আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকে তাকলীদ ও মাযহাব বিষয়ে এক ভাইয়ের সাথে আমার কথোপকথন

আড্ডা দিতে ভাল লাগে

ইজহারুল ইসলাম তাক্বলীদ এর সঠিক সংজ্ঞা কি? amar avrote ektu jhamel hasse wait আপনি caps lock বাটনের পরিবর্তে shift ব্যাবহার করুন। তাহলে মনে হয় ঝামেলা হবে না। ভাই আছেন? তাকলীদ সংজ্ঞার মূল হলো, যার পক্ষে কুরআন ও হাদীসের দলিল বোঝা সম্ভব নয়, সে অন্যের দেয়া মাসআলা ও দলিলের উপর নির্ভর করে আমল করা। যেমন, কোন হাদীসটা সহীহ বা যয়ীফ। সেটা আপনি জানেন না।

আর আপনার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তখন আপনি বোখারী মুসলিম বা আলবানী বা কারও কথার উপর নির্ভর করে হাদীসটির উপর আমল করলেন। এটাই তাকলীদ। আর ইত্তেবা কি? ইত্তেবা হলো, পরবর্তী কিছু আলেমের সৃষ্ট পরিভাষা। যেমন আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম ও কাযী শাওকানী এই স্তরের কথা বলেছেন।

কিন্তু অধিকাংশ আলেম এই স্তরকে স্বীকার করেন না। মূলত অধিকাংশ আলেম মানুষকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন. ১. যারা মুজতাহিদ। ২. যারা মুজতাহিদ নয়। এদেরকে মুকাল্লিদ বলে। ইবনুল কাইয়্যিম তৃতীয় একটা স্তর আবিষ্কার করেছেন, এদেরকে তিনি মুত্তাবি বলেছেন।

ভাই যদি আপনার উত্তর একবারে লিখে শেষে কিছ ডট ... দিয়ে দিলে ভাল হয়, যাতে আমি বুঝি যে আপনার উত্তর দেয়া এখনো শেষ হয় নি। কেননা আপনার উত্তরের প্রেক্ষিতে আমার কিছু প্রশ্ন জাগে। যারা ইত্তেবার কথা বলেছেন, এদের বক্তব্য হলো, দলিল দেখে অনুসরণ করাকে ইত্তেবা বলে। কিন্তু এ স্তর সৃষ্টির কোন অর্থ নেই। কারণ মূল হলো, দলিল থেকে মাসআলা আহরণের যোগ্যতা।

সেটা না থাকলে দলিল দেখে কোন লাভ নেই। আপনাকে আমি কালকে অনেকগুলো দলিল দিয়েছি। কিন্তু ঔ দলিলগুলো কিভাবে এই মাসআলার দলিল, সেটা কিন্তু আপনাকে বলিনি হ্যা সে ব্যাপারে আমি আপনাকে প্রশ্ন করব... আপনাকে হাদীসের রেফারেন্স দিলে কোনভাবেই প্রমাণিত হই না যে আপনি হাদীস অনুযায়ী আমল করছেন। কারণ যে হাদীসের রেফারেন্স দিয়েছি ওটা এই বিষয়ের দলিল কি না, কিংবা আদৌ দলিল হতে পারে কি না, সেটা কিন্তু মুজতাহিদ ব্যতীত বোঝা মুশকিল। আপনার প্রশ্ন করুন।

আমি উত্তর দিবো ইনশাআল্লাহ। । কিছু ব্যাপারে তো হাদীসের মতন পড়েই বোঝা যায় । তাই না? আর যেগুলো বুঝিনা তখন সেগুলোর ব্যাপারে দুই পক্ষের আলেম দের জিজ্ঞাসা করি... না ভাই, হাদীসের মতন পড়ে যেগুলো বোঝা যায়, সে বিষয়ে কোন মতানৈক্য নেই। কিন্তু যে বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে সে বিষয়ে অবশ্যই হাদীসের মতন পড়ে আপনি মূল বিষয় অর্জন করতে পারবেন না।

আরও দলিল খুজতে হবে। আচ্ছা সে প্রসংগে ইনশা আল্লহ পরে আসব। তো আপনি তাহলে বলতে চাইছেন, যে বিষয়ে মতানৈক্য আছে সে বিষয়ে ইত্তেবা করে ও লাভ নেই? তাই না? বিষয় স্পষ্ট হলে মতানৈক্য হতো না। অস্পষ্ট বিধায় মতানৈক্য হয়েছে। আপনাকে বলে রাখি, অন্যের অনুসরণ কোন কোন ক্ষেত্রে করতে হয়।

এটা আগে আপনাকে বুঝতে হবে। আমারা সর্ব অবস্থায় তাকলীদের কথা বলি না। ....... হ্যা যেসব বিষয়ে মতানৈক্য নেই সেসব বিষয়ে তাকলীদ করব। abr bolen তাতে তো নিশ্চয় সমস্যা নেই। আপনি কি বলেন? bujhi ni যে বিষয় গুলো তে কোন মত বিরোধ নেই, সেগুলোতে তো নিশ্চিন্তে তাক্বলীদ করা যায়।

আপনি কি বলেন? na apnar dharo na vul তো সঠিক ধারণা? তাকলীদের ক্ষেত্রে নি¤েœর বিষয়গুলি মনে রাখা আবশ্যক- ১. দ্বীনের মৌলিক আক্বিদার ক্ষেত্রে অন্যের তাকলীদ করা বৈধ নয়। ২. অকাট্য, সুস্পষ্ট এবং মুতাওয়াতির বিষয়ের ক্ষেত্রেও অন্যের তাকলীদের কোন সুযোগ নেই। ৩. অকাট্য দলিল যদি এমন সুস্পষ্ট হয়, যার বিপরীত কোন দলিল নেই তবে সেক্ষেত্রেও তাকলীদের কোন সুযোগ নেই। ৪. যার তাকলীদ করা হয়, তাঁকে ভুলের উর্ধ্বে মনে করা কিংবা তার সুস্পষ্ট ভুল বিষয়কে শুধু গোঁড়ামী বশতঃ আঁকড়ে থাকা শরীয়ত সম্মত নয়। ভুল যার থেকেই প্রমাণিত হোক, ভুল বিষয়ে তাকলীদ শরীয়তে বৈধ নয়।

সুতরাং কুরআন ও সুন্নাহের অস্পষ্ট, দুর্বোধ্য কিংবা একাধিক অর্থপূর্ণ বিষয়ে কাঙ্খিত অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রেই কেবল তাকলীদ স্বীকৃত। এক্ষেত্রে যারা মুজতাহিদ রয়েছেন, কেবল তাদের কথাই গ্রহণযোগ্য এবং সর্বসাধারণ যারা মুজতাহিদ নয় তাদের কথা শরীয়তে গ্রহণযোগ্য নয় বরং সাধারণ মানুষের জন্য আবশ্যক হল, এসমস্ত ক্ষেত্রে মুজতাহিদের তাকলীদ করবে। এখানে তাক্বলীদ বলতে অন্ধ অনুসরণ বোঝাচ্ছেন ? na আপনি দলিল বুঝতে পারবেন, দেখতে পারবেন, কিন্তু একটার উপর আরেকটাকে প্রাধান্য দেয়ার যোগ্যতা যেহেতু নেই, একারণে এক্ষেত্রে আপনি অন্যের অনুসরণ করবেন। কুরআন ও সুন্নাহের অস্পষ্ট, দুর্বোধ্য কিংবা একাধিক অর্থপূর্ণ বিষয়ে কাঙ্খিত অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রেই কেবল তাকলীদ স্বীকৃত। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মুজতাহিদ দের সিদ্ধান্ত দলিল প্রমাণ না দেখেই মেনে নিতে হবে।

কেননা দলিল দেখলে ও তো সেটা সাধারণের বোধগম্যতার বাইরে থেকে যাবে। ঠিক কি না? আপনি মুজতাহিদের নিকট জিজ্ঞাসা করতে পারেন, তিনি একটাকে আরেকটার উপর প্রাধান্য দিলেন কেন। তিনি আপনাকে উত্তর দিবেন। এবং এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তিনি কিতাবে করে থাকেন। আপনার যোগ্যতা থাকলে তার আলোচনা বুঝবেন, না হলে বুঝবেন না।

এটা আপনার উপর নির্ভর করে..... যদি মুজতাহিদদের নিকট জিজ্ঞাসা না করেই আমল করি তবে তো সেটা অন্ধ অনুসরন হবে। আমি কি ঠিক? উদাহরণ দিলে বুঝবেন, নাসীরুদ্দিন আলবানী সাহেব অনেক কিতাব লিখেছেন। আবু দাউদের উপর তিনি টীকা লিখেছেন। হাদীসের শেষে তিনি লিখেছেন, হাদীসটি সহীহ। কোনটার শেষে লিখেছেন, যয়ীফ।

এখন তাকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দিবেন, কেন তিনি এটা করলেন। ... আপনি চাইলে তার উপর আস্থা করে কারণ না জিজ্ঞাসা করে মেনে নিতে পারেন, আর যদি আপনি আলবানী সাহেবকে প্রশ্ন করেন, তিনি সেটা উত্তর দিলে তা বুঝে আমল করতে পারেন, কি কি কারণে হাদীসটি যয়ীফ বলা হলো। এটা আপনার যোগ্যতার উপর নির্ভর করবে। আপনার শব্দ চয়নটা ভুল। অন্ধ অনুকরণ কাকে বলে সেটা আপনাকে ভালভাবে বুঝতে হবে।

আপনি আগে আমাকে অন্ধ অনুকরণের বিষয়টা স্পষ্ট করেন। অন্ধ অনুকরণ বা অনুসরণ বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে ইখতিলাফ পুর্ণ মাসআলায় যদি আমি কোন মুজতাহিদের সিদ্ধান্তকে তার ঐরুপ সিদ্ধান্তের কারণ না জিজ্ঞাসা করেই মেনে নিয়ে আমল করি, সেটাকে। ভাই আপনি উত্তর লিখে রাইখেন। আমি গোসল করে আসছি ইনশা আল্লহ। এটাকে অন্ধ অনুসরণ বলে না।

অন্ধ অনুসরণ মানে হলো, ভুল প্রকাশিত হওয়ার পরও গোঁড়ামি বশত: সেটা না মানা। মুজতাহিদের বক্তব্যকে আপনি যেভাবেই মেনে নেন, তার দলিল বুঝে হোক, আর না বুঝে আপনি তার অনুসরণ করছেন। আর এই অনুসরণকে তাকলীদ বলে। দলিল যে আপনি বুঝেছেন, বিষয়টা এমন না। আপনি দলিল থেকে তার ব্যাখ্যাটা বুঝেছেন।

এবং তার বুঝের সাথে একমত হয়েছেন। সেটা একই কথা। উভয়ক্ষেত্রেই তাকলীদ হয়। vay, ami basto. pore kotha bolbo. 11 hours ago شكرا جزيلا أخي. كنت قد قضيت الكثير من وقتك الثمين للرد لي. أنا ممتن جدا لك. و لك أيضا কিন্তু আমার আরো কিছু সাহায্য প্রয়োজন আপনার কাছ থেকে। তাই আপনি যখন ফ্রী হবেন তখন আমাকে একটু জানাবেন।

الأن ليس لي شغل قل و سل ما شئت ভাই, বুঝিনাই। বাংলায় নয় ইংরেজিতে কন। আরবি ভাল বুঝি না। Its ok. الأن ليس لي شغل قل و سل ما شئت এইগুলার মানে কি? ami basto noi, ekhon bolen. এই লাইনটার মানে কি? و سل ما شئت ja issa jiggesh korun. তারমানে আপনি বলতে চাইছেন যে বিদ্যামান চার মাযহাবে কোন একটির তাকলিদ কারীকেই অন্ধ অনুসরণ কারী বলা যাবেনা। আমি কি সঠিক বলেছি? ji shobar dolil ase apni jante chaile dekhabe 4:07am ওকে।

তাহলে এই পর্যায়ে এসে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেল। View this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.