এ ঘটনা টি সত্যি বলে প্রথমে আমার নিজেরই বিশ্বাস হতে চাচ্ছিলনা। ঘটনা টি কারও কাছ থেকে শোনা নয় বরং যার ঘটনা তিনি নিজেই বর্ননা করেছেন আর তা শুনে আমার কেমন লেগেছিল তা ঘটনা টি পড়লেই বুঝতে পারবেন আশা করি।
যেহেতু ঘটনাটি আমার এক আত্মীয়ের তাই নাম ঠিকানা উল্লেখ করছিনা। গল্পটি যাকে নিয়ে, মনে করি তার নাম অহনা । বয়স ৩০ এর কাছাকাছি ( ১৯৯৩ সালে) ।
কৃপন হিসেবে অহনার সুনাম ছিল ভূবন জোড়া । আত্মীয় মহলে তার কৃপনতা উদাহরন হিসেবে দেখানো হতো।
অহনার একবার দাঁতে ব্যাথা, দু দিন পর বাসায় থাকতে না পেরে গেলেন ডেন্টিস্ট এর কাছে । দেখেশুনে ডাক্তার বল্লেন দাঁতে ক্যাপ পরাতে হবে । খরচের কথা শুনে অহনার দাঁতের ব্যাথা একটু কমে গেলেও পরক্ষনে আবার ফিরে এল।
হটাৎ মনে বুদ্ধি এল (মাথায় নয়) দাঁতটা তুলে ফেললে কেমন হয় ??? !!! ডাক্তার কে মনের কথা খুলে বলার পর ডাক্তার সাহেব বললেন তাহলে তো আপনাকে ফল্স দাঁত পরতে হবে । ক্যাপ পরানোর চেয়ে কম খরচের কথা ভেবে অহনা রাজী হলেন ফল্স দাঁত পরতে ।
মূল ঘটনাটি ঘটেছিল তার অনেক দিন পরে। ঘটনার দিন কি ভাবে যেন অহনার ফল্স দাঁতটি তার পেটে চলে যায়। এর পর ফল্স দাঁত এর শোকে আবার তার মনে নতুন বুদ্ধি আসে।
ফল্স দাঁত তার পেটে চলে গেলেও বের তো তাকে হতেই হবে ,আর বের হবার রাস্তা যখন একটাই তথন ফেরত পাবার আশা করতে দোষ কি। ভাগ্যদেবী অনেক ক্ষন পরে হলেও তার প্রতি দয়া(!!!) দেখালেন। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তিনি কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে তার হারানো দাঁত টি তুলে নিলেন। এর পর গরম পানিতে অনেকক্ষন ফুটিয়ে ফল্স দাঁতটিকে তার পুর্বের স্থানে বহাল রাখলেন। নিন্দুকের তো আর মরন নাই ........ কি ভাবে যেন এ খবর চাউর হয়ে গেল ।
যথারীতি সবাই জানতে পারলে তাকে প্রশ্ন করা হলো কি রে তুই আবার ঐ দাঁত পরতে পারলি ? একটুও কি ঘিন্না লাগলোনা তোর ....। অহনার তড়িৎ উত্তর ... আমার গু .. আমার দাঁত ঘিন্নার কি আছে !!!!!
ব্লগে এটি আমার প্রথম পোষ্ট, লেখার ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন এবং ভালো লাগলে নতুন লেখার উৎসাহ দিবেন..........।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।