প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকালে এই ফ্লাইওভারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এই ফ্লাইওভার ব্যবহার করে উত্তরা ও বনানী থেকে সহজেই প্রগতি সরণি হয়ে রামপুরার দিকে যাওয়া যাবে। এর ফলে কুড়িল বিশ্বরোড ক্রসিং এলাকার যানজট অনেকটা দূর হবে বলে আশা করছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান।
২০১০ সালের ২ মে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। প্রথমে এর নির্মাণ ব্যয় ২৫৪ কোটি টাকা ধরা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ৩০৬ কোটি টাকা করা হয়।
প্রকল্পের পুরো অর্থ রাজউকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হয়েছে।
রাজউক জানিয়েছে, এই উড়ালসেতুর উচ্চতা ৪৭ দশমিক ৫৭ ফুট, প্রস্থ ৩০ দশমিক ১৮ ফুট। এতে পাইল রয়েছে ২৯২টি, পাইল ক্যাপ ৬৮টি এবং পিয়ার রয়েছে ৬৭টি। এটি নির্মাণ করেছে প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড।
প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪৭ কোটি টাকায় রেল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল কাজ শেষ হয়েছে ৩৮ মাসে।
বনানী, কুড়িল, খিলক্ষেত ও পূর্বাচল- এই চারটি প্রান্ত দিয়ে ফ্লাইওভারে ওঠানামা করা যাবে। এজন্য কোনো টোল দিতে হবে না। এ ছাড়া নিচ দিয়েও নির্মাণ করা হয়েছে তিন প্রান্তে তিনটি সংযোগ সড়ক।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী মান্নান খান শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কুড়িল ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখ মোটরযান এবং ৯৮টি ট্রেন যাতায়ত করে।
প্রতিবার ট্রেন যেতে ৮ থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হতো। এখন তার অবসান ঘটবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।