প্রকৃতিকে করো তব দাস-চে দ্য আইডল (ব্লগার নং - ৩১৩৩৯)
আমি একটা ছেলেকে চিনতাম। ছিনতাই করতো সে। আমি একবার তার ছুরি আর ক্ষুর উলটে পালটে দেখেছিলাম। শুঁকেও দেখেছিলাম। কিছুই ছিলো না,রক্তের দাগ অথবা গন্ধ!
একটা মেয়েকেও চিনতাম।
সে রোজ ছিনতাই হয়ে যেত। আমি একরাতে তাকে ঝাপটে ধরে নগ্ন করে দেখেছিলাম। দেহের সবক'টা ভাঁজ। সম্ভাব্য সর্বত্র জিহ্বা ঘুরিয়েছিলাম। কিছুই পেলাম না, রক্তের রুপ-রস অথবা স্বাদ!
আমি আর কোনো দিন বা রাত, ছেলেটা বা মেয়েটার সাথে দেখা করিনি।
আমি বরঙ একটা প্রেম করেছিলাম।
তুমি কী আমায় রক্ত খাওয়াতে পারবে,প্রেমিকা কে প্রশ্ন করেছিলাম।
সে কোন শব্দ ব্যবহার না করে তার বাম চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দিলো। আমি দেখলাম সেখানে রক্তপ্রপাত,আকন্ঠ পান করে উঠলাম। তারপর প্রেমিকা আমার গলা ছুরির হ্যাঁচকা টানে ফাঁক করে দিলো।
গলগল সুর তুলে আমার দেহের সব রক্ত ফিরে গেলো তার চোখে।
আমি মগ্ন হয়ে তাকিয়েছিলাম ছুরির দিকে। ছুরি টা আমার চেনা। এই ছুরি টা দিয়ে ছেলেটা রোজ ছিনতাই করে।
ছেলেটার সাথে আমার ছুরি ও প্রেমিকা বিনিময় হলো।
বিদায়বেলায় আমার সদ্য সাবেক প্রেমিকা একগোছা চুল কেটে দিলে আমি তা শহরের সবচেয়ে বড় কবরস্থানটায় পুঁতে রাখলাম। পাশাপাশি পুঁতে দিলাম ছুরি।
কবরস্থানে আমার আর কিছু করার নেই। ছিনতাই হয়ে যাওয়া মেয়েটাকে খুঁজে নিলাম। সে আমাকে সাতরাস্তার মোড়ে দাঁড় করিয়ে রেখে অল্পবয়েসী একটা ছেলেকে নিয়ে সড়কদ্বীপেই উপবিষ্ট হয়ে গেলো।
তার আয় নিয়ে আমরা দুই বোতল দেশি মদ আর দুই পুরিয়া গাঁজা নিয়ে বসে গেলাম। আমাদের আড্ডায় একে একে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে তৃতীয় বিশ্বের হাতেটানা রিকশার চালক পর্যন্ত ঘুরে গেলো। মদের বোতল ছুঁড়ে আমি মেয়েটাকে জানালাম আমার রক্তের তৃষ্ণার কথা।
মেয়েটা আমার চোখের সামনেই নগ্ন হয়ে গেলো আর আমি দেখলাম সারা গা থেকে তার রক্তের তীব্র স্রোত বইছে।
মদের ঘোরে আমার মনে হচ্ছিলো,মেয়েটা আমার সাবেক প্রেমিকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।