এদেশ আমার
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারিত হওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে হেরে যাওয়ার পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যেই তা বাতিল করলেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (গণমাধ্যম) জান্নাত-ই-কাওনাইন মঙ্গলবার বিকেলে বাংলানিউজকে জানান, ‘নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনটি স্থগিত করা হয়েছে। ’
তবে পরে তা কবে হবে তাও জানাতে পারেননি জান্নাত-ই-কাওনাইন।
বেলা সাড়ে পাঁচটায় সংবাদ সম্মেলনের কথা বেলা আড়াইটার দিকে বিভিন্ন পত্রিকা ও গণমাধ্যমকে ইমেইলে জানানো হয়। আবার বেলা সোয়া চারটার দিকে ইমেইলে জানানো হয়, ‘অনিবার্যকারণবশত পরবর্তীতে সময় না জানানো পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলনটি স্থগিত করা হলো।
’
যত তড়িঘড়ি জানানো হয়েছিল, তারও চেয়ে দ্রুত তা বাতিল করা হলো।
ইমেইলে আমন্ত্রণ জানানোর পর ঢাকার গণমাধ্যমগুলোতে ইউনূসের সংবাদ সম্মেলন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।
বেশিরভাগ পত্রিকা ও গণমাধ্যম থেকে প্রতিবেদক ও ফটো সাংবাদিক সংবাদ সম্মেলন স্থলের দিকে যেতে থাকেন। অনেকেই সেখানে পৌঁছেও যান। কারণ, ইমেইল দেখে মিরপুরে তারা রওনা হন।
মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংক ভবনে অনেকে উপস্থিত হয়ে গেটের নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে জানতে পারেন সেখানে আজ কোনো সংবাদ সম্মেলন হবে না।
গ্রামীণ ব্যাংক ভবন প্রাঙ্গনে অপেক্ষা করে চলে আসেন সাংবাদিকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখে। ওই রায় অনুযায়ী, বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়।
এ সিদ্ধান্তের এক ঘণ্টার মধ্যেই ইউনূস সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এসব ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংকের গণমাধ্যম শাখার মহাব্যবস্থাপক জান্নাত-ই-কাওনাইন বলেন, ‘খুব দ্রুত সংবাদ সম্মেলনটি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা জানাবো, কবে সবাইকে ডাকা হবে। ’
প্রসঙ্গত, ব্যাংকিং বিধিমালা অনুযায়ী বয়স পেরিয়ে গেলেও অনুমোদন না নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২ মার্চ ইউনূসকে অপসারণ করে।
এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ১২ জনের মধ্যে ৯ সদস্য আদালতে যায়।
হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করলে রায় স্থগিতের আবেদন নিয়ে গত ৯ মার্চ ইউনূস আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হন।
প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মঙ্গলবার সে আবেদনও খারিজ করে।
আপিল বিভাগের রায়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, ‘ইউনূস আর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নন। ’
১৯৮৩ সালে সরকারের অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটিতে এখন সরকারের শেয়ার ২০ শতাংশ। অবশ্য শুরুতে এটা ছিল ৬০ শতাংশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।