কিছুই জানি না। সামহোয়ার ইন ব্লগকে ব্যবহার করে শাহবাগের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার মিশনে তিনজনের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া দিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ব্লগার+ফান রাইটার,একজন সাংবাদিক এবং একজনের নাম মিলন। বাড়ি পাবনা।
যেভাবে সন্দেহের শুরু..
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় যখন ব্লগের স্ক্রিনশর্ট সহ সংবাদ ছাপা হয় তখন সামহোয়ারইন বস্নগে স্ক্রিনশর্ট খ্যাত ডিজিটাল দুষ্ট ছেলে ওরফে ব্লগ ধামাকা ওরফে অন্ধ ওরফে ঝিঁঝি পোকা ওরফে বরিশাল থেকে ওরফে অবহেলিত আমি ওরফে ফাষ্ট এন্ড ফিউরিয়াস ওরফে সোহান মুরাদ ওরফে আমি ছাড়া সবাই ভাল ওরফে ওরফে ডিজিটাল হাসি ওরফে ওয়ারলর্ড ওরফে আহমেদ আরিফ ( আরো ডজন ডজন নিক আছে।
ব্যান খাওয়া ক্যাটাগরিতে ব্লগারদের যদি পুরষ্কার দেওয়া হয়,ব্যান খাওয়ার দিক দিয়ে আগামী ১০ বছরেও আহমেদ আরিফের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না) এর দিকে সন্দেহ হয়। সন্দেহের তালিকায় আরো যাদের নাম আসে তারা হচ্ছেন বস্নগার হাবিবকুল,বস্নগার ভুদাই সহ আরো ২জন। হিসেব নিকেশ ক্যালকুলেট করে আমাদের সন্দেহ তীব্র হতে থাকে আহমেদ আরিফের উপর। কারণ,ব্লগার সবাকের টাকা নিয়ে প্রতিবেদনে লেখা আছে। ব্লগার বাবুয়া ওরফে জুলভার্নের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ব্লগার সবাক টাকা ধার নিয়ে ফেরত দেয়নি এই অভিযোগ ব্লগে প্রথম তোলে আহমেদ আরিফ।
আহমেদ আরিফের জিমেইল আইডি টানা ২দিন চেষ্টার পর হ্যাক করা সম্ভব হয়।
কে এই আহমেদ আরিফ?
আহমেদ আরিফের আসল নাম জানা না গেলেও দৈনিক নয়াদিগন্ত,দৈনিক ইত্তেফাক,দৈনিক কালের কন্ঠ,দৈনিক আমার দেশ এই ৪টি পত্রিকার সাপ্তাহিক ফান ম্যাগাজিনের লেখক আহমেদ আরিফ। আহমেদ আরিফ গর্ব করে দৈনিক আমার দেশের ভিমরম্নলে কাজ করার কথা বললেও কোন এক অদৃশ্য কারণে অন্যকোন ফান ম্যাগাজিনের লেখক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয় না।
মেইল হ্যাক করার পরই বেরিয়ে আসে ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের খবর।
১৯তারিখে আহমেদ আরিফ সাংবাদিক বাশারকে একটি মেইল করে।
সেই মেইল এমএসওয়ার্ডে এবং এটাচ করে আহমেদ আরিফ গোছানো একটা প্রতিবেদন মেইল করে। কোন প্যারায় কার নামের পর কি স্ক্রিনশর্ট বসবে সব আহমেদ আরিফ নির্দেশনা দেয়। প্রতিবেদনটির শিরোনাম এডিট করে ২০ তারিখে প্রায় হুবুহু ছাপিয়ে দেয় দৈনিক আমার দেশ। ঐদিনকার পত্রিকার লিড নিউজ ছিল আহমেদ আরিফের প্রতিবেদনটা। ব্লগার থাবা বাবার কারণে এমনিতেই খেপে গিয়েছিল মোল্লারা।
আহমেদ আরিফের প্রতিবেদনটি আগুনে পেট্রোল,কেরোসিন ঢেলে দেয়। শাহাবাগকে বিতর্কিত করার মিশনে সফল হয় দৈনিক আমার দেশ। দূভার্গ্যজনক হলেও সত্যি আহমেদ আরিফের প্রতিবেদনটি ব্লগে কপিপেষ্ট হলে বস্নগাররা প্রতিবেদনটাকে ১০০ভাগ সত্যি বলে কমেন্ট করে। এবং এই সুযোগটা আবারও ব্যবহার করে আহমেদ আরিফ। পরদিন ব্লগারদের কমেন্ট নিয়ে একটি ফলোআপ ছাপে দৈনিক আমার দেশ।
ষোলকনা পূর্ন হয় আমাদের সামুকে বিতর্কিত করার।
আহমেদ আরিফের ভয়ংকর ষড়যন্ত্র..
আহমেদ আরিফ প্রতিবেদনে যে শিরোনাম ব্যবহার করেছে সে শিরোনাম যদি পত্রিকায় ছাপা হত তাহলে সারা দেশে যতটা না সংঘাত হয়েছে তার চাইতে ১০০গুন বেশী হত। মারা যেত শত শত মানুষ।
কি শিরোনাম দিয়েছিল আহমেদ আরিফ?
বস্নগে নাস্ত্মিকতার নামে চরম অসভ্যতা
'আলস্নাহ আমার খাটের তলে বয়া গাঞ্জা টানে'!
সাথে জুড়ে দেয় স্ক্রিনশর্ট। ভাগ্যিস আমার দেশ আহমেদ আরিফের শিরোনাম ছাপেনি।
ছাপলে কি হত কল্পনা করা যায়?
আর যা যা পাওয়া গিয়েছে আহমেদ আরিফের জিমেইলে...
২৩ তারিখে মহসিন নামের একজনকে পাঠানো মেইলে আহমেদ আরিফ লিখেছে
'জব আর ব্যবসা নিয়ে দৌড়ের উপ্রে আছি। তাই রিপেস্ন দিতে দেরী হয়েছে। আপাতত আমাদের টার্গেট যেটা সেটা হচ্ছে বস্নগিংয়ের নামে নাস্ত্মিকরা কি করছে এবং বস্নগ মালিক জানা-আরিল তাদের কিভাবে প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটা দেশের লাখলাখ পাঠকের সামনে প্রকাশ করা। আপনি জানতে চেয়েছেন,বস্নগ মালিক জানার প্রতি আমার ক্ষোভের প্রতিশোধ লইছি কিনা। না,ক্ষোভ না।
ক্ষোভ তার প্রতি থাকে যে ক্ষোভের যোগ্য। বাকশালীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় জানার পালিত মডুরা আমার ১শত ৪০ এর উপর নিক ব্যান করেছে তাতে আমার কিছুই হয় নাই। সবচেয়ে বড় কথা আমি নিক বানাইতাম না। পাবলিক আমাকে সাইধ্যা নিক দিত। বাকশালী,নাস্তিকদের দৌড়ানি দিতাম মডু নিক ব্যান করে দিত।
কিচ্চা খতম। আহমেদ আরিফ নামের জন্য লিখেনা। নামের জন্য লিখলে পত্রিকায় একেকবার একেক নামে লিখত না। গায়ে জ্বর। দোয়া রাইখ্যান।
বাবুকে আদর দিয়েন। আর ভাল কথা,সাবধানে থাকবেন। সরকার রায়ের জন্যই শুধু পাগল হয়নি আগামীবার ক্ষমমতায় যেতে দেশে নারকীয় হত্যাকান্ড চালাতেও বিন্দুমাত্র ভাববে না। '
ফায়দা লুটতে কৌশলী আহমেদ আরিফ..
সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের শিরচ্ছেদের প্রতিবাদে শাহবাগে ব্লগারদের আন্দোলনের কথা মনে আছে?সেই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দৈনিক যুগান্ত্মরের সাংবাদিক আশীফ এন্তাজ রবি এবং প্রথম আলোর দুইজন। আহমেদ আরিফের একটা মেইলে পাওয়া গিয়েছে সে সম্পর্কিত একটি মেইল।
শাহেদ নামের একজনকে আহমেদ আরিফ মেইলে লিখেছে
'হে হে আশীফ এন্তাজ রবি আর প্রথম আলো গংরে বাঁশ দেওয়ার জন্য বাংলানিউজ২৪ এর কে ব্যবহার করা দুধভাতের ব্যাপার। সোহান মুরাদ নাম নিয়ে মুক্তমত-এ এমনই লেখা লিখছি যে ব্যাথায় কুকড়ে উইট্যা আসিফ ইন্ত্মাজ রবি আত্মপÿ সমর্থন করে প্রতিবাদ পাঠাইছে। শালা একটা বড় পত্রিকার সাংবাদিক হইলেও আস্ত একটা ভোদাই। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে আমার বিরম্নদ্ধে একটা মিথ্যাচার করে বসে। বাংলানিউজ২৪ এর সাথে প্রথম আলোর বিরোধটাকে কাজে লাগিয়ে সোহান মুরাদ দিয়ে আমিও দিছি আরেকটা লেখা মাইরা।
পাঠকের সামনে কৌশলে এমন একটা প্রশ্ন রাখি যে পাঠক সহজেই বুঝতে পারবে আশীফ এন্তাজ রবি কত বড় মিথ্যুক। আশীফ এন্তাজ রবিকে মিথ্যুক হিসেবেও প্রমাণ করেছি আন্দোলন নিয়ে আমার বক্তব্যও তুলে ধরেছি। বাংলানিউজ২৪ আর টিসুৎ পেপার সেম। টিসুৎ পেপার যেমন মুখে আবার টয়লেটেও ব্যবহার করন যায় তেমনি প্রথম আলোর কুকীর্তিকে একটু হাইলাইট করে বাংলানিউজ২৪ কে ব্যবহার করেও যাকে ইচ্ছা তাকে ইচ্ছা মত বাঁশ দেওন যায়। যাউকগা কথা হইতাছে,বহুত খিদা লাগছে।
বাহিরে খাইতে যামু। বাহিরে খেতে আর ভাললাগেনা। ইস!যদি একটা বউ থাকত। ও বউ ও বউ তুমি কুতায়..খিক খিক..বাই '
এছাড়া আহমেদ আরিফের মেইলে আরো ফান ম্যাগাজিনের পাঠক/পাঠিকাদের পাঠানো শত শত মেইল,মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি।
আহমেদ আরিফের প্রেমিকাও ব্লগার...
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আন্দোলনে সক্রিয় জনপ্রিয় এক মেয়ে ব্লগার আহমেদ আরিফের প্রাক্তন প্রেমিকা।
সিনিয়র অনেক বস্নগারই আহমেদ আরিফের প্রাক্তন প্রেমিকাকে চিনেন। এই নিয়ে আরেক ব্লগারকে পাঠানো একটা মেইল আছে। মেয়ে ব্লগারের কথা বিবেচনা করে মেইলটি তুললাম না।
আহমেদ আরিফের বর্তমান প্রেমিকাও একজন ব্লগার। কাদরী নামের একজনকে পাঠানো আহমেদ আরিফের পাঠানো মেইলে উল্লেখ আছে।
নাম বলেনি।
আহমেদ আরিফের বাড়ি
চট্রগ্রাম। আর কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
বর্তমান অবস্থান
সৌদি আরব।
রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গি
সরাসরি জামায়াত শিবিরের পক্ষে না লিখলেও শিবিরপন্থী।
আহমেদ আরিফের ফেসবুক আইডি আইডি
ফেসবুকেগেলেই দেখতে পারবেন আহমেদ আরিফের সরকার বিরোধী কার্যক্রম
বাঁশের কেল্লা,ভিশন২০২১ সহ অনেক ফেসবুক ফ্যান পেইজের আহমেদ আরিফের লেখা নিয়মিত নাম সহকারে পোস্ট করা হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।