আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গত : জিঞ্জিরায় ফ্লাক্স থেকে মোবাইল কারখানা। জিঞ্জিরার কথিত ইঞ্জিনিয়ারদের মূল্যায়ন করলে বাংলাদেশও বিশ্বের অনন্য শিল্পোন্নত দেশে পরিণত ও পরিচালিত হতে পারে।



সব প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম। দৈনিক আল ইহসান সূত্রে জানা গেছে, মেড ইন চাইনিজ লেখা অবিকল চাইনিজ মোবাইল ফোন সেট, ফ্লাক্স, ওয়াটার হিটার ইত্যাদি মালামাল তৈরি হচ্ছে ঢাকার জিঞ্জিরায়। আর অবিকল চাইনিজ এসব মালামালে ব্র্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পাইলট, সিনিজু, রিগ্যাল। মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে আই ফোন, ম্যাক্সিমাস কোম্পানির নাম।

মোবাইল ফোনের ক্যাসিং, ব্যাটারি, চার্জারসহ নানা পার্টস তৈরি করে তারা। শুধু তাই নয় এখানকার ইঞ্জিনিয়াররা ফটাফট তৈরি করছে নকল মোবাইল ফোন সেট। আর বসিয়ে দেয়া হচ্ছে চিনের নামি-দামি কোম্পানির সিলমোহর। এই জিঞ্জিরায় আগানগর, বাসপট্টি, কাঠপট্টি, থানাঘাট, ফেরিঘাট এলাকার বাসাবাড়িতে এসব পণ্য তৈরি হচ্ছে। আর বিখ্যাত সব কোম্পানির মালামাল তৈরি করছে লেখাপড়া না জানা কারিগররা।

এদেরকে স্থানীয়ভাবে ইঞ্জিনিয়ার নামে ডাকা হয়। এখানে একটা ফ্লাক্সের বডি বানাতে ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ পড়ে। আর রিফিল বাইরে থেকে আনতে খরচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সবমিলে একটা ফ্লাক্স ১০০ টাকার ভিতরে প্রস্তুত হয়ে যায়। চায়না পাইলট, সিনিজু ও রিগ্যাল ফ্লাক্সের প্রকৃত বাজারদর আড়াইশ’-তিনশ’ জোর সাড়ে তিনশ’ টাকা।

চায়না থেকে এই মালগুলো আনতে দুইশ’ টাকার উপরে খরচ পড়ে। কিন্তু জিঞ্জিরার ইঞ্জিনিয়াররা তা তৈরি করছে মাত্র একশত টাকায়। এদিকে বিটিআরসি’র হিসাব মতে এখন দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। এর মধ্যে এখন অনেকেই একাধিক মোবাইল সেট ব্যবহার করছেন। এ হিসাবে প্রতি মাসে দেশে মোবাইল সেটের চাহিদা প্রায় ৮ লাখ।

এসব সেটের অধিকাংশই আসে অবৈধ পথে। চোরাইপথে আসা এসব নিম্নমানের অধিকাংশ সেট সবই আসে চায়না থেকে। কিছু কিছু আসে থাইল্যান্ড থেকে। আর এখন গ্রামীণফোন ঢাকঢোল পিটিয়ে যে মোবাইল সেটটি গ্রাহকের হাতে তুলে দিচ্ছে সেটি চায়নার তৈরি নিম্নমানের। এটির স্থায়িত্ব মাত্র একবছর।

অথচ একই টাকায় এর চেয়ে ভাল মোবাইল তৈরি করছে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার লেখা-পড়া বিহীন অভিজ্ঞতা তথা নিজস্ব দক্ষতা ও প্রজ্ঞার অধিবাসী এদেশের ইঞ্জিনিয়াররা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বাধীনতা উত্তর হতেই জিঞ্জিরা সব ধরনের নকল পণ্য তৈরির জন্যই ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে আসছে। এক্ষেত্রে প্রশাসন মাঝে মাঝে নকল কারখানার অভিযান চালায়। এবং সরকারের নীতি নির্ধারক মহলও এতেই তৃপ্তি লাভ করে। কিন্তু আসলেই কী তাই? সরকারকে মনে রাখতে হবে, যে সরকারের কাজ শুধু পুলিশ সর্বস্ব নয়।

সরকারের কাজ যেমন উৎপাদনশীলতার তেমনি সরকারের কাজ দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বিকাশেরও। সেক্ষেত্রে একথা সরকারকে স্বীকার করতেই হবে। জিঞ্জিরার কথিত ইঞ্জিনিয়ারদের খোদা প্রদত্ত এক উদ্ভাবনী ক্ষমতা রয়েছে। সঙ্গতকারণেই এ উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও ক্ষমতাধারীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।

সক্রিয় সহযোগিতা করতে হবে। প্রসঙ্গত সিঙ্গাপুর আজ সারা বিশ্বে শিল্প ও যন্ত্রাংশের রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এর উত্থানের পেছনেও কিন্তু রয়েছে এদেশের জিঞ্জিরার মতো ইঞ্জিনিয়ারদের মেধার বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতা। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এদের পৃষ্ঠপোষকতা করলে কৃষি অর্থনীতির পাশাপাশি শিল্প অর্থনীতিতেও বাংলাদেশ বিশ্বের অনন্য দেশে পরিণত ও পরিচালিত হতে পারে। মনে রাখতে হবে মসলিন কারিগররা যেমন এদেশের প্রতি অতীতে এক খোদায়ী রহমত ছিল তেমনি জিঞ্জিরার কারিগররাও বর্তমানে এদেশের প্রতি খোদায়ী আরেক রহমত।

এ রহমত দেশ ও সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন।

(আমীন) মূল লেখা-১ মূল লেখা-২

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।