দেশে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া রিপোর্ট ২০০৯’ অনুযায়ী বাংলাদেশের পাঁচ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে রয়েছে।
সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা রিপোর্টে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ডব্লিউএইচও ২০০৭ ও ২০০৮ সালে পরিচালিত ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া রিপোর্ট-২০০৯’ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে উল্লেখিত তথ্য তুলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর বার্ষিক প্রতিবেদনে ম্যালেরিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এখন ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী ২০১০ সালে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনটি খুব শিগগিরই সরকার প্রকাশ করবে বলেও জানা গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭৩ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৩৭ জন। পার্বত্য ও পাহাড়ি এলাকার শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার আগের তুলনায় কমেছে। ২০০৭ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় ৫৯ হাজার ৪৫৭ জন। এরমধ্যে মারা যায় ২২৮ জন। ২০০৮ সালে আক্রান্ত হয় ৮৪ হাজার ৬৯০ জন। তাদের মধ্যে মারা যায় ১৫৪ জন।
২০০৯ সালে ৬৩ হাজার ৭৭৩ আক্রান্তের বিপরীতে মৃতের সংখ্যা ৪৭।
ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় কমলেও আক্রান্তের সংখ্যা এখনও উদ্বেগজনক বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এবং সরকারি উদ্যোগের কারণে মানুষের মধ্যে সচেতনা দিন দিন বাড়ছে।
এখন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তরা দ্রুত চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাইলে প্রতিরোধের দিকেই বেশি জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সারাদেশে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব নেই। নির্দিষ্ট কিছু জেলা এবং উপজেলা ম্যালেরিয়ার জন্য এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ১৩ জেলার ৭০ উপজেলায় ইউনিয়নের সংখ্যা ৬২০টি। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের ৯৮ শতাংশ এই অঞ্চলের বাসিন্দা।
ঝুকিপূর্ণ ১৩ জেলার মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান।
শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কুড়িগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ও কক্সবাজার জেলা রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। এসব জেলার ৯৫ ভাগ মানুষই রয়েছেন ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের প্রায় ৭৮ শতাংশ প্লাজমোডিয়াম ফেলসিপেরাম এবং বাকি ২২ শতাংশ প্লাজমোডিয়াম ভাইভেক্স ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আবার দু’টি ভাইরাসের জীবাণুই পাওয়া যায়। তবে প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি ও প্লাজমোডিয়াম ওভাবি ভাইরাসের আক্রমণ বাংলাদেশে নেই।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চার ধরনের ম্যালেরিয়ার মধ্যে প্লাজমোডিয়াম ফেলসিপেরাম সবচেয়ে মারাতœক। আর দু’টি জীবাণুর মিশ্রণে যে ম্যালেরিয়া রোগ হয় সেটি আরও মারাতœক।
পার্বত্যাঞ্চলে অধিক মাত্রায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. এনীষা চাকমা স্থাণীয় সাংবাদিকদের জানান, পার্বত্য এলাকাগুলো সরকারের বিশেষ নজরে থাকলেও প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় বর্তমানে কার্যক্রম বেশ গতি পেয়েছে। এই গতি ধরে রাখতে পারলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের দিকেই বেশি করে নজর দিতে হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর জানান, আক্রান্তের সংখ্যা না কমলেও এখন ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এই সংখ্যা কমতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই যাতে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আসে আমরা সেভাবে পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। এব্যাপারে দাতা সংস্থা ও সরকারেরও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ আছে।
স্বেচ্ছাসেবীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, রোগ সনাক্ত ও চিকিৎসা, জীবাণু বাহক নিয়ন্ত্রণ এবং সচেতনতা সৃষ্টি এই তিন বিষয়ের সরকার বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
দেশে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া রিপোর্ট ২০০৯’ অনুযায়ী বাংলাদেশের পাঁচ কোটি মানুষ ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে রয়েছে।
সংস্থাটির সর্বশেষ গবেষণা রিপোর্টে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে এই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও ২০০৭ ও ২০০৮ সালে পরিচালিত ‘বিশ্ব ম্যালেরিয়া রিপোর্ট-২০০৯’ বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে উল্লেখিত তথ্য তুলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর বার্ষিক প্রতিবেদনে ম্যালেরিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এখন ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী ২০১০ সালে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনটি খুব শিগগিরই সরকার প্রকাশ করবে বলেও জানা গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭৩ জন।
এরমধ্যে মারা গেছেন ৩৭ জন। পার্বত্য ও পাহাড়ি এলাকার শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার আগের তুলনায় কমেছে। ২০০৭ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় ৫৯ হাজার ৪৫৭ জন। এরমধ্যে মারা যায় ২২৮ জন।
২০০৮ সালে আক্রান্ত হয় ৮৪ হাজার ৬৯০ জন। তাদের মধ্যে মারা যায় ১৫৪ জন। ২০০৯ সালে ৬৩ হাজার ৭৭৩ আক্রান্তের বিপরীতে মৃতের সংখ্যা ৪৭।
ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় কমলেও আক্রান্তের সংখ্যা এখনও উদ্বেগজনক বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এবং সরকারি উদ্যোগের কারণে মানুষের মধ্যে সচেতনা দিন দিন বাড়ছে।
এখন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তরা দ্রুত চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাইলে প্রতিরোধের দিকেই বেশি জোর দিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সারাদেশে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব নেই। নির্দিষ্ট কিছু জেলা এবং উপজেলা ম্যালেরিয়ার জন্য এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ ১৩ জেলার ৭০ উপজেলায় ইউনিয়নের সংখ্যা ৬২০টি।
ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের ৯৮ শতাংশ এই অঞ্চলের বাসিন্দা।
ঝুকিপূর্ণ ১৩ জেলার মধ্যে সবেচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান। শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, কুড়িগ্রাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ও কক্সবাজার জেলা রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে। এসব জেলার ৯৫ ভাগ মানুষই রয়েছেন ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের প্রায় ৭৮ শতাংশ প্লাজমোডিয়াম ফেলসিপেরাম এবং বাকি ২২ শতাংশ প্লাজমোডিয়াম ভাইভেক্স ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।
কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আবার দু’টি ভাইরাসের জীবাণুই পাওয়া যায়। তবে প্লাজমোডিয়াম ম্যালেরি ও প্লাজমোডিয়াম ওভাবি ভাইরাসের আক্রমণ বাংলাদেশে নেই।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চার ধরনের ম্যালেরিয়ার মধ্যে প্লাজমোডিয়াম ফেলসিপেরাম সবচেয়ে মারাতœক। আর দু’টি জীবাণুর মিশ্রণে যে ম্যালেরিয়া রোগ হয় সেটি আরও মারাতœক।
পার্বত্যাঞ্চলে অধিক মাত্রায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. এনীষা চাকমা স্থাণীয় সাংবাদিকদের জানান, পার্বত্য এলাকাগুলো সরকারের বিশেষ নজরে থাকলেও প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
তিনি বলেন, দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় বর্তমানে কার্যক্রম বেশ গতি পেয়েছে। এই গতি ধরে রাখতে পারলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসবে।
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের দিকেই বেশি করে নজর দিতে হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর জানান, আক্রান্তের সংখ্যা না কমলেও এখন ম্যালেরিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এই সংখ্যা কমতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, খুব শিগগিরই যাতে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে আসে আমরা সেভাবে পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছি। এব্যাপারে দাতা সংস্থা ও সরকারেরও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ আছে। স্বেচ্ছাসেবীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, রোগ সনাক্ত ও চিকিৎসা, জীবাণু বাহক নিয়ন্ত্রণ এবং সচেতনতা সৃষ্টি এই তিন বিষয়ের সরকার বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।