খ্রিস্টধর্মের প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো বেশ কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মালিকানা পেতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জর্ডান সরকার। যীশুর শিষ্যরা জেরুজালেম থেকে পালিয়ে পশ্চিম তীরের জেরিকোতে যাওয়ার সময় জর্ডানের যে উপত্যকা ব্যবহার করেন যেখানে বইগুলো পাওয়া গেছে।
উত্তর জর্ডানের অনুর্বর এক উপত্যকার গুহায় ২০০৫ ও ২০০৭ সালের মধ্যে সীসায় তৈরি ৭০টির মতো বই আবিষ্কৃত হয়। ৫ থেকে ১৫ পাতার বইয়ের পাতাগুলোও সীসা দিয়ে তৈরি। সীসার রিং দিয়ে বইগুলো বাঁধাইও করা হয়েছে।
ক্রেডিট কার্ড আকারের বইগুলো প্রাচীন হিব্রু ও সাংকেতিক ভাষায় লেখা।
গবেষকরা ধারণা করছেন, খ্রিস্টের মৃত্যুর কয়েক দশকের মধ্যে তার শিষ্যরা সীসার এ ৭০টি বই তৈরি করেন। তাদের এ ধারণা শেষ পর্যন্ত সঠিক প্রমাণিত হলে খ্রিস্টধর্মের জন্ম, যীশুর ক্রশবিদ্ধ হওয়া ও পুনরুত্থান বিষয়ে নতুন তথ্য মিলতে পারে।
আর তা তাহলে ধর্মীয় প্রত্নতত্ত্বের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।
বিভিন্ন লক্ষণ দেখে গবেষকরা বলছেন, এগুলো খ্রিস্টধর্মের একেবারে শুরুর সময়কার।
যীশুর মৃত্যুর কয়েক দশকের মধ্যে তার শিষ্যরা এগুলো তৈরি করেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর অর্থ, এগুলো প্রায় দুই হাজারের পুরনো।
গবেষকরা মনে করছেন, বইয়ের প্রচ্ছদ ও ভিতরের অলঙ্করণ দেখে ধারণা করা যায় এগুলো খ্রিস্টধর্মের নিদর্শন। এসব বইয়ে ক্রুশ, যীশুর সমাধি ও পবিত্র নগরী জেরুজালেমের ছবি রয়েছে। বইগুলোর প্রাপ্তিস্থান খ্রিস্টধর্মের নিদর্শন হওয়ার আরেকটি বড় প্রমাণ বলে মনে করছেন তারা।
অমূল্য এ নিদর্শন এখন ইসরায়েলি এক বেদুইন পরিবারের দখলে রয়েছে।
এদিকে, জর্ডান সরকার বলছে, এসব নিদর্শন জর্ডান থেকে পাচার হয়েছে। তবে বেদুইন পরিবারের দাবি, এসব গত ১০০ বছর ধরে তার পরিবারের কাছে রয়েছে।
মালিকানা যারই থাকুক না কেনো, শেষ পর্যন্ত গবেষণায় এগুলো খ্রিস্টধর্মের নিদর্শন হিসেবে প্রমাণিত হলে তা খ্রিস্টধর্মের জন্ম, যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়া ও পুনরুত্থান বিষয়ে নতুন চিন্তার সূত্রপাত ঘটাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।