emotional fool
ভেনেজুয়েলার সদ্য প্রয়াত বিপ্লবী নেতা হুগো চাভেজ ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। ৫৮ বছরের আয়ুষ্কালে প্রতিনিয়ত তিনি সাম্যের কথা বলেছন। বলেছেন বিশ্বের কোটি কোটি নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের পক্ষে।
সাধারণ স্কুলশিক্ষকের ঘরে জন্ম নেওয়া চাভেজ কর্মগুণে দেশকালের ঊর্ধ্বে উঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন কোটি মানুষের অন্তরে, সিক্ত হয়েছিলেন তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। শোষিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে অগ্রদূত কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ মিত্র।
নানা হুঁশিয়ারি ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি আমৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শাসকদের কড়া সমালোচক ছিলেন। লড়েছেন তাঁদের আগ্রাসী নীতির বিরুদ্ধে।
অবিসংবাদিত এই নেতার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলি সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরা হলো:
১৯৫৪: এই বছরের ২৮ জুলাই হুগো চাভেজ ভেনেজুয়েলার বারিনাস রাজ্যের সাবানেতায় এক স্কুলশিক্ষকের ঘরে জন্ম নেন।
১৯৭৫: ভেনেজুয়েলার একাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্স থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৭: সেনাবাহিনীর ভেতরে বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৮১: শিক্ষক হিসেবে সামরিক একাডেমিতে ফেরত যান।
১৯৯২: ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট কার্লোস আন্দ্রেস পেরেজের সরকারকে উত্খাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। চাভেজকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১৯৯৪: দল পুনর্গঠন করেন।
১৯৯৯: ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এ বছর ক্ষমতায় যান।
২০০২: এক ব্যর্থ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। দুই দিন পর আবার ক্ষমতায় ফিরে যান।
২০১১: চাভেজের দেহে ক্যানসার ধরা পড়ে।
২০১২: অক্টোবরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আরও ছয় বছরের জন্য ক্ষমতায় যান। ডিসেম্বরে চতুর্থবারের মতো কিউবায় ক্যানসারের চিকিত্সা করান।
২০১৩: চিকিত্সার পর কিউবা থেকে ভেনেজুয়েলায় ফিরে আসেন চাভেজ। গতকাল মঙ্গলবার ভেনেজুয়েলার সামরিক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সূ্ত্র : প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।