History of people
দিনের পর দিন রাতের পর রাত মাসের পর মাস গড়িয়ে আসে পয়লা বৈশাখ। চৈত্র অবসানে বর্ষ হল শেষ। এল নতুন বছর। নববর্ষ। পৃথিবীর সর্বত্রই নববর্ষ একটি ট্রাডিশন বা প্রচলিত সংস্কৃতিধারা।
আদিকাল থেকেই যে কোনো বছরের প্রথম দিনটি নববর্ষ নামে পরিচিত হয়ে আসছে। নতুন দিনের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা,প্রার্থনা দুঃখ জয়ের। এটি বাগ্ঙালির একটি সর্বজনীন লোকউতসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। আর সে দিন প্রাত্যহিক কাজকর্ম ছেরে দিয়ে ঘরবাড়ি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে।
আটপৌরে জামা কাপড় ছেড়ে ধোপদুরস্ত পোষাক-পরিচ্ছেদ পরে,বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করে পানাহারে মেতে ওঠে। রমনার বটের তলায় জড়ো হয়ে গান গায়,হাততালি দেয়। সবকিছু মিলে দেশটা হয়ে ওঠে উতসবে আনন্দে পরিপূর্ণ। এছাড়াও কতগুলো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষের বৈশিষ্ট্যসমূহ ফুটে উঠে। যেমনঃ'মেঘের কাছে জল ভিক্ষা করা','বাষিক মেলা','পুন্যাহ','হালখাতা'ইত্যাদি।
নববর্ষকে উতসবমুখর করে তোলে বৈশাখী মেলা। এটি মূলত সর্বজনীন লোকজ মেলা। এ মেলা অত্যন্ত আনন্দঘন হয়ে থাকে। বর্তমানে নগরজীবনে নগর-সংস্কি্তির আদলে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপিত হয়। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে তরুনীরা লালপেড়ে সাদা শাড়ি,হাতে চুড়ি,খোপায় ফুল, গলায় ফুলের মালা এবং কপালে টিপ পরে;আর ছেলেরা পাজামা ও পান্জাবি।
এদিন সকালবেলা পানতা ভাত ও ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়া হয়। বর্ষবরনের চমকপ্রদ ও জমজমাট আয়োজন ঘটে রাজধানী ঢাকায়। নববর্ষ সমগ্র মানুষের কাছে নবজীবনের দ্বার উন্মোচিত করে দিক। আমরা জাগ্রত হই অখন্ড জাতীয় চেতনায়। নতুন বছর আমাদের সবার জীবনে সুখ-সম্ভার বয়ে আনুক এটাই হউক আমাদের প্রত্যাশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।