আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেয়ার বাজারে প্রকৃত লেনদেনকারী একাউন্ট সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ লাখ ৮২ হাজার অর্থাৎ মোট বিও হিসাবের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

১২৩

চৌদ্দটি বিও একাউন্টে ২৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন বিশ লক্ষাধিক একাউন্টধারীর হদিস নেই শেয়ার বাজার তদন্ত প্রতিবেদন ০০ রেজাউল করীম শেয়ার বাজারে মাত্র ১৪টি বিও একাউন্টের মাধ্যমেই এক বছরে (জানু-ডিসেম্বর ২০১০) ২২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে বিশ লক্ষাধিক বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) একাউন্টের কোন হদিস নেই। একাউন্ট খোলার পর থেকে এসব একাউন্ট বছরের পর বছর অব্যবহূত রয়েছে। আবার এসব একাউন্টে কোনো স্থিতিও নেই। অথচ কতিপয় ব্যক্তির একাউন্টের মাধ্যমে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে ।

এসব একাউন্টের মাধ্যমেও শেয়ারবাজারে কারসাজি হয়েছে বলে আশংকা করছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাস শেষে ৩৩ লাখ ৮০ হাজার বিও একাউন্টের মধ্যে ১২ লাখ ৯৮ হাজার হিসাব অর্থাৎ ৩৮ শতাংশের অধিক হিসাব অব্যবহূত। এসব একাউন্টে কখনো কোন শেয়ার লেনদেন হয় নাই। এর মধ্যে আবার ৯ লাখ একাউন্টে শূন্য স্থিতি। ঐ সময় প্রকৃত লেনদেনকারী একাউন্ট সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ লাখ ৮২ হাজার অর্থাৎ মোট বিও হিসাবের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।

শীর্ষ শেয়ার ব্যবসায়ীদের কারো কারো একাধিক বিও একাউন্ট রয়েছে। ব্যক্তি হিসাবে সর্বোচ্চ প্রায় চার হাজার কোটি টাকার লেনদেন রয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মাত্র ১৪টি একাউন্টের মাধ্যমেই এক বছরে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। সিরাজউদ্দোলা নামের এক ব্যক্তি একবছরে একাই প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী দুই বছরে বিও একাউন্ট পরিচালনা চিত্র ০১.০১.২০০৯ থেকে ৩১.০১.২০১১ তারিখ শেয়ার স্থিতিসহ হিসাব সংখ্যা শূন্য শেয়ার স্থিতির হিসাব সংখ্যা লেনদেনহীন অব্যবহূত হিসাব সংখ্যা মোট বিও একাউন্ট সংখ্যা ১ ২ ৩ ৪ ৫=২+৩+৪ ০১.০১.২০০৯ ৪৩৩৮২৮ ৪২৪৬৭৩ ৫০৯৯৯৯ ১৩৬৮৫০০ ৩০.০৬..২০০৯ ৪৮২৪৫১ ৪৬৬৫৩৩ ৪৭০০৩৫ ১৪১৯০১৯ ৩১.১২.২০০৯ ৬৮১১১৩ ৫৩৯৬১৭ ৬৯৯৮৭২ ১৯২০৬০২ ৩০.০৬.২০১০ ১০০৬৬৬৪ ৬১২৫১৮ ৯৫১৪৭২ ২৫৭০৬৫৪ ৩০.১২.২০১০ ১১৯৭১৭৫ ৮৫৯৭৪৫ ১২২৬৮২৮ ৩২৮৩৭৪৮ ৩১.০১.২০১১ ১১৮১৮৮০ ৯০০০৫৮ ১২৯৭৭৮১ ৩৩৭৯৭১৯ শীর্ষ লেনদেনকারী বিও একাউন্ট ০১.০১.১০ থেকে ৩১.১২.১০ বিও হিসাবের নাম লেনদেনের পরিমাণ (কোটি টাকায়) সৈয়দ সিরাজুদ্দৌলা ৩৮৩০ গোলাম কিবরিয়া ২৫০৪ গোলাম কিবরিয়া (২য় একাউন্ট) ১৯৩২ মোঃ হেলাল মিয়া ১৫৮৫ আনোয়ার হোসেন খান ১৫১৪ জিন্নাত বেগম ১৪৬৮ মোঃ শহিদুলস্নাহ ১৪৬১ রাশেদা আখতার মায়া ১৪২৭ তাসমিয়া আম্বারিন ১৩৬৮ এ কে এম আরিফুর রহমান ১২৮২ শরিফ আহমেদ ১১৯৯ মোজাম্মেল হোসেন ১১৯৩ মোঃ আরিফুর রহমান ১১০৭ সৈয়দ সিরাজুদ্দৌলা (২য় একাউন্ট) ১০৯৭ সর্বমোট ২২৯৬৭ শীর্ষ বিও একাউন্টধারী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেয়ার লেনদেনে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার জন্য সিডিবিএল স্থাপন করা হয়েছিল।

সিডিবিএল শেয়ার লেনদেনকারীদের বিও একাউন্ট সংরক্ষণ করে এবং বিও হিসাবের মাধ্যমে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় প্রতিফলিত হয়। বিও হিসাবের ধরন, লেনদেন, আঞ্চলিক বিভাজন প্রভৃতি বিষয়ে তদন্ত কমিটি সিডিবিএল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। সুএ: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.