আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জুনায়েদ বাবুনগরী মুজাহিদ বাহিনীর নেতা ছিলেন কাপ্তাইয়ের অরণ্যে প্রশিক্ষণ নেন

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। গ্রেফতারকৃত হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী মুক্তিযুদ্ধকালে পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার জন্য গঠিত মুজাহিদ বাহিনীর নেতা ছিলেন। ফটিকছড়ি এলাকায় এ বাবুনগরী ও ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ হারুন বাবুনগরী এবং হেফাজতে নায়েবে আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সদস্য নিয়ে মুজাহিদ বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য কাপ্তাইয়ের গহিন অরণ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধের সময়ে বাবুনগর মাদ্রাসায় ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে। ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি-মীরসরাই নির্বাচনী এলাকা থেকে নেজামী ইসলামের মনোনীত প্রার্থী হয়ে মাওলানা হারুন বাবুনগরী তৎকালীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক বিএসসির বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হন।

মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী এবং মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীও নেজামে ইসলামে যোগ দিয়ে ঐ সংগঠনের কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। হেফাজতে নায়েবে আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী মহাসচিব হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা। ফটিকছড়ি থেকে বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী স্বাধীনতার পর থেকে হেফাজত নেতা মুহিবুল্লাহ ও তার ভাগিনা জুনায়েদ বাবুনগরী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সকল কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। গেল ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে মুহিবুল্লাহ ও জুনায়েদ বাবুনগরী চারদলীয় প্রার্থী সাকা চৌধুরীর সমর্থনে কাজ করেন এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা চালান। শুধু তাই নয়, ঐ সময়ের নির্বাচনী সমাবেশে মাওলানা মুহিবুল্লাহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে ফটিকছড়ির সর্বত্র ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন।

মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী গ্রেফতার হওয়ার পর রিমান্ডে তিনি কাঁদছেন এবং যে তথ্য দিচ্ছেন তা নিয়ে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি এলাকাজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। জুনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। তাঁর বাড়ি ফটিকছড়িতে। তাঁকে গ্রেফতারের পর এসব এলাকায় তাঁর পক্ষে কোন মিটিং মিছিলও হয়নি। মাদ্রাসা ছাত্রদের অভিভাবকরা হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী নিয়ে যে তা-বলীলা চালিয়েছে তাতে শুধু মর্মাহত হননি, উদ্বিগ্নও হয়েছেন।

বর্তমানে এ মাদ্রাসার বহু শিক্ষক এবং ছাত্র যারা সরাসরি হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জড়িত তারা গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। উত্তর চট্টগ্রামে বিপুলসংখ্যক কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসা হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার অধীনেই পরিচালিত হয়। বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণ করা যায় বলে গরিব পরিবারের বহু সন্তান এসব মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে থাকে। এদের যারা পরিচালিত করে তারাই তাদেরকে ইসলামের ব্যানারে নানা অনৈসলামিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত করে থাকে।

যার প্রমাণ মিলেছে গত ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচীতে এসব ছাত্রদের অনেকে তা-বলীলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সুত্র  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.