আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ক্রিকেটীয় চোট' - সাপ্তাহিক ২০০০

ভুল করেও যদি মনে পড়ে...ভুলে যাওয়া কোন স্মৃতি.. ঘুমহারা রাতে..নীরবে তুমি কেঁদে নিও কিছুক্ষণ...একদিন মুছে যাবে সব আয়োজন...

নিজ দেশের বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডে নেই বাংলাদেশের সেরা ফাস্ট বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিক। অস্ট্রেলিয়া দলের প্রথম পছন্দের স্পিনার নাথান হরিজকে রেখে আসা হয়েছে দেশে। দল থেকে শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন ভারতীয় পেসার প্রভিন কুমার। সোহেল তানভীরের নাম নেই পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ক্রিকেট দলে। এদের সবার বিশ্বকাপ-স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে ক্রিকেটারদের আজীবনের সঙ্গী, চিরপরিচিত শত্রু ‘ইনজুরি’ বা চোট।

খেলার ধরন এবং অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রমের কারণে ক্রিকেটাররা চোটের শিকার হন হরহামেশাই। ছোটখাটো চোট সারিয়ে অনেকেই ফিরে আসেন খেলায়। আবার চোটের কারণে অকালেই অনেককে ঝরে যেতে হয় ক্রিকেট দুনিয়া থেকে। ইনজুরি হতে পারে শরীরের যে কোনো অংশেই। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৫ শতাংশ ইনজুরির শিকার হয় দুই পা।

ইনজুরির ২৯ শতাংশ হাতে, ৬ শতাংশ মাথা, ঘাড় ও মুখম-লে, বাকি ২০ শতাংশ শরীরের অন্যান্য অংশে হয়ে থাকে। ক্রিকেটারদের ইনজুরির তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে চোটগ্রস্ত তারকা ক্রিকেটারদের কল্যাণে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি, কাঁধ-পিঠ-কোমরের ইনজুরি, সাইড স্ট্রেইন, স্প্রেইনড অ্যাংকেল, গ্রোয়েন ইনজুরির মতো কিছু চোট ইতিমধ্যে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শক-সমর্থকদের কাছে বেশ পরিচিত। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি ক্রিকেটারদের অতিপরিচিত একটি ইনজুরি হচ্ছে হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেইন। ঊরুর পেছন দিকের সেমিটেনডিনোসাস, সেমিমেমব্রেনোসাস, বাইসেপস ফিমোরিস মাংসপেশিগুলোকে একত্রে হ্যামস্ট্রিং পেশি বলা হয়।

ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিংয়ে দ্রুত দৌড়ানোর সময় হঠাৎ অতিরিক্ত চাপের ফলে এই মাংসপেশিগুলো সাধ্যের অতিরিক্ত টান টান বা প্রসারিত হয়। ফলে পেশিতে খিঁচ ধরে বা ছিঁড়ে যেতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রিকেটীয় ইনজুরির ১৫ শতাংশই হ্যামস্ট্রিংজনিত। বোলার, বিশেষত ফাস্ট বোলারদের মধ্যে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে বল করে থাকেন, তাদের এ ধরনের ইনজুরি বেশি হতে দেখা যায়। ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রেও ঘটে এ ইনজুরি।

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণেই মাইক হাসি বিশ্বকাপ দলের বাইরে। ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারকে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে এই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণেই। সাধারণত খেলার আগে যথাযথ ওয়ার্ম আপের মাধ্যমে এ ইনজুরির প্রবণতা কমিয়ে আনা যায়। কারণ ওয়ার্মআপের মাধ্যমে পেশিতন্তÍুর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে এর প্রসারণক্ষমতাও খানিকটা বৃদ্ধি পায়। ট্রেনিং সেশনে বা ম্যাচের সময় কোচ বা সংশ্লিষ্টরা প্রতিটি বোলারের বোলিংয়ের পরিমাণের রেকর্ড রাখেন অতিরিক্ত বোলিং করা থেকে বোলারকে রক্ষার জন্য।

কোনো কারণে হ্যামস্ট্রিং মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রাথমিকভাবে বিশ্রাম, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে বরফ লাগানো, পা উঁচু করে রাখা, ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি পরামর্শ দেওয়া হয়। চামড়ায় সরাসরি বরফ লাগালে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে আইস প্যাক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খেলোয়াড়ের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলে। বেশিরভাগ হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেইন ছয় সপ্তাহের ভেতর ভালো হয়ে যায়, তবে পুরোপুরি ভালো হওয়ার আগেই খেলায় ফিরলে এ ইনজুরি বারবার হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ব্যাক পেইন ব্যাক পেইন অর্থাৎ পিঠে বা কোমরে ব্যথা আরেকটি সাধারণ ইনজুরি।

বোলারদের ক্ষেত্রে একই অ্যাকশনের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে বিধায় তাদের কোমরে ব্যথার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ফিল্ডিংয়ের সময় ঝুঁকে বল তোলা বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার কারণেও পিঠ বা কোমরে ব্যথা হতে পারে। ত্রুটিপূর্ণ ব্যাটিং স্টাইলের কারণে ব্যাটসম্যানরাও ব্যাক পেইনের শিকার হতে পারেন। পিঠ বা কোমরের লিগামেন্ট, মাংসপেশি, কশেরুকা, অস্থিসন্ধি যে কোনোটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেই ব্যথা হয়ে থাকে। ফাস্ট বোলার, বিশেষত কম বয়সী বোলারদের ক্ষেত্রে তাদের অ্যাকশনের ধরনের কারণেই পিঠের নিচের অংশে ও কোমরে লাম্বার কশেরুকার পেছনদিকের ‘পারস ইন্টারকুলারিস’ অংশে বারবার এবং অতিরিক্ত চাপ পড়ে বলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফ্র্যাকচার হতে অর্থাৎ ভেঙে যেতে পারে।

এক্ষেত্রে পেছন দিকে বাঁকা হতে গেলে সবচেয়ে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কোমরের এক্সরেতে অনেক সময় এ ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে না। সিটি স্ক্যান বা এমআরআই-এর মাধ্যমে ফ্র্যাকচার নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ইনজুরি প্রতিরোধে বোলারদের অনুশীলন সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হয়। খেলোয়াড়দের পিঠ ও কোমরের মাংসপেশির দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যায়াম করানো হয়।

অনেক সময় ব্যাটিং এবং বোলিং অ্যাকশনও পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। খেলার সময় চাপ শোষণক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ ধরনের জুতো ব্যবহারের মাধ্যমেও পিঠের ইনজুরি কমানো যেতে পারে। কোমরের ‘পারস ইন্টারকুলারিস’-এর ফ্র্যাকচার হলে সাধারণত তা ভালো হতে ছয় সপ্তাহ লেগে যায়। তবে অনেক সময় সার্জারি বা শল্যচিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। সাইড স্ট্রেইন এই ইনজুরির শিকারও হন মূলত বোলাররাই।

বুকের নিচ দিকের চারটি হাড়ের সঙ্গে ইন্টারনাল অবলিক, এক্সটারনাল অবলিক বা ট্রান্সভারসালিস মাংসপেশির সংযোগস্থলে এ ইনজুরি হয়ে থাকে। বোলার যে হাতে বোলিং করেন, তার উল্টোদিকের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। যেমন, ডানহাতি ফাস্ট বোলারের ক্ষেত্রে বোলিংয়ের সময় যখন ডান হাত ঋজুভাবে বাঁকানো হয়, তখন বাম দিকের উল্লেখিত পেশিগুলোর হঠাৎ সঙ্কোচন ঘটে। বারবার একই ঘটনার ফলে ওই পেশিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা ছিঁড়ে যেতে পারে। এ ধরনের চোট কমানোর জন্য পেশি সুদৃঢ় করার বিশেষ ব্যায়াম শেখানো হয় খেলোয়াড়দের।

বোলারকে যেন অতিরিক্ত বোলিং করতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়। একবারে বেশি চাপ না দিয়ে প্রতি সেশনে বোলিংয়ের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানো হয় এবং পেশির ক্লান্তি দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় বিশ্রাম দেওয়া হয়। সাইড স্ট্রেইন হলে প্রাথমিকভাবে বিশ্রামের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি দুঘণ্টা পরপর বিশ মিনিট করে আক্রান্ত স্থানে আইস প্যাক লাগানো যেতে পারে। কাঁধের ইনজুরি বোলার বা ফিল্ডারদের বল ছুড়ে মারার একই ভঙ্গির পুনরাবৃত্তির কারণে কাঁধের ইনজুরির ঝুঁকি থাকে। কাঁধের অস্থিসন্ধি ঘিরে সুপ্রাস্পাইনেটাস, ইনফ্রাস্পাইনেটাস, সাবস্ক্যাপুলারিস, টেরেস মাইনর প্রভৃতি ছোট ছোট পেশি থাকে যাদের একত্রে ‘রোটেটর কাফ’ পেশি বলা হয়।

অতিরিক্ত ব্যবহারজনিত কারণে এসব পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে পেশির টেনডনে প্রদাহ (টেনডনাইটিস) হয়। শুরুতেই সুচিকিৎসা না করলে পরবর্তী সময়ে পেশি ছিঁড়ে যেতে পারে। এ ধরনের ইনজুরি প্রতিরোধের জন্য পেশির বিশেষ ব্যায়ামের পাশাপাশি বল ছোড়ার সঠিক কৌশল শেখানো হয়, যাতে কাঁধের পেশিতে চাপ কম পড়ে। ইনজুরি হলে প্রাথমিকভাবে বিশ্রামের পাশাপাশি আইস প্যাক ব্যবহার করা হয়।

ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়া অথবা জেল কাঁধে লাগানো যেতে পারে। স্প্রেইনড অ্যাংকেল স্প্রেইনড অ্যাংকেল বা গোড়ালির ইনজুরিও প্রায়ই ঘটে থাকে। খেলোয়াড় দৌড়ানোর সময় গোড়ালির ভেতর দিকে মোচড় দেওয়ার ফলে গোড়ালির অস্থিসন্ধির চারদিকের লিগামেন্ট এবং নরম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে, গোড়ালি ফুলে প্রচ- ব্যথা হতে পারে। এ ধরনের ইনজুরি প্রতিরোধের জন্য গোড়ালিতে ব্রেস বা টেপ জড়ানো যেতে পারে। খেলোয়াড়দের দৌড়ানোর সময় ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিশেষ ‘উবল বোর্ড’ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ইনজুরির পর প্রাথমিকভাবে বিশ্রামের পাশাপাশি আইস প্যাক, ব্যথানাশক প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়। ফোলা কমানোর জন্য পা উঁচু করে রাখতে হয় এবং ‘এয়ারকাস্ট ওয়াকার’ ব্যবহার করা হয়। গ্রোয়েন ইনজুরি ঊরুর ভেতরের দিকে পেকটিনিয়াস, গ্র্যাসিলিস, অ্যাডাকটর ব্রেভিস, অ্যাডাকটর লংগাস এবং অ্যাডাকটর ম্যাগনাস নামের মাংসপেশি থাকে, যেগুলো নিতম্বের হাড় থেকে ঊরুর হাড় অথবা হাঁটু পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। দ্রুত দৌড়ানোর সময় হঠাৎ দিক পরিবর্তনকালে এসব পেশির ওপর অত্যধিক চাপ পড়ে। অতিরিক্ত চাপের ফলে এসব পেশির যে কোনোটি আংশিক বা পুরো ছিঁড়ে যেতে পারে।

ফলে গ্রোয়েন বা কুঁচকিতে ব্যথা অনুভূত হয়, ফুলে যেতে পারে, দৌড়াতে বা হাঁটতে প্রচ- কষ্ট হয়। এক্ষেত্রেও প্রাথমিকভাবে বিশ্রামের সঙ্গে আইস প্যাক, ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। চোট মারাত্মক হলে যথাযথ পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতেও খেলায় ফিরতে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ বা তারও বেশি লেগে যেতে পারে। অন্যান্য ইনজুরি ক্রিকেটীয় ইনজুরির শিকার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকেন বোলাররা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সব ইনজুরির ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ ঘটে থাকে বোলারদের ক্ষেত্রে।

২৮ দশমিক ৬ শতাংশের ক্ষেত্রে চোটের কারণ ফিল্ডিং। জোরে বল ছুড়ে মারতে হয় বলে আউটফিল্ড খেলোয়াড় বা পিচ থেকে দূরে ফিল্ডিং করা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে কাঁধের ইনজুরির সম্ভাবনা বেশি থাকে। অন্যদিকে ক্লোজ-ইন ফিল্ডার বা ব্যাটসম্যানের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করা খেলোয়াড়দের চোখে বা মুখম-লে বলের আঘাতে ইনজুরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ব্যাট থেকে জোরে আসা বল থামানো এবং দ্রুত তা উইকেট, উইকেটকিপার বা উইকেটের কাছাকাছি থাকা ফিল্ডারের কাছে পাঠানো ক্লোজ-ইন ফিল্ডারদের অন্যতম দায়িত্ব বলে তাদের শরীরের যে কোনো অংশেই চোট লাগতে পারে। জোরে আসা বল থামাতে বা ধরতে গিয়ে উইকেটকিপারসহ যে কোনো ফিল্ডারেরই আঙুলের ইনজুরি হতে পারে, আঙুলের অস্থিসন্ধি সরে যেতে এমনকি আঙুল ভেঙে যেতে পারে।

বলের ওপরই মূল মনোযোগ থাকে বলে বল থামাতে গিয়ে বা ক্যাচ ধরতে গিয়ে ফিল্ডারদের পরস্পরের সঙ্গে বা বাউন্ডারির বেড়ার সঙ্গে সংঘর্ষে মাথা, কাঁধ বা মুখম-লের ইনজুরিও প্রায়ই ঘটে থাকে। ইনজুরির শিকার হন ব্যাটসম্যানরাও। প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা যেমন, হাঁটু বা পায়ের প্যাড, ঊরুসন্ধির বক্স, হেলমেট প্রভৃতি ছাড়া ব্যাটিং করতে গেলে বলের সরাসরি আঘাতে ইনজুরি হতে পারে। ব্যাটসম্যানকে বিচলিত বা বিব্রত করার জন্য ফাস্ট বোলাররা অনেক সময় বল এমনভাবে পিচ করান, যাতে বল ব্যাটসম্যানের কাঁধ বা ওপরের বাহু বরাবর উচ্চতায় উঠে আসে। ঠিকমতো খেলতে না পারলে উঁচু হয়ে আসা বলে চোখ, মুখম-ল, হাত, কব্জি, বাহু বা কাঁধে ইনজুরি হতে পারে।

ব্যাটসম্যান, বোলার বা ফিল্ডার যে কেউ-ই শিকার হতে পারেন হাঁটু বা কনুইয়ের চোটের। হাঁটু বা কনুইয়ের লিগামেন্ট বা পেশি ছিঁড়ে যাওয়া থেকে অস্থিসন্ধির হাড় সরে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়াÑ যে কোনো ধরনের চোটের শিকার হতে পারেন ক্রিকেটার। ...................................................... সাপ্তাহিক ২০০০, ২৫-২-২০১১ সংখ্যায় প্রকাশিত। লিংক - ক্রিকেটীয় চোট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।