ডিম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। যাঁরা মেহেদি বা হেনার গুঁড়া ব্যবহার করেন, তাঁরা এ প্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত এক দিন এ প্যাক ব্যবহার করতে হবে। অতি রুক্ষ চুলের প্যাক: পাকা কলা, ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল নরম হবে। চাইলে মেয়োনিজও ব্যবহার করা যেতে হবে।
মুখের যত্নে
দরজিবাড়ি থেকেই হোক কিংবা অফিস করেই হোক, বাড়িতে ফিরেই ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে হবে। সপ্তাহে দুই দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। আর সপ্তাহে একবারের বেশি স্ক্রাবিং না করাই ভালো। বাজারে বিভিন্ন ত্বকের উপযোগী স্ক্রাব পাওয়া যায়।
সময় বাঁচাতে সেসব কিনে নিতে পারেন। হাতে সময় আছে যেহেতু, তাই এখন না হলেও ঈদের চার দিন আগে ফেসিয়াল করতে হবে। স্বাভাবিক ও শুষ্ক ত্বক যাঁদের তাঁরা বাড়িতে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফল-সবজি, যেমন আপেল, কমলা, টমেটো, শসা ও গাজর ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে। সব ধরনের ত্বকে মুলতানি মাটি, চন্দন ও গোলাপজলের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। চাইলে এর সঙ্গে মধু, টকদই বা হলুদগুঁড়া মিশিয়ে নিতে পারেন।
ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহার করা যাবে। আর এ পুরো মাসে ১৫ দিন অন্তর ফেসিয়াল করলে ভালো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।