[বি.দ্র. লেখাটি অন্য একটি ব্লগে প্রকাশিত। প্রাসঙ্গীকতা বিবেচনায় এখানেও দেয়া হলো]
গত দু' দশক ধরে বাংলাদেশে প্রাইভেট ভার্সিটি কালচার নামে একটা জিনিস চালু হয়েছে। এইটা হয়ত সময়ের প্রযোজনেও হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু কিছু ইউনিভার্সিটির অবদানও স্বীকার্য। তবে এই সময়ে প্রাইভেট ভার্সিটি কালচারে ব্যপকতায় পণ্যমানে কেনাকাটা হচ্ছে উচ্চশিক্ষা বা সরাসরি বললে বলতে হয় সার্টিফিকেট বাণিজ্য।
সরকারের এইসব দেখার কেউ নেই। থাকবে কি করে যাদের দেখার কথা মানে ইউজিসি তারা কি করেন। কিছুদিন আগের খবরে জানা যায় ইউজিসি'র পিয়ন পর্যন্ত
প্রায় সবারই নাকি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী সার্টিফিকেট আছে। কিভাবে এইটা সম্ভব ?এইটা যে সর্ষের মধ্যেই ভূত। বাদ যাচ্ছে না সরকারী আমলারাও যারা শুধু অনার্স ডিগ্রী নেয়ার পর বিসিএস ক্যাডার পদে নিয়োগ পেয়েছিল তাদের অনেকেই মাস্টার্স করেনি এখনও মাস্টার্স ছাড়া তাদের প্রমোশন হচ্ছে না।
অগত্যা তারা হানা দিচ্ছে মাস্টার্স সার্টিফিকেট এর ধন্ধায় বিভিন্ন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে। আমি (নাম বলাটা সুভন হবে না)একজনকে জানি যিনি সরকারের ডিসি পদে কর্মরত ,তাকে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট নিতে হয়েছে উত্তরার একটি ভার্সিটি থেকে।
আজকাল চোখ মেললেই পত্রিকার পাতা জুড়ে দেখা যায় বিভিন্ন প্রাইভেট ভার্সিটির বিজ্ঞাপন। এই গুলো যথেষ্ট মান সম্পন্ন ও রুচিশীলই বলা যায়। তবে এই ক্ষেত্রে রুচির মাত্রা প্রায়শই লংঘন করে রঈীন বা আংশিক রঈীন বিক্ষাপন দিয়ে।
মাঝে মাঝে মনে জয় যেন মোবাই ফোন কম্পানীর টকটাইম বিক্রির প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। এই কাজ যারা করে তাদের বেশীর ভাগই নামী-দামী প্রাইভেট ভার্সিটি নামে পরিচিত। নানারকম বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হয় ফ্যাকাল্টির সবাই নাকি নর্থ-আমেরিকান পিএইচডি ডিগ্রীধারী। আমি অনেকগুলো নামী-দামী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্বন্ধে জানি তারা যেকোন পাবলিক ভার্সিটির শিক্ষকের চেয়েও আরো যোগ্য। তারপরও কিছু কথা থেকে যায়।
(চলবে)
বি.দ্র. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাও আসবে। তাদের চিত্রও করুন।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।