আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব আপনারা এরি মধ্যে সকলেই জানেন যে ১৯৭১ সালের নরঘাতক, খুনী, ধর্ষক, গণহত্যাকারী দেলু কিংবা দেইল্লা রাজাকারের ফাঁসীর আদেশ হয়েছে। এই আদেশ হয়েছে ১৯৭১ সালে তার সকল ঘৃণ্য কর্মকান্ডের জন্য। নীচে ১৯৭১ সালে দেলু রাজাকারের সকল কর্মকান্ডের একটি সার সংক্ষেপ নীচে ছবিতে প্রকাশ করা হোলো।
নাম জালিয়াতিঃ
দেইল্লার এইসব কর্মকান্ডের বিচার যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ট্রাইবুনাল-১ এ চলছিলো তখন দেইল্লা রাজাকারের আইনজীবিরা ট্রাইবুনালে প্রমাণ করবার চেষ্টা করছিলো যে একাত্তর সালের যে দেলু শিকদার বা দেইল্লা রাজাকারের কথা অভিযোগে বলা হচ্ছে সেই ব্যাক্তি আর বর্তমানের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দেলোয়ার হোসেন সাঈদী এক ব্যাক্তি নয়।
এই প্রমাণ করবার চেষ্টা হিসেবে দেলু রাজাকার আদালতে এও বলেছে যে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট যদি দেখা হয় তবে সেখানে তার নাম দেলোয়ার হোসেইন সাঈদী লেখা রয়েছে। সুতরাং অভিযোগের দেলু বা দেইল্লা রাজাকার সে নয় বরং ভিন্ন ব্যাক্তি।
কিন্তু বিধি বাম। এডুকেশন ডট নেট নামে একটি ওয়েব সাইট একদিন প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর নাম ও বয়স কেলেংকারীর কথা। তাদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট টি ছিলো অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং সেখানে সকল প্রমাণ দিয়েই কথা বলা হয়েছিলো।
এই ওয়েব সাইটের অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে যে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলে আজকে আমরা যাকে চিনি সেই সাঈদী দাখিল এবং আলিম পরীক্ষার সার্টিফিকেটে নাম দেয় আবু নাঈম মোঃ দেলোয়ার হোসাইন। উল্লেখ্য যে সাঈদী দাখিল পাশ করে ১৯৫৭ সালে দারুস সুন্নাত শর্শীনা মাদ্রাসা থেকে এবং আলীম পাশ করে ১৯৬০ সালে বরই পাড়া মাদ্রাসা থেকে।
এসময় সাঈদী তার জন্মতারিখ ব্যাবহার করে ০১-০১-১৯৪৫, যার মানে দাঁড়ায় সাঈদী জন্মের ১২ বছর বয়সেই দাখিল পাশ করে যা এক কথায় সম্ভব না। এখানকার প্রাপ্ত তথ্য থেকেই জানা যায় যে সাঈদী তার আলিম ও দাখিল পরীক্ষার উল্লেখিত ওই নামটি পরিবর্তন করতে উদ্যোগী হয় ২০০৮ সালের ৫ ই নভেম্বর। যার মানে দাঁড়ায় দাখিল পাশ করবার প্রায় ৫১ বছর পর এবং আলিম পাশ করবার ৪৮ বছর পর সাঈদী তার নাম পরিবর্তন করে রাখে দেলোয়ার হোসেইন সাঈদী।
নীচে দেলু রাজাকারের সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম পাশ এর সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি দেয়া হোলোঃ
নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত আইনঃ
অথচ নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত আইনে আছে যে সার্টিফিকেটে নামে ভুল থাকলে এই ভুল সংশোধন করতে হবে পাশ করবার ২ বছরের মাথায়। কিন্তু ৫১ বছর পর সাঈদী কিভাবে তার নাম পরিবর্তন করলো এটার উত্তর কোনোভাবেই দিতে পারেনি নাম ও বয়স সংশোধন সংক্রান্ত তৎকালীন কমিটির সদস্য সাবেক মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ ইউসুফ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), মাদ্রাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত), সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর নূর, এবং মাদ্রাসা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু ছালেহ আহমেদ। উল্লেখ্য যে, এই মোহাম্মদ আব্দুর নূর ২০০৩ সালে সাঈদীর সুপারিশেই তৎকালীন সময়ে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।
নীচের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে সাঈদী যখন নাম পরিবর্তন করে তখন দৈনিক সংগ্রামে যে এফিডিভেটের বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো সেটি। লক্ষ্য করে দেখুন যে এইখানে সাঈদী তার বয়স লিখেছে ০১-০১-১৯৪৫।
এফিডেভিটে যা লেখা রয়েছে তা হুবুহু নীচে উল্লেখ করা হোলোঃ
‘আমি দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদী জন্ম তাং ০১-০১-১৯৪৫ ইং পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী বাড়ি নং ৯১৪ শহীদবাগ ঢাকা। আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা। আমি পূর্ব পাকিস্তান মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বর্তমানে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডর অধীনে আলিম ও দাখিল পাস করি, দাখিল পাসের সন ১৯৫৭ ১ম বিভাগ রোল নং ৩৯২০ কেন্দ্র সারসিন । দাখিল পরীক্ষায় ভুলবশত: আমার নাম দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদীর পরিবর্তে আবু নাঈম মোহাম্মদ দেলাওয়ার হুসাইন লিপিবদ্ধ হয়েছে। আলিম পাসের সন ১৯৬০ সাল রোল নং ১৭৬০ কেন্দ্র খুলনা বিভাগ ৩য়।
আলিম পরীক্ষায় ভুলবশত: আমার নাম দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদীর পরিবর্তে আবু নাঈম মোহাম্মদ দেলাওয়ার হুসাইন লিপিবদ্ধ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আমার শুদ্ধ ও সঠিক নাম হবে দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদী । এ ব্যাপারে আমি অদ্য ৫/১১/২০০৮ ইং নোটারী পাবলিক ঢাকা এর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে আমার নাম সংশোধনের বিষয়ে হলফ করলাম। দেলাওয়ার হুসাইন সাঈদী, পিতা মাওলানা ইউসুফ সাঈদী, বাড়ি নং ৯১৪ শহীদবাগ, ঢাকা। সংগ্রাম পি-৭২১২/০৮’
পাঠক লক্ষ্য করুন, এই এফিডেভিটের মাধ্যমে সাঈদী ২০০৮ এর নভেম্বর ৫, তারিখে কেবলমাত্র তার নাম পরিবর্তন করে।
বয়স জালিয়াতিঃ
পাঠক, নীচের এই ছবিটির দিকে তাকিয়ে দেখুন। সাঈদী নভেম্বর ৮, ২০০৮ সালে তার বয়স পরিবর্তন করবার জন্য এফিডেভিট জমা দিচ্ছে। সাঈদী তার সার্টিফিকেটে এতদিন লিখে রেখেছিলো যে তার জন্ম ১৯৪৫ সাল যেই হিসেবে সাঈদী ১২ বছর বয়সে দাখিল পাশ করে। যেহেতু সাঈদী বুঝতে পেরেছে যে এত কম বয়সে দাখিল পাশ করা যায়না, সেহেতু সে আবার তার বয়স পরিবর্তন করছে। কিন্তু এইখানেও সাঈদী আইন ভঙ্গ করেছে।
কেননা বয়স সংক্রান্ত এফিডেভিটের ক্ষেত্রে এফিডেভিট করতে হয় ব্যাক্তির মাকে কিংবা বাবাকে যদি জীবিত থাকে। কিন্তু ২০০৮ সালে সাঈদীর মা জীবিত থাকতেও সাঈদী নিজে নিজে সাক্ষর করে এফিডিভেট করছে যেটি সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ।
আবার, নীচের ছবিটি লক্ষ করুন। যেখানে সাঈদী ২০০৮ সালের নভেম্বরের ৮ তারিখে সাক্ষরের স্থানে লিখেছে "দেলোয়ার হোসেন সাঈদী" সেখানে মাত্র ২২ দিনের মাথায় নির্বাচনী প্রত্যয়ন পত্রে সাঈদী তার সাক্ষর পরিবর্তন করে লিখেছে "আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী", মানে দাঁড়াচ্ছে সাঈদীর সাক্ষর দুই যায়গায় দুই রকম মাত্র ২২ দিনের ব্যাবধানে।
সার্টিফিকেটে জন্ম সাল ১৯৪৫ হলেও নির্বাচনের সময় ১৯৪০
সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা আলিম পাশ কিন্তু নামের আগে আল্লামাঃ
এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় সাঈদী কি তার নামের আগে আল্লামা লিখতে পারে ? কেননা ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রত্যয়ন পত্রে সাঈদী লিখেছে যে তার সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে আলীম পাশ।
মানে ইন্টারমিডিয়েট সমতূল্য। সুতরাং আলীম পাশ যেখানে সাঈদীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা সেখানে নামের আগে সাঈদী কোন হিসেবে আল্লামা লিখে? এই কথাটি সাঈদীর বিরুদ্ধে আসা রায়ের ৮ নাম্বার পাতায় লেখা রয়েছে। সাঈদীর ২০০৮ সালের প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখিত সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং রায়ে উল্লেখ করা সেই অংশটি নীচে দেয়া হোলোঃ
মিথ্যে অর্থের হিসেবঃ
২০০৮ সালের নির্বাচনে সাঈদী নির্বাচন কমিশনে তার নিজের যেই আয় ও ব্যায়ের হিসেব দেখিয়েছিলো সেটির সাথে বাংলা লিক্সের প্রকাশ করা সাঈদীর বক্তব্যের কোনো মিল নেই। আয়কর এর কাগজ পত্রে সাঈদীর ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ দেখা যাচ্ছে ৬ লক্ষ নয় হাজার আটশ চার টাকা। অথচ বাংলা লিক্সের মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া একটি কনভারসেশন যেখানে সাঈদী তার আইনজীবি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে সাঈদী স্বীকার করছে তার ব্যাংকে কয়েকশ কোটি টাকা আছে এবং এই তথ্য সে নির্বাচনের সময় পুরোপুরি এড়িয়ে গেছে।
যেই ব্যাক্তি তার নির্বাচনের সময় দাখিল কৃত কাগজ পত্রে দেখিয়েছে যে তার নীট সম্পত্তির পরিমাণ সব মিলিয়ে ৮০ লক্ষ পনেরো হাজার সাতশ সোত্তুর টাকা সেখানে কয়েক বছরের ব্যাবধানে সাঈদীর ব্যাংকে কয়েকশ কোটি টাকা এলো কিভাবে?
নীচে সাঈদীর নির্বাচনের প্রদত্ত হিসাব এবং বাংলা লিক্সের মাধ্যমে প্রকাশিত কথপোকথনের অডিও দেয়া হোলো-
[ ভিডিওর ২ মিনিট ১০ সেকেন্ড থেকে শুনুন]
ইংল্যান্ডের পত্রিকায় সাঈদীকে জানোয়ার বলে উল্লেখ করলোঃ
ধর্ষক, লম্পট, খুনী দেইল্লা রাজাকার শুধু দেশেই অপরাধ করে ক্ষান্ত হয়নি। এই হারামজাদা ইংল্যান্ডে গিয়েও দেশের ১২টা বাজিয়ে দিয়ে এসেছিলো ২০০৬ সালে। ইসলাম ধর্মের কথা বলে সেখানে এই ধর্মকে সবার সামনে হেয় করেছিলো দেইল্লা। সে সময় সাঈদী বলেছিলো "ইংল্যান্ডে ও আমেরিকায় বোমা মারা একদম সঠিক। ইংল্যান্ড বোমা খাওয়া ডিজার্ভ করে" তখন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ট্যাবলয়েড সাঈদী কে নিয়ে The Sun একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ১৫-ই জুলাই ২০০৬ সালে।
লেখাটির শিরোনাম ছিলো- Ban this beast and Kill Brits Hate Cleric let into UK, এখানে সাঈদীকে "জানোয়ার" হিসেবে অভিহিত করা হয়। দয়া করে এই তথ্যটি আপনি ফেসবুক, টুইটার সবখানে ছড়িয়ে দিন। সে সময়কার ব্রিটিশ পাঠকদের প্রতিক্রিয়া দেখুন এইখানে
ইংল্যান্ডের পত্রিকা "দি মেইল" ও "দি টাইমসে" ওই একই সময় নিয়ে সাঈদী রিপোর্ট করেছে। সেখানেও এই মৌলবাদীকে নিয়ে নেতিবাচিক রিপোর্ট করেছে বৃটিশ পত্রিকাগুলো। নীচে দেখুন সেগুলো-
দি মেইলে-
দি টাইমসে-
সাঈদীকে জুতাপেটাঃ লন্ডন ও কানাডায়
১৯৯৯ সালে সাঈদী লন্ডনে বসবাসরত সিলেটী অভিবাসী সাধারণ নাগরিকদের কাছে জুতাপেটার মুখোমুখি হয়।
১৯৯৯ সালের ১৫-ই জুলাই সাঈদী ওল্ডহামের কুইন এলিজাবেথ হলের এক সভায় বলে যে সিলেটি সম্মানিত অধিবাসীরা লন্ডনে যদি না আসত তবে বাংলাদেশে তারা নাকি রিকশাচালক হোতো কিংবা ড্রাইভার হোতো। সেই সাথে সাঈদী আরো বলে যে, এইখানকার তরুনীরা ইউনিভার্সিটি যাবার নাম করে কি করছে তা তাদের অভিভাবকেরা নাকি খোঁজ নেন না। সাঈদী আরো বলে যে এই লন্ডনের মেয়েরা নাকি খুবই পাতলা কাপড় পড়ে যাতে তাদের শরীর দেখা যায় এবং এইসব কাপড় নাকি হিন্দু মেয়েরা পরে না। সাঈদী আরো বলে যে এই দেশের ৯০ ভাগ মেয়েদের নাকি বয় ফ্রেন্ড আছে বলে তার কাছে তথ্য আছে।
সভাতে এইসব কথা বলার সাথে সাথেই সাঈদীর ওয়াজ শুনতে আসা ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তিরা সাঈদীর দিকে জুতা ছুঁড়ে মারে এবং সাঈদীকে মারতে উদ্যত হয়।
এসময় জামাত-শিবিরের কর্মীরা সেখান থেকে সাঈদীকে রক্ষা করে।
এই ঘটনার কিছুদিন পর সাঈদী একটা সংবাদ সম্মেলন ডাকে এবং সেখানে বলে, সে যা বলেছে ঠিক বলেছে। ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। দেখুন নীচের ছবিগুলোঃ
এই ঘটনাটি পরবর্তীতে সাংবাদিক মোহাম্মদ শাহজাহান লিখেন লন্ডনের সাপ্তাহিক সুরমায় ২৬ শে আগস্ট ১৯৯৯ সালে। এই ঘটনার পর সাঈদীকে রাতের আঁধারে চুপিশারে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পরে ২০০৬ সালে আবার লন্ডনে এসে সাঈদী ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা নিয়ে কটুক্তি করে এবং এই দুইটি দেশ বোমা হামলা ডিজার্ভ করে ২০০১ সালে এমন কথার প্রেক্ষিতে ইংলিশ মিডিয়া সাঈদীর ভিসা বাতিলের আবেদন জানায়।
এইদিকে সাঈদীকে কানাডার টরেন্টোতে জুতাপেটা করা হয় ২০০৪ সালে, আসুন আনোয়ার হোসেন মুকুলের নীচের রিপোর্টটি পড়িঃ
উপরের ছবিটি নাহার মনিকা নামে এক ভদ্রমহিলার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেয়া। যিনি এই ছবিটিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে-
সময়টা ২০০৪ সাল। সাঈদী মন্ট্রিয়ালের মসজিদে ওয়াজ-মাহফিল করতে এলে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। তার ওপরে জুতাও ছুড়ে মারা হয়েছিল।
আমাদের মেয়ে চারণ-চিত্রণ স্লোগান শিখেছিল- 'সাঈদীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে'... সেই প্রথম স্লোগান আর ভুললো না।
সাঈদীর অপরাধের অস্বীকার এবং পিরোজপুরের জনতার জবাবঃ
ব্লগার এই আমি যাত্রীর একটি লেখা থেকে জানা যায় যে- ১৯৯৭ সালের ২৬শে অক্টোবর দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় এ সংবাদ টি ছাপা হয়। রাজাকার সাইদি বলেছিল, "তিনি রাজাকার কেউ প্রমান করতে পারবে না। " এরই প্রেক্ষিতে পিরোজপুরের ৪টি এলাকার মানুষ প্রমানসহ বলেন "সাইদী ছিল ভয়ঙ্করতম রাজাকার"
কৃতজ্ঞতাঃ লেখায় ব্যাবহৃত অনেক ছবি বিশেষ করে সাঈদীর সার্টিফিকেটের নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে যে ছবিগুলো ব্যাবহার করেছি সেগুলো পেয়েছি ডেইলী এডুকেশন ডট নেট ওয়েব সাইট থেকে, এফিডেভিটের যে অংশটি পাঠকদের সুবিধার্থে লিখেছি সেটিও উক্ত ওয়েব সাইট থেকে হুবুহু কপি করা, কিছু ছবি নিয়েছি ২০০৮ সালে নির্বাচনে সাঈদী যে কাগজ পত্র জমা দিয়েছিলো সেই ফাইল থেকে যা আমি পেয়েছি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট থেকে, প্রথম ছবিটি আমি পেয়েছি ফেসবুকের সাকসেস স্টোরি নামক পেইজ থেকে, একটি ছবি জনৈক ভদ্রমহিলা নাহার মনিকার ফেসবুক পেজ থেকে এবং কিছু ছবি নেয়া হয়েছে ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় ট্যাবলয়েড দি সান থেকে। লন্ডনের ঘটনা গুলো জানবার এবং সকল পেপার কাটিং দেবার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা ভাই এবং সুরমা পত্রিকার সাংবাদিক জনাব মোঃ শাহজাহানকে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।