হাবা ও গোবা দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে কথোপকথন।
জানিস বেটা, আসার সময় দেখলাম, আমাদের পাড়ার তোতা চোরকে জনগণ ধইরে এমন বাকনাইছে।
ক্যানে বে?
ওই দড়ি চুরি কইরেছিল।
দড়ি চুরি করার লাইগা এ রকম বাকনাবে বে!
আবে না, ওই দড়ির মাথায় একটা গরুও ছিল।
রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় এ রকম মজার মজার কৌতুক হাবা ও গোবার চরিত্রের মাধ্যমে প্রতিদিন ধারাবাহিক অ্যানিমেটেড ওয়েবিসোড (ওয়েব এপিসোড) হালানাগাদ হচ্ছে। http://www.habagoba.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে ঢুকে প্রতিদিনের নতুন পর্বের পাশাপাশি পেছনের পর্বগুলোও দেখা যায়।
২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম এই ওয়েবসাইটের যাত্রা শুরু হয়। গত ২৫ মার্চ শুক্রবার এর শততম পর্ব প্রচারিত হয়েছে। প্রতিদিন একটি করে নতুন পর্ব ইন্টারনেটে প্রকাশিত হচ্ছে।
স্টিমিং ব্রেইন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাবাগোবার উদ্যোক্তা। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইয়াসীন রেজা, সাইফুল মতিন ও ফয়জুল মতিন এর মূল পরিকল্পনা করেন। ইয়াসীন রেজা বলেন, ‘You haven’t lost your smile at all, it’s right under your nose. You just forgot it was there.’ এই দর্শন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে তাঁদের লক্ষ্য ছিল, অ্যানিমেশনের প্রশিক্ষণের ফাঁকে ফাঁকে হাত পাকানো। তিনি বলেন, ‘অ্যানিমেশন অত্যন্ত শ্রমসাধ্য শিল্প। ভাবনা, গল্প, ভয়েস রেকর্ডিং, সেট তৈরি, ক্যারেক্টর অ্যানিমেশন, লিপ সিংক, রেন্ডারিং প্রভৃতি ধাপ পেরিয়ে একটি ছোট্ট অ্যানিমেটেড ক্লিপের জন্ম হয়।
হাবাগোবাও এই প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন নতুন একটি আইডিয়া উদ্ভাবন করা এবং তা ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশনের পাকে-চক্রে ফেলে একটি মজাদার ক্লিপ তৈরি খুব সহজ কর্ম নয়। কিছু প্রচলিত এবং অনেক মজার নতুন কৌতুক নিজের মতো করে রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বিষয়গুলোর ওপর রঙ্গ-ব্যঙ্গ করা হয়েছে অত্যন্ত কৌতুকোদ্দীপক মেজাজে। ’ তিনি বলেন, ‘এ কাজে মূলত থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স, ফটোশপ ও অডিশন ব্যবহূত হয়েছে।
সেই সঙ্গে কিছু প্রোগ্রামও (প্লাগ-ইন) কাজে লেগেছে। মোবাইল ফোনে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ফরম্যাটে রূপান্তর করা আছে। চাইলে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে যে কেউ এটি সংগ্রহ করতে পারেন। আউট সোর্সিং কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিজেরা আনন্দ পেতে এই অলাভজনক উদ্যোগটি নেওয়া হয়।
ঢাকার পান্থপথে মূল কার্যালয় হলেও তাদের রাজশাহী কার্যালয়ে বসে নতুন ২০ জন ত্রিমাত্রিক শিল্পী এ কাজ করছেন।
সম্প্রতি রাজশাহী নগরের অলোকার মোড়ে ‘স্টিমিং ব্রেইন লিমিটেড’-এর রাজশাহী কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে একেবারে পিনপতন নীরবতা। কারও মুখে কোনো কথা নেই। সবাই কম্পিউটারের মাউস ধরে বসে আছেন। অ্যানিমেশন দলে রয়েছেন—দলনেতা রিপন, হারুন, কাঞ্চন, অনীক, বিপ্লব, জনি, কৌশিক, জাহিদ, রহমান, রাসেল, মাহমুদ, শাওন, সাজিয়া, শিমু, অনন্যা, দেলোয়ার, হাসান, মেরাজ, সুমন, নাসির, হাসিব, রতন, বাবু, সোয়াশ ও রুমি। সোয়াশ ও রুমি যথাক্রমে হাবা ও গোবার আকর্ষণীয় কণ্ঠ প্রদান করছেন।
প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দিয়েছে, এ পর্যন্ত এতে শুধু হাবা ও গোবার প্রবল উপস্থিতি থাকলেও অচিরেই অন্যান্য মজার মজার চরিত্র মঞ্চে প্রবেশ করবে। অপেক্ষায় থাকুন।
সুত্র: Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।