দোহারের রাজনীতিতে এখন দখলদারি এতটাই ব্যাপক যে, সাধারন জনগন থেকে শুরু করে নিজ দলের নেতা কর্মীদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মত প্রকাশ তো দূরের কথা, সর্বদা থাকতে হয় বিপর্যস্ত ও ভয়ার্ত অবস্থায়। ক্ষমতার উৎস যখন রাজনৈতিক পরিচয় ও ক্ষমতাসীন সংগঠনের একটি অংশ, এবং মন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার তখন প্রশাসনের ভূমিকা দাঁড়ায় যাত্রাপালার বিবেকের, যিনি ভালো কথা বলবেন বিভিন্ন ভাবে মন্ত্রী অনুসারীদের সহযোগীতা করবেন কিন্তু অন্যায় ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখবেন না।
স্থানীয় কেউ কোনো অন্যায় করলে এর প্রতিকারের দায়িত্ব প্রশাসনের, দোহারের কোন জনপদে অনিয়ম-সন্ত্রাস, দখল, চাদাবাজি ঘটলে এর উচিত বিহিতের দায়িত্ব প্রশাসন তথা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর উপরই বর্তায়। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রীর অনুসারী বলে নেতা-কর্মীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকার কথা নয়। কিন্তু তাই হচ্ছে দোহারের প্রশাসনে সাধারন জনগনের কেউ অত্যাচারিত, নির্যাতিত হয়ে প্রশাসনের কাছে গেলে তাদেরকে মন্ত্রী অনুসারী কিছু নেতাকর্মীর নাম বলা হয় যে, তাদের অনুমতি লাগবে।
প্রশাসন তো মন্ত্রী অনুসারী নেতা কর্মীদের কাজ করে না। তারা তো কাজ করে সরকারের সহযোগী হিসাবে। তবে প্রশাসন কেন মন্ত্রী অনুসারীদের কথায় চলে ? দোহারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সমস্ত টেন্ডার ও প্রশাসনের নজরদারী করে মন্ত্রীর ভাই মোতালেব খান এবং তার নিয়োজিত কিছু লোক যাদের দোহারের রাজনীতিতে কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই।
দোহারের প্রশাসনে অন্যায় যে হচ্ছে, প্রশাসন যে ব্যর্থ হচ্ছে, তা দোহারের জনগন স্পষ্টতই দেখতে পাচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, দোহারের প্রশাসন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে কেউ অযাচিত হস্তক্ষেপ করবে না।
এ ক্ষেত্রে অন্যায়কারী নেতা-কর্মীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ’ তা-ই যদি হবে, তাহলে বিভিন্ন স্থানে দখল হচ্ছে কেন? প্রতিদিন ডাকাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে কীভাবে? কোন ক্ষমতাবলে মন্ত্রীর ভাই ও ভগ্নিপতি অন্যের বাড়ী দখল করে এবং কার ভয়ে প্রশাসন গুটিয়ে থাকে? এ প্রশ্নের সঠিক জবাব কে দেবে ? ২০০৮ এর নির্বাচনের পর দোহারের রাজনীতিতে নষ্ট পচন শুরু হয়, যা এখন বিরাট ক্ষতের আকার ধারন করেছে। যেটা ওষধ প্রয়োগে নিরাময় করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন অপারেশন করে কেটে ফেলা। দোহারের রাজনীতিতে বর্তমানে "নীতি" ও "আদর্শ" বলে আর কোন কিছু অবশিষ্ট নেই।
দোহার সহ দেশে আইনের শাসন আছে এ কথা কেবল তারাই বলে যারা আইন ও প্রশাসনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছে এবং সাধারন মানুষের সম্পদ দখল করছে। কিন্তু কি আর করা? ক্ষমতার রাজনীতির ধর্মই এটা।
মন্ত্রীর ক্ষমতা বলে তার ভাই ও তার সহযোগীদের দখলদারির মধ্যে দোহারের রাজনীতি পরিণত হয়েছে মন্ত্রী অনুসারীদের পরিচালিত খোঁয়াড়ে। একটি আধুনিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই রাষ্ট্রে যদি আইনের শাসন না থাকে, প্রশাসন যদি দায়িত্ব পালন না করে, রাজনীতিকেরা যদি ধনী-নির্ধন সবার অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট না হন, তা হলে সেই রাষ্ট্রের তথা সমাজের রাজনীতিবীদদের ঘৃনাই করবে না প্রত্যাখ্যানও করবে।
কোনদিনই সমাজ ও রাষ্ট্রের অসুস্থতা দূর করা যাবে না।
Misuse of power always practices all political party as well as leader.
গনপূর্ত মন্ত্রী আবদুল মান্নান খানের প্রত্যক্ষ মদদে তার ভাই মোতালেব খান ও তার নিজস্ব বাহিনীর অত্যাচারে দীর্ঘদিন যাবত দোহার থানা আওয়ামীলীগের কার্যত্রুম কার্যত গৃহবন্দি আছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীর ভাই মোতা খানের হাতে দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলামও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। দোহারে স্বাধীনতা স্মৃতি স্তম্ভ নির্মান কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের সময় দোহার থানার উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমানের উপর মন্ত্রীর ভাই মোতালেব খান বাহিনীর নগ্ন হামলা, উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের টেন্ডার নিয়ন্ত্রন, উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিতদের উপর নির্যাতন, মোতালেব খানের দখলবাজি, দোহারের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে মাসিক চাদাবাজি দলকে বিভাজন করে রেখেছে। ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম সেন্টুর মালিকানাধীণ হোটেলে কয়েকদফা ভাংচুরসহ প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় হয়রানী করে দোহার ছাড়া করা সহ আরো নানাবিধ কারনে দোহারের রাজনীতিতে বিভাজন সৃষ্টির মাধ্যমে দোহারে আওয়ামী রাজনীতিতে মন্ত্রী সমর্থিতদের প্রাধান্য টিকিয়ে রেখেছে।
কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন পর দোহার থানা আওয়ামীলীগ গত কাল ১০/০৪/২০১১ দোহার থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুতারপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল এর বাড়ীতে যৌথ সভার আয়োজন করে সভায় আগতদের বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রদান করে সভা বানচাল করার জন্য মন্ত্রীর মদদে তার ভাই মোতালেব খান প্রশাসন ব্যবহার করে ঢাকা থেকে আগত সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে বাধা প্রদান সহ ছাত্রলীগ নেতাদের গাড়ী বহর আটকে দেয়। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়।
যেখানেই দু'জন বড় নেতা আছেন, সেখানেই গ্রুপিংয়ের জন্ম হয়। মূলত নেতৃত্বের কোন্দল, ব্যক্তিত্বের সংঘাত, কর্তৃত্বের লড়াই এবং ব্যক্তিগত উচ্চাভিলাষ ও আক্রোশের কারণে বড় দলে পাল্টাপাল্টি গ্রুপ সৃষ্টি হয়।
কর্মীদের সমর্থন, বিচক্ষণতা ও রাজনৈতিক চালে যে গ্রুপের পাল্লা ভারী হয় সে গ্রুপই সামনের কাতারে চলে আসে। তখন অন্য গ্রুপ সাময়িকভাবে ঝিমিয়ে পড়ে। তবে ভবিষ্যতে আঘাত হানার জন্য সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায়সহ উন্নত ও অনুন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এ ধরনের রাজনৈতিক গ্রুপিং লক্ষ্য করা যায়। দোহার থানা আওয়ামী লীগও তার ব্যতিক্রম নয়।
এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে প্রতিপক্ষ ভেবে সর্বশক্তি নিয়োগের মাধ্যমে পরাভূত করে নিজেদের অতৃপ্ত বাসনা চরিতার্থ করেন। এতে দলের যে কী ক্ষতি হয়ে যায় সেদিকে তারা ভ্রূক্ষেপই করেন না। সব সময় নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থকেই বড় করে দেখে।
দলের দুর্দিনে যারা জেল-জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন, নিজের কাজ বাদ দিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছেন, পার্টির সব কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, ২০০১ সালে বি.এন.পি ক্ষমতায় আসার পর যারা এলাকায় থাকতে পারেননি, সরকার গঠনের পর যদি তাদের অবহেলা করা হয় তাহলে তাদের খারাপ লাগারই কথা। অনেক সময় এসব ত্যাগী নেতার পক্ষে এ অবস্থা মেনে নেওয়া কঠিন হয়।
এটাই স্বাভাবিক। এ সত্য মেনে নিতে হবে। সরকার আসবে, যাবে; কিন্তু দল থাকবে। দলকে কেন্দ্র করে সরকার, সরকারকে কেন্দ্র করে দল নয়। নেতাকর্মী হলো দলের প্রাণ।
তাদের ওপর ভরসা করেই দলকে এগিয়ে যেতে হয়। তাদের অবমূল্যায়ন দলকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। দোহারে মন্ত্রী সমর্থিতদের দখল বানিজ্য অনেকটা প্রকাশ্য।
দোহারে বিধবার বাড়ি দখল, সাজানো মামলায় ছেলেকে গ্রেফতার
রবিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০, ০৪ আশ্বিন ১৪১৭, ০৯ শাওয়াল ১৪৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক ? (বাংলাদেশ প্রতিদিন)
ঢাকার অদূরে দোহারে প্রতিমন্ত্রীর ভগ্নিপতির পর এবার ছোট ভাই দখল করে নিয়েছে সালেহা বেগম নামের এক বিধবার কোটি টাকা মূল্যের বসতবাড়ি। দখলের আগে কৌশলে চলি্লশোর্ধ ওই বিধবা এবং তার একমাত্র কিশোর সন্তানকে মিথ্যা হত্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।
গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের ভাই মোতাহার খান, ভাগ্নেসহ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের নেতৃত্বে অর্ধশত মানুষ গতকাল সকালে প্রকাশ্যে ওই বিধবার এক বিঘা জমির ওপর টিনের পাকা বাড়ি শাবল ও হাতুরি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। তারা বাড়িতে থাকা সালেহার ছোট বোনকে বের করে গোটা বাড়ি দখলে নেয়। এ সময় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগিরা সাংবাদিকদের কাছে গতকাল এ অভিযোগ করেন। জানা গেছে, একদিন আগে প্রতিমন্ত্রীর ভগি্নপতির নেতৃত্বে জয়পাড়ায় দখল করা হয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রশিদের বসত বাড়ি।
প্রতিমন্ত্রীর দাপটে তাদের পরিবারের সদস্যদের বাড়ি দখলের এ ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভুক্তভোগীরা পুলিশের কাছে গিয়েও সাহায্য পাচ্ছেন না। বাড়ি হারানো দুটি পরিবারই এখন প্রাণ ভয়ে এলাকা ছাড়া। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ২১ জানুয়ারি প্রতিমন্ত্রীর ভাই মোতালেব খান, ভাগ্নে সামসুল হক খান, যুবলীগ নেতা শামীম হোসেনসহ তাদের স্বজনেরা বাড়িটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। তবে সালেহা বেগম ও তাঁর একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে এবং বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে শাসিয়ে যায় যেন বাড়িটি আপোষে তাদের নামমাত্র মুল্যে দিয়ে দেয়।
কিন্তু সালেহা বাড়ির দখল ছাড়েননি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনরা কিছুটা নিরব থাকলেও প্রায়ই ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। পরে মন্ত্রীর ভাই মোতালেব খান ও তাঁর ভাগ্নে সামসুল হক খান মিথ্যা হত্যা মামলার আসামী করে মামলা দেয় সালেহা ও তাঁর ছেলে রুবেল মিয়ার বিরুদ্ধে। ওই মামলায় দোহার থানার পুলিশ মা ও ছেলেকে গত ২৪ আগষ্ট গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। এখনও তাঁরা মন্ত্রীর স্বজনদের সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে মা ছেলে জেল হাজতে অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন।
এ সুযোগে গতকাল তাদের বাড়িটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। প্রতিমন্ত্রীর ভয়ে কেউ এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। ঘটনাটি দোহার থানায় জানালেও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এই বাড়িটি ভাংচুর ও দখলের পেছনে মূল হোতার কাজ করেছে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খানের ছোট ভাই মোতালেব খান ওরফে মোতা খান। যার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী কথা বলবে তো দুরে থাক, নাম শুনলেই চুপসে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রীর ভাই মোতালেব খান ওরফে মোতা খান, ভাগ্নে সামসুল হক খান ওরফে ভাগ্নে সামসু, যুবলীগ নেতা শামীম হোসেনসহ একটি চক্র ভূয়া দলিলপত্র দিয়ে বাড়িটি একাধিক বার দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। মোতালেব খান ঘটনাস্থলে নিজে উপস্থিত না থাকলেও তার নির্দেশে ভাগ্নে সামসুল হক খানসহ যুবলীগের নেতাকমীরা হাতে শাবল, হাতড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে বাড়ি এবং বেকারী কারখানা ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। সেই বাড়িটি এখন তাঁরা দখলে নিয়ে গেছে।
সালেহার বড় বোন জহুরা খাতুন জানান, সকালে অর্ধশত লোক এসে একটি বেকারী কারখানা এবং বসত বাড়িটি কোন কিছু বুঝার আগেই ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলে। এখন প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আছি।
সালেহার বাড়ির পাশেই মেয়ে বেবী আক্তারের শ্বশুর বাড়ি। বেবী আক্তার বলেন, সকালে ঘুম জেগে উঠে ভাংচুরের শব্দ শুনে দৌড়ে মায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখি ভাংচুর চলছে। ভয়ে বাধা দিতে পারিনি। যারা দখল নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কি বলবো, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বললেই সব জানতে পারবেন। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, আব্দুল মান্নান খান মন্ত্রী হওয়ার পর তার ভাই, ভাগ্নে, ভাতিজাসহ আত্মীয় স্বজনরা এলাকায় নিরীহ লোকদের বাড়ি ঘর দখল, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী লোক হিসেবে এলাকায় 'ক্লিন ইমেজের' পরিচয় থাকলেও দোহার উপজেলার দখলবাজির নেতৃত্বে দিচ্ছেন মন্ত্রীর ছোট ভাই মোতালেব খান। তাঁর ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। ভ্যাবলা মাদবরের নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে প্রায় ৮০ বছর ধরে এখানে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শুরু হয় এই পরিবারটির ওপর একের পর এক নির্যাতন। যুবলীগের নেতা শামীম হোসেন বলেন, যারা এখানে বসবাস করছেন তাঁরা আসল মালিক নয়, এই জমির আসল মালিক আয়ুব আলী গং।
তাদের কাছ থেকেই মন্ত্রীর ভাগ্নে সামসুল হক খান বায়না সুত্রে মালিক হন। সেই জমি আমরা দখলে যাইনি তারা নিজেরাই দখলে দেয়। একদিন আগেই প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানের ভগি্নপতি আব্দুল জলিল খানের নেতৃত্বে জয়পাড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে পল্লী চিকিৎসক আব্দৃর রশিদ ও তার পরিবারের ৭০ বছরের বসতবাড়ি চোখের নিমিষে গুড়িয়ে দিয়ে দখলে নেয়।
সূত্র:
বাংলাদেশ প্রতিদিন, রবিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০
মূল লেখক:
দোহারের রাজনীতিতে এ কিসের আলামত ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।