পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
ব্যাচেলর কিচেন-১। (সর্বপ্রকার মৎস রান্না)
অমুক পুরুষ ভাল রান্না করিতে পারে বলিতে শুনিলে আপামনিদের কারো এক গালে কিংবা কারো দুই গালে অনেকক্ষন টুল পরিতে দেখিয়া আপনি তাদের বলিতে যাইয়েন না যে বিশ্বের লক্ষলক্ষ ৫/৭স্টার হোটেলে কিন্তু পুরুষেরাই রান্না করে।
কিংবা কাল যে ফার্স্টফুড খাইয়া তৃপ্ত হইলেন সেটাও এক পুরুষর রান্না করা। কিংবা এটাও বলিবেন না যে, ঘড়ে ছুডু ছুডু হারিতে তাজা তাজা ছুডু মাছ কোন ভাবে সাহস করে পিয়াজ মরিচ দিয়া উঠাইয়া দিয়া লবন ঠিক মত দিতে পারলেই তাহা মজাদার হৈয়া যায়।
তবে আপনি যাহাই বলেন না কেন, আমি কোনদিন মানতে পারব না যে আমার মায়ের চেয়ে ভাল রান্না দুনিয়ার কেহ করতে পারবে। এবং ইহাই সত্য।
মুল কথায় আসি।
আগের পর্বে কিভাবে মৎস রান্না করিয়া ভক্ষন করতে হয় তাহা লিখিয়া ছিলাম। এবার লিখব কিভাবে ডাল রান্না করিতে হয়ঃ
ডাল রান্না করা খুবই সহজঃ কাজেই ডাল খাওয়া থেকে ব্যাচেলর বন্ধুরা কেন বিরত থাকবেন।
উপকরনঃ
১) পাতিল।
২) যে কোন ধরনের ডাল।
৩) পিয়াজ/ মরিচ/ হলুদ/ একটু রশুন।
৪) তেল।
৫) পানি।
নাহলেও চলেব ।
---
যদি থাকেঃ
মরিচের গুরা/ একটু জিরার গুড়া/ একটা টমেটু।
ধনিয়া পাতা।
কিভাবে রাঁধবেনঃ
প্রথমে ডাল ভালকরে ধুয়ে নিন। তারপর পাতিলে আধা পরিমান পানি নিয়ে সেখানে ডাল গুলো ছেড়ে দিন।
চুলোয় উঠিয়ে আগুন ধরিয়ে দিন।
এবার একটু বেশি করে লবন দিন। ডালের পারিমান অনুযায়ি ৩/৪টি পেয়াজ একটু ছোট ছোট করে কেটে নিন। আপনার চাহিদা মত ৪/৫টি কাচা মরিচ লম্বা করে কেটে দিয়ে দিন। ৩/৪ ফালা রশুন দিয়ে দিতে পারেন।
একটু হলুদের গুড়া ছেড়ে দিন। এবার ভাল করে ঢেকে দিয়ে অন্যকাজ করতে থাকুন। ভাত রান্না করতে হলে ভাত চরিয়ে দিতে পারেন।
মিনিট দশেক পরে দেখুন ডাল কি অবস্থায় আছে। ডাল সিদ্ধ হতে একটু সময় লাগবে।
মশুরির ডাল হলে ২০ মিনিট লাগতে পারে। আরো বেশিও লাগতে পারে। ডাল সিদ্ধ হতে থাকবে সাথে ডালের পানিও কমতে থাকবে। ডালের পানি অনেক কমে গেলে দেখবেন ডাল কলার মত নরম হয়েছে। এবার একটি চামচ নিয়ে যতটুকু সম্ভব ঘুটা দিয়ে ডাল পানির সাথে মিশিয়ে নিন।
যত বেশি মেশাতে পার্বেন ডাল তত মজা হবে।
এবার যেই পরিমান ডাল রান্না করতে চান তার চেয়ে একটু বেশি পানি ঢেলে দিন। সাথে ২/১টা টমেটু কেটে দিতে পারেন। ঢেকে দিন।
অন্য চুলোয় একটা কড়াই কিংবা ফ্রাইপেনে একটু বেশি করে তেল নিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
একটি রশুন ও এককটি পেয়াজ ভাল করে ঝরি ঝুরি করে কেটে গড়ম তেলে ছেড়ে দিন। এবং নাড়তে থাকুন। আগুন কমিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিনিট ৫, সাতেক নারতে থাকুন। পিয়াজ এবং রশুন লাল হয়ে আসবে।
এবার দেখবেন ডাল বলক এসেগেছে। তারপরও কিছুক্ষন জ্বাল দিতে থাকুন। ডালের পরিমান আপনার চাহিদার পরিমানে পৌছলে ডালের জ্বাল বন্ধ করে দিন।
এবার আপনার কড়াইয়ের পেয়াজের মাঝে কিছু ডাল ঢেলে দিন। দেখবেন ছ্যাত করে শব্দ হবে।
বলা হয়ে থাকে ছ্যাত আওয়াজ যত বেশি হবে ডাল তত মজা হবে । এবার করাইর ডাল পাতিলে ঢেলে একটূ নেরে চেরে নিন। ধনিয়ার পাতা থাকলে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে দিয়ে দিতে পারেন। ভাল ঘ্রান করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।