সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!!!!!!শুভ কামনা রইল সবার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে!!!!!!!!
সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সরকার সেদিকে তাকায়নি। বরং সরকারের কর্তাব্যক্তিরা স্বার্থের জন্য দেশের সম্পদকে ঠেলে দিয়েছে ধ্বংসের দিকে। ভারতের চাপ আর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে অাঁতুড় ঘরেই গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল খনিটিকে। অনেক কালক্ষেপনের পর আবারও দাবি উঠেছে তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের।
কিন্তু সরকারিভাবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপই চোখে পড়ছে না পঞ্চগড়ের তেল খনিতে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেলের খনির অবস্থান সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শালবাহান নামক স্থানে। অথচ বাংলাদেশের মূল খনিমুখ চিরতরে বন্ধ করে দেবার পর শালবাহান থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে সীমামে-র ওপারে ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রায়গঞ্জ থানার জমিদার পাড়া গ্রামে তেলকূপ খনন করা হয়েছে। ওই খনির একটি অংশ থেকে প্রতিদিন জ্বালানি তেল উত্তোলন করছে ভারত।
১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে সন্ধান মেলে জ্বালানি কেরোসিন তেলের এ খনি।
পেট্রোলিয়াম ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের অধীনে অনুসন্ধান চালানো হলে ওই এলাকায় মাত্র ৫ হাজার পয়েন্ট গভীরে এ খনির অবস্থান নিশ্চিত হয়। ফরাসি কোম্পানি ফরাসল টানা দুই বছর অনুসন্ধান শেষে নিশ্চিত হয় তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৯০০ মিটার গভীরে রয়েছে উত্তোলনযোগ্য জ্বালানি তেল। ১৯৮৮ সালে খনির মধ্যবিন্দু শালবাহান এলাকায় কূপ খননের জন্য সেল পেট্রোলিয়াম কোম্পানি বাংলাদেশ বিদেশি কোম্পানি ফরাসল-এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। ১৯৮৮-৮৯ সালের জাতীয় বাজেটে ৩৫ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়। ১৯৮৮ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান এরশাদ আনুষ্ঠানিকভাবে তেল উত্তোলনের কাজ উদ্বোধন করেন।
পরে শালবাহান এলাকায় ৮ হাজার ফুট গভীরে ১২ ইঞ্চি ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট একটি তেলকূপ খনন করে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতীয় একটি হেলিকপ্টার এসে খনি এলাকায় তিনবার ঘুরে চলে যায়। যার সূত্র ধরে টানা তিনদিন মূল খনির মুখে পাথর, সিমেন্ট ও সিসা ফেলে ঢালাই করে দেয়া হয়। চলে যায় সবাই পাততাড়ি গুটিয়ে। রহস্যজনক কারণে চাপা পড়ে গেছে ৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প!
সূত্র জানায়, ভারতের তেল উত্তোলণের পথ প্রশস- করতেই দেশের এ খনি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এখানে খনি বন্ধ হবার পরই ভারতের সীমানায় জমিদারপাড়া নামক স্থানে তেল উত্তোলন কাজ শুরু হয়েছে। ভারতের তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা খনি বন্ধ করার জন্য চাপ সরকারকে প্রয়োগ করেছিল এমনটিও মনে করছেন অনেকেই। সময়ের ব্যবধানে সরকারিভাবে অধিগ্রহণ করা প্রায় ১০ একর এলাকা আসে- আসে- পরিণত হয়েছে জনহুল জনপদে। ২২ বছর আগে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে জ্বালানি তেল উত্তোলন কাজ শুরু হলেও প্রায় ২ যুগে জনগণের প্রাপ্তি খুবই সামান্য। সরকারিভাবে খনির মুখ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় একাধিক নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জনবসতি, জমিতে সবুজ ফসল আর তথাতথিত শিক্ষা বিস-ারের জন্য প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আড়াল করে ফেলেছে। এ মাটির ৯০০ মিটার গভীরেই যে দেশের মূল্যবান সম্পদ রয়েছে তা আসে- আসে- ভুলতে বসেছে এলাকার মানুষ।
শালবাহান খনি এলাকার তিরনয়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভাবনা থাকার পরও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জ্বালানি তেল খনি বন্ধ করে দেবার কারণে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এ খনির তেল উত্তোলন শুরু হলে এ উপজেলা উন্নয়নশীল উপজেলায় পরিণত হবে। আমাদের দেশের তেলখনি পাশর্ববর্তী দেশের স্বার্থে বন্ধ হবে এটা মেনে নেয়া যায় না।
’
পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মাযহারুল হক প্রধান বলেন, ‘দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তেঁতুলিয়ার তেল খনির তেল উত্তোলন প্রয়োজন। ২০ বছরের বেশি সময় আগে মূল খনি মুখ সিসা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এখন সেখানে কূপ খনন করা যাবে কিনা সেটা যাচাই করে দেখতে হবে। আমি এ নিয়ে কথা বলেছি। ’
সুত্র: আমাদের অর্থনীতি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।