অবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর আগামী ৪ঠা অগাস্ট কুড়িল ফ্লাইওভার চালু হতে যাচ্ছে। এতে করে যানজট কমবে বটে তবে যারা প্রগতি স্মরণি দিয়ে এয়ারপোর্ট বা উত্তর দিকে কোথাও যেতে চান তাদের তেমন কোন কাজে আসবে না।
আসুন গুগল মামার বিনে পয়সার অবদানের সাহায্য নি। খেয়াল করে দেখুন, পুরো ফ্লাইওভারটি পরিকল্পনা করা হয়েছে মূলত ৩০০ ফিট রাস্তা ব্যবহারকারী গাড়ীর কথা চিন্তা করে। সেখানে যাবার বা সেখান থেকে অন্যদিকে যাবার সবকটি পথই খোলা।
এতে করে যারা কাঞ্চন বা পুবাইল হয়ে ঢাকার দিকে যাবেন তাদের খুব সুবিধা হলো। বসুন্ধরায় যারা থাকেন, ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে হবার কারণে তাদেরও যথেষ্ট সুবিধাই হবে।
কিন্তু যারা প্রগতি স্মরণি হয়ে ডানে মোড় নেবেন (অর্থাৎ উত্তর দিকে) তাদের জন্য কোন সরাসরি ফ্লাইওভারের সুবিধা নেই। সবুজ চিন্থিত পথে কোন ফ্লাইওভার থাকলে সেটা সম্ভব ছিলো। তারা হয় লাল চিন্থিত অংশ পাড়ি দিয়ে রেডিসনের কাছে ইউটার্ন নেবেন, অথবা প্রগতি স্মরণির ওপরেই আগেই ডানে মোড় নিয়ে (নীল চিন্থিত অংশ) সেই ৩০০ ফিট রাস্তার মাথায় পৌছে ফ্লাইওভার পাড়ি দিয়ে এয়ারপোর্ট রোডে নামবেন।
কোনটিই কিন্তু ঝামেলামুক্ত নয়। অথচ মাত্র ২% গাড়ি বা'দিকে তথা ঢাকার দিকে মোড় নিয়ে থাকে, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে ফ্লাইওভার। আর ৯৮% যাত্রী, যারা সংখ্যায় লক্ষ লক্ষ, তারা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হয়েই থাকলেন।
এখানে হয়তো কোন পেডেন্ডো নগর পরিকল্পনাবিদ কিছু কুচিন্তিত বকম বকম করতে পারবেন। তবে বাস্তবে যা হবার তা হয়েই গেল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।