দু’জন দু’রকম, তবু কোথা যেনো মিল অন্যরকম...
মিলের চেয়ে অমিলই বেশী দু’জনের। তবু বালুকাবেলায় তিল তিল ক’রে ভালোবাসার সৌধ গড়ে পরী আর আকাশ। পরী উচ্ছল, চঞ্চল, আবেগপ্রবণ, আকাশ যেনো কিছুটা নির্লিপ্ত, একটু গম্ভীর, মনের ভেতরের অনুভূতি বাইরে ছাপ ফেলে না এমন। পরী ভালোবাসে স্বজনবন্ধু পরিবেষ্টিত ব্যস্ত অনুক্ষণ আর আকাশ ভালোবাসে প্রিয় সঙ্গীর কোমল গভীর সান্নিধ্য। পরী চায় ছুটে যেতে দিগ্বিদিক, এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত আর আকাশ চায় নির্জনতা, প্রকৃতির ধ্যানমগ্ন আবেশ।
পরী কিছুটা সন্ত্রস্ত, অনাস্থায় দুরু দুরু আর আকাশ আত্মবিশ্বাসী। পরী হিসেবী আর পরিপাটি, আকাশ কিছু এলোমেলো। তবু স্বপ্ন বোনে দু’জন, ছোট্ট তরী ভাসায় ভালোবাসার অকূল আর উত্তাল সমুদ্রে, আবেগে ভাসে, বিরহে পোড়ে, আকাঙ্খায় উন্মত্ত হয়। চাওয়া পাওয়া বেড়েই চলে। ভবিষ্যতের সকল অপূর্ণতা যেনো ঠেলে সরিয়ে রাখে দু’জন প্রাণপণ।
ভুলে থাকতে চায় – সারাজীবন এমনি ক’রে বিচ্ছিন্ন দুই দ্বীপবাসী হয়েই থেকে যাবে ওরা।
আমি কার আমি কার কে কাহার কে কাহার কে জানে
সাগর ভরা এত জল সে যে কার কে জানে...
পরিচয়ের শুরু থেকেই পরীকে বলেছে আকাশ নিজের মনমত জীবনসঙ্গী খুঁজে নাও একজন। পরীর বরাবরের অনীহা তাতে। বলে – সময়মত কেউ না কেউ ঠিক এসে যাবে জীবনে, তখন দেখা যাবে। আকাশও সেই ভাবনাতেই নিশ্চিত ছিলো।
হঠাৎ কাকতালীয়ভাবেই আকাশ জেনে যায় পরীর গভীর, গোপন, সত্যিকার ভালোবাসার কথা। সেই ভালোবাসা আকাশ আর পরীর অথর্ব, অপূর্ণ, ঠুঁটো ভালোবাসা নয়। পরীর ভাবনায় জীবনসঙ্গী ক’রে সারাজীবন একসাথে কাটিয়ে দেবার মত ভালোবাসা সেটা। তাতে আকাশের খুশী ই হবার কথা ছিলো, তবে তা হয়ে ওঠে না কারণ ভালোবাসাটা পূর্ণতা পায়নি। পরীর ভাবনা যখন পরিণতির আকাঙ্খায় স্থির, তখনই সরে গিয়েছে সে পরীকে ছেড়ে।
পরীর কষ্টের কথা জেনে আকাশও কষ্ট পায় ভীষণ। সেইসাথে আহত হয় পরীর এই আড়াল দেখে। আকাশ ভেবেছিলো সকল মিথ্যে ভেঙ্গে ওরা দু’জনেই দূর করেছে সব আড়াল। মিথ্যে হয়ে যায় সব। অবিশ্বাস দানা বাঁধে।
তবুও ভালোবাসা বুকে আগলে আঁকড়ে রাখে পরীকে। শুধু মাঝে মাঝে যখন পরী অবুঝের মত সবটুকু মনোযোগ দাবী ক’রে বসে তখনই ভীষণভাবে আকাশের মনে ভেসে ওঠে পরীর সেই ভালোবাসাকে দীর্ঘদিন ধরে লেখা ভালোবাসার চিঠি, মনে পড়ে আকাশের স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে আকাশ যখন সারারাত পরীর সাথে ফোনে গল্প করার জন্য প্রস্তুত, পরীর তখন অসুস্থ্যতার অজুহাতে সেই ভালোবাসার কাছে পালানো আর আরও কিছু কপটতা। তবুও ভালোবাসা চলে, কাঁদে, হাসে, মুখ থুবড়ে পড়ে, আবার উঠে দাঁড়ায়। সাময়িক বিচ্ছিন্নতার পর আবেগ যেনো বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত ধেয়ে ধেয়ে আসে। ভেসে যায় দু’জন পুরনো মত্ত প্রেমে।
তোমার জন্যে যত্ন করে সাজাই বুকের মধ্যে অনেক গুলো ফাগুন
রুদ্ধ করি মনের এক কোনে ভালোবাসার ছাই চাপা আগুন
তোমায় দেবো কামরাঙা কবিতা
আমার যত গাঢ় বিষন্নতা
এসব আমি যত্নে তুলে রাখি দেবো তোমায় আবার দেখা হলে…
চাকুরির সুবাদে আকাশ রা এবার ঢাকায়। থাকবে প্রায় বছরখানেক। বাসাটাও পরীর বাসার কাছেই। পাঁচ মিনিটের পথ। কোনোপ্রকারে জিনিসগুলো বাসায় তুলে দিয়ে একগাদা জিনিসের মাঝে জবুথবু বউটাকে আসছি বলে সন্ধ্যায় বেরোয় আকাশ।
দাঁড়ায় পরীর জানালা বরাবর অদূর রাস্তায়। কথা হয়। পরীকে জানালায় দাঁড়াতে বলে। পরী অবাক, আনন্দিতও। তারপর থেকে সময় অসময় নেই।
সুযোগ পেলেই দেখা। এলাকাটায় দু’জনেরই অনেক চেনা জানা মানুষের বিচরণ। তবু কি এক আকর্ষনে বারবার ছুটে যায়। সুযোগ পেলেই সন্ধ্যায় পরীকে অফিস থেকে আনতে নাহয় শনিবার পরীকে অফিসে দিয়ে আসে আকাশ। মাঝে মাঝে রিকশায় এ গলি সে গলি ঘুরে বাড়ি ফেরা।
একসাথে ঈদ শপিং, প্রিয় রেস্তোরাগুলোতে ঢুঁ, একটু বেশী সময় পেলে শহরের বাইরে ঘুরে আসা আর পছন্দের মুভি দেখতে ঢুকে পড়া ছিলো যেনো বাড়তি পাওয়া। অদেখার কালে তোলা নতুন ছবি, নতুন সংগ্রহ করা গান আর মুভি তোলা থাকে দেখা হলে দেবে বলে। আকাশের অফিসের ব্যস্ততা, আত্মীয় পরিজন, সব মিলিয়ে ক’দিন অদর্শন হলেই পরীর অনুযোগ। আকাশ বলে – জোর ক’রোনা পরী। আমার উপর বিশ্বাস রাখো, তোমার সাথে দেখা করার শেষ চেষ্টাটুকুও ক’রে যাবো আমি।
তাতেও অবিশ্বাস পরীর। অভিমান আর আবারো নিরবতায় কেটে যায় অমূল্য কয়েকটা দিন। মান ভাঙ্গে আবার দেখা করার প্রস্তাবে। পুনরাবৃত্তি ঘটে তার বারবার।
You drown in tears
My heart is crying
No one seems to notice
Our soul is dying
New Year সমাগত।
প্রচন্ড ব্যস্ততায় পরীর সাথে দেখা করার সুযোগ হয়না। অভিমানে রুদ্ধ পরী। New Year এর রাতে সামান্য কথা। তারপরই New Year উদযাপন দেখাবার জন্য বউ বাচ্চাকে নিয়ে বের হয় আকাশ। ফেরে গভীর রাতে।
পরীকে বলে রেখেছিলো ১ তারিখ সকালে ওকে অফিসে দিয়ে আসবে। পরী রাগতঃ স্বরে নিষেধ ক’রে দিয়েছিলো। আকাশ বলেছিলো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে জানিও। সকাল ৭টায় মোবাইল চেক করে কোন message না পেয়ে কষ্ট হয় আকাশের। ভাবে... পরীটা যে কেনো এত অবুঝ! ৮ টায় পরীর message – বের হচ্ছি, ৮.১০ এর মধ্যে এসো।
এবার বিরক্ত হয় আকাশ। বিছানা ছেড়ে তৈরী হতেও তো সময় লাগে কিছু। তাড়াহুড়ো করে বের হয়, তবে বিরক্তিটা লেগে থাকে আচরণে। পথে যেতে যেতে কিছু কথা। নিজের বিরক্তিটা প্রকাশই করে ফেলে আকাশ।
ট্র্যাফিক সিগন্যাল এ গাড়ী থামতেই নেমে যাওয়ায় উদ্যত হয় পরী। জোর করে আটকে রাখে আকাশ। নিরব কান্নায় চোখ মুখ ভেসে যায় পরীর। দু’জন গিয়ে বসে প্রিয় পার্কের বেঞ্চিতে। নীরব।
খানিক পর হু হু কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরী। আকাশ দিশেহারা। পরীর এমন কান্না কখনো দেখেনি ও। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। কষ্টে বুকটা গুঁড়িয়ে যায়।
চুপচাপ পরীর হাতটা ধরে বসে থাকে। পরীর অফিসের সময় হতে কাছাকাছি নামিয়ে দিয়ে ফেরে একা একা, বিচলিত, বিষন্ন, ভাঙ্গা মন নিয়ে।
Lost in the world of make-believe,
In shattered truths and tainted dreams,
Where smiles are faked to hide the lies
And things are said to break all ties.
সম্পর্কটা যেনো ভেঙ্গেই চলেছে। হাজার চেষ্টায়ও প্রবল ঝড়ে ক্ষয় থামে না বালির প্রাসাদের। ভালোবাসা যেনো বিরক্তি আর বিতৃষ্ণায় রূপ নিতে থাকে।
আকাশের অবহেলা আর পুরনো বিষয়গুলো টেনে আনা বিষন্ন করে তোলে পরীকে। খুঁজে ফেরে নতুন নতুন বন্ধু। অন্তর্জালে সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখে নিজেকে। সেখানেই যেনো লুকিয়ে আছে আকাশের ভালোবাসার চেয়েও বেশী কিছু, রয়েছে সুখের সন্ধান। আকাশ বলেছিলো – তোমার বন্ধুদের জন্য দিনরাতের সারাক্ষণই তো রয়েছে তোমার।
আমি কতক্ষণ ই বা সুযোগ পাই নেটে বসার? আমার সাথে যতোক্ষণ থাকো, শুধু আমার হয়েই থেকো। পরীর বিতৃষ্ণা এই অনুসঙ্গে। আকাশকে অপেক্ষায় রেখে সঙ্গ দেয় নতুন সঙ্গীদের। মন খুলে নিজের সেই হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার গল্প শোনায় তাদের। সে গল্পে কোন ঠাঁই নেই আকাশের।
শুধু যতোক্ষণ পাশে থাকে ততোক্ষণই যেনো পরীর জগতে আকাশের উপস্থিতি। এসব বিষন্ন করে দেয় আকাশকে। অনেক আগে ছেড়ে আসা নেশা আর সিগারেটে ডুব দেয় নতুন করে। পরীকে একসময় বলেছিলো আকাশ – ভালোবাসা হচ্ছে দু’জনের মাঝে স্বচ্ছ কাঁচের একটা দেয়াল। প্রতিবার বিশ্বাসভঙ্গ আর আশার মৃত্যু সেই দেয়ালে গভীর আমোচনীয় একটা করে ছাপ ফেলে যায়।
সেই ছাপগুলো জমে জমে একসময় পুরো দেয়ালটাই কালিমাময় হয়ে ওঠে। ওপাশে ভালোবাসার মানুষটাকে আর দৃষ্টিগোচর হয় না তখন। সেটাই ভালোবাসার মৃত্যু।
আসা যাওয়া দু দিকেই খোলা রবে দ্বার -
যাবার সময় হলে যেয়ো সহজেই,
আবার আসিতে হয় এসো।
সংশয় যদি রয় তাহে ক্ষতি নেই,
তবু ভালোবাস যদি বেসো।
।
ঢাকার পাট চুকিয়ে আকাশরা ফেরে পুরনো ঠিকানায়। মেইল এ পরী লেখে – ধানসিঁড়িতে শুরু, ধানসিঁড়িতেই বোধহয় আমাদের শেষ। আর হয়তো তোমার সাথে আমার দেখা হবে না। কেনো পরী কথাটা বলেছিলো তা আজো জানে না আকাশ।
তবে চোখে ভাসে শেষ দেখা হবার দিনটার স্মৃতি। ক’দিন আগে পরীর বারংবার তাগিদে কলেজ জীবনে লেখা ডায়েরীগুলো ওকে পড়তে দিয়েছিলো আকাশ। ধানসিঁড়িতে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ডায়েরীগুলো ফেরত দিয়েছিলো পরী। পাতার ভাঁজে ভাঁজে ছোট ছোট চিরকুটে সেই পাতা পড়ার অনুভূতি আর মন্তব্য। রিকশায় ফিরতে ফিরতে পাতা ওল্টাচ্ছিল আর চিরকুটগুলো পড়ে পড়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিচ্ছিলো দু’জন মিলে।
আকাশের মনে হচ্ছিলো অনন্তকাল ধরে কেনো চলেনা এমন একটা ঘটনা? শেষ চিরকুটটা পাপড়ির মত হাওয়ায় ভেসে যেতে কেমন শূন্য দৃষ্টি আর মন নিয়ে নিশ্চল বসে থাকে চলন্ত রিকশায় দু’জন মানুষ। কালই ঢাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে আকাশ, একেবারে...। পুরনো ঠিকানায় ফিরে আবারো ব্যস্ত হয়ে পড়ে আকাশ। কথা হয় আগের তুলনায় অনেক কম। অভিমান বাড়ে পরীর।
বাড়ে অভিযোগ। বিরক্ত হয় আকাশ। কন্ঠে ঝরে পড়ে তার রেশ। ধৈর্য হারায় পরী। দু’জনেই বিষোদ্গার করে।
সাগরে ওঠে ঝড়। ক্ষয়ে যাওয়া প্রাসাদটা ভাংতে থাকে, ভাংতেই থাকে। ঢেউগুলো আছড়ে পড়ে ধ্বংসস্তুপে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় আবর্জনা। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তিল তিল করে গড়া ভালোবাসার প্রাসাদ।
আকাশ ভাবে – কত ত্যাগ, ধৈর্য, আবেগে গড়া এই ভালোবাসা, ভাঙ্গে এত দ্রুত? এত সহজে?
স্মৃতির সিঁড়ি বেয়ে ফিরে ফিরে আসি
করুণার চোখ ছুঁয়ে প্রাণহীন ভালোবাসাবাসি
ব্যস্ততার মাঝেই ডুবে আছে আকাশ। কিন্তু স্মৃতিগুলো বড্ড তাড়া করে ফেরে। পুরনো জায়গা, কত পুরনো স্মৃতি। এখান থেকেই হয়েছিলো পরীর সাথে পরিচয়, প্রণয়। প্রথম কথা হওয়ার সেই জায়গাটা, অফিসের নির্জন কোন, এয়ারপোর্ট রোডের সেই বাঁকটা, সেই লেক, ছাদ, নাম না জানা সেই আকাশ ছোঁয়া গাছগুলো, নির্জন সরু পিচঢালা পথটা – পুংখানুপুংখ বর্ননা পরীর জানা।
আসেনি কখনো এখানে, আকাশের চোখে আর বর্ননায় সব দেখা ওর, সব জানা। ভুতের মত ঘুরে বেড়ায় আকাশ জায়গাগুলোতে। মনের আয়নায় ভাসতে থাকে পুরনো দৃশ্যপট। কাজে অকাজে ছুটে যায় বারবার আর ভাবে পরীর কথা। ভাবে – হয়তো মুক্তি মিললো দু’জনের পরষ্পর থেকে।
পরীর মুক্তি আকাশের অবহেলা, প্রত্যাশা আর কিছু নিষেধের বেড়াজাল থেকে আর আকশের মুক্তি পরীর অকারণ অভিযোগ, অনুযোগ, দলিত প্রত্যাশা আর নতুন নতুন কষ্ট পাওয়া থেকে। আসলেই কি মুক্তি? ভাবে আকাশ। তবে কেন এত কষ্ট আর যন্ত্রনা? কেন স্মৃতির এত তাড়না? কেন বারবার ফিরে যাওয়া পুরনো স্মৃতির আস্তাকুঁড়ে আর হাতড়ে বেড়ানো সেই পুরনো পরীকে?
… but remember there will always be a me and you
গভীর রাতে হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুমন্ত বউটার মুখটার দিকে চেয়ে থাকে আকাশ আবছা আলোতে। মনে মনে বলে – আমাকে ক্ষমা করে দিস সোনা বউ।
পারিনি আমি তোর ভালোবাসার প্রতিদান দিতে। একবুক ভালোবাসার অনেকখানি তোলা থাকে পরীর জন্য। ছটফট করে। লীন হবার অবকাশ পায়না বলে আস্তে আস্তে থিতু হয়, জড় হয়, পাথর হয়ে যায়। মনের গভীর থেকে আরো গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে।
সবচেয়ে গভীর, গোপন, সুরক্ষিত জায়গাটা দখল করে নেয়। মিলে মিশে যায় প্রতিটা নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে। আকাশ জানে ওর শেষ নিঃশ্বাসেও মিশে থাকবে পরী।
...............................................................
প্রিয় পাঠক, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি গল্পটা একটু বড় হয়ে গেলো বলে। অবশ্য দীর্ঘদিনের বিরতি ই হয়তো এজন্য দায়ী।
আকাশ পরীকে নিয়ে আপাতত এটাই হয়তো শেষ গল্প, যদিও একেবারে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এই ব্লগের গল্পগুলো শুধুমাত্র আকাশ পরীকে নিয়ে এবং তাই থাকবে সবসময়। ভবিষ্যতের কোন আপডেট জানতে চাইলে এই ব্লগে নাম টা রেখে যাবেন। ধূসর মেঘমালা ঘুরে আসবে আপনার ব্লগের বাড়ি, কথা দিচ্ছি। তাতেই নাহয় বুঝে নেবেন।
ভালো থাকবেন সবাই।
The Introduction
All about Pori & Akash
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।