স্বাধীন বাংলা
জোরপূর্বক ২৮ বাউলের চুল ও গোঁফ কেটে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ গান-বাজনার মধ্য দিয়েই জানিয়ে দিলেন লালনভক্ত সাধু, বাউল ও ভক্তরা। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চররামনগর গ্রামে মোহম্মদ ফকিরের বাড়িতে সাধুসঙ্গের অনুষ্ঠানে তাঁরা এ প্রতিবাদ জানান। 'অসমাপ্ত' সাধুসঙ্গের দুই দিনব্যাপী আয়োজন গতকাল ২৯এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে শেষ হয়েছে।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল একই স্থানে সাধুসঙ্গের দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
৫ এপ্রিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয় এবং ২৮ বাউলকে পাশের মসজিদে নিয়ে তওবা পড়িয়ে তাঁদের মাথার চুল ও গোঁফ কেটে দেয়।
এ ঘটনায় সারা দেশের সংস্কৃতিকর্মীরা প্রতিবাদ জানান। ৯ এপ্রিল মোহম্মদ ফকির বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে পাংশা থানায় মামলা করেন। ১১ এপ্রিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ১৬ এপ্রিল হামলাকারীদের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর হাইকোর্ট বাউলদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় একটি রুল জারি করেন।
পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মধ্যস্থতায় বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে 'সমঝোতা' হয় এবং আসামিদের মধ্যে ৯ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয়। সেই 'অসমাপ্ত' অনুষ্ঠান সমাপ্ত করার লক্ষ্যেই ২৮ ও ২৯ এপ্রিলের এ আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।