সাংবাদিক, শিক্ষক
গত শনিবার দুপুরে উপজেলার পাথরা দুর্গাপুর গ্রামের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করেএকদল সন্ত্রাসী জাপা নেতা জেলার সহসভাপতি মোশারেফ হোসেন মাষ্টারসহ পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। জেলা পুলিশ সুপার নির্দেশ দিলেও ৩ দিনেও থানা পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সম হয়নি বরং আসামীদের প নিয়ে ওই জমির গাছ কাটতে সহায়তা করেছে।
ঘটনার বিবারনে প্রকাশ গত ২ এপ্রিল উপজেলার যাদবপুর গ্রামে সন্ত্রাসী বাবু, জাহাঙ্গীর, রফিকুল, ইনামুল , বদিয়ার, ও দুর্গাপুর গ্রামের হাকিম ও শমসেরসহ ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী জাপা নেতা মোশারেফ হোসেনের বাড়িতে আক্রমন করে। এসময় তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার ভাই সিরাজ, ছেলে কামাল, মামুনসহ ৫/৬ জন গুরুত্বর জখম হয়।
প্রথমে মহেশপুর হাসপাতালে পরে মোশারেফ ও সিরাজকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার দিন ছেলে কামাল হোসেন বাদী হয়ে ১০/১২ জনকে আসামী মহেশপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ৪ এপ্রিল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মতিয়ার কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে সম হয়নি। এ বিষয়ে এস আই মতিয়ার জানায় তিনি অভিযোগ পত্রটি ৪ এপ্রিল দুপুরে হাতে পেয়েছে। সেকারনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
অপর দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আজিজ জানায় ২ এপ্রিল দুপুরে অভিযোগ পত্রটি পাওয়ার পরপরই লিখিত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এ দিকে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সকালেই মামলা রের্কডসহ আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান কিন্তু এস আই মতিয়ার কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আসামীদেরকে দেড় লটাকা মূল্যমানে গাছ কাটার সুযোগ করে দিয়েছে। জানাগেছে উপজেলার রাম চন্দ্রপুর গ্রামের হকের আলীর আব্দুর রশিদ উক্ত গাছ গুলি সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে খরিদ করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় স্থানীয় শফিকুল আজম খান চঞ্চল নিন্দা দুষি ব্যক্তিদের গ্রেফতারের জন্য থানাকে নির্দেশ দিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।