শৈশবে স্কুলে পড়ার সময় থেকে একেকজনের নাম নিয়ে আমরা কতইনা মজা করেছি। আরে এতে আমার নিজেরও যে নাম ছিল। ঘটনাটির শুরু কবে থেকে তা ঠিক কেউই বলতে পারবেনা। তবে যার নাম থেকে আমাদের নামকরন শুরু তার নাম হল সাইফুল আলম। তো তার নাম জানতাম শুধু সাইফুল আলম।
কিন্ত যতই আমরা উপরের ক্লাসে পড়ি না কেন ততই তার নাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক বছর পর পর তার এই নাম বাড়তে থাকে। তো যাই হোক ক্লাস এইটে পড়ার সময় তার নামের পূর্ন রূপ হয়। আবু নাঈম মোঃ সাইফুল আলম খান সুমন। এর সাথে তো আমাদের দেয়া টাইটেল নামও ছিল যেমন ঠোলা, ফুলবাবু ইত্যাদি।
তো তার এই নামগুলোর ইহিতাস এখানে আলোচনা করা যাচ্ছেনা। তারপর আমার আরেক বন্ধু আছে যার নেমপ্লেটে নাম লেখা ছিল জ. ম. তামিম। তো সেই সাইফুলই একদিন আবিষ্কার করে বলল দেখ দেখ ওর নামের মধ্যেই ওর পুরো জীবন সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ জ. ম. তামিম মানে জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত তামিম। তারপর আরেক বন্ধু আছে যার নাম হল রবিউল ইসলাম।
সে সব সময় ক্লাসে স্নো পাউডার ব্যাবহার করত বলে তাকে সংক্ষেপে বলা হতো ছুনু। সেই ছুনুই আবার সাইফুলের সাথে মাঝে তামাশা করে বলত, 'ঠোলা পেন্টটা ঢোলা টুপি পরে টাইট করে লেফট রাইট'। তো আবার সেই রবিউলের একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি পেয়েছিলাম আমরা সেই ছবি তে রবিউল কলারের বোতাম লাগিয়ে ছবিটা তুলেছিল বলে সাইফুল বলে দেখ ওকেতো একেবারে ট্রাফিক পুলিশের মত লাগছে। তো আমাদের সাথে আরেক ছেলে পড়ত তার নাম ছিল সাগর তাকে আমরা ডাকতাম ছাগল বলে। সে খুব শান্ত শিষ্ট লেজ বিশিষ্টর মত থাকত।
তবে মাঝে রেগে গেলে সে কান্নাকাটি করে একেবারে মারামারি জুরে দিত। বন্ধুদের মাঝে অনেকেই বিয়ে করেছে। তো আমার আরেক বন্ধুর নাম হল জামান। সে আমাদের সাথে যখন পড়তে আসে এক গ্রামের স্কুল থেকে। তো সেই হিসেবে তার কথা বার্তার মাঝে গাইয়া গাইয়া ভাব ছিল বলে আমরা তাকে বলা শুরু করলাম came from village বা সংক্ষেপে cfv।
এ নিয়ে তার সাথে আমাদর প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। পরে সংক্ষেপে তাকে আমরা ফরেনার নামে ডাকতে শুরু করি। প্রথম প্রথম রেগে গেলেও পরে সে এই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। তাকে পরে যদি আমরা জামান ডাকি সে হেসে উত্তর দেয় ফরেনার। ( চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।